। ভাল অনুষ্ঠানের মধ্যে "ইত্যাদি" এবং "বিতর্ক অনুষ্ঠান" কে আমি শীর্ষ পছন্দের তালিকায় রাখছি।
বিটিভি থেকে প্রচারিত অত্যন্ত আকর্ষণীয় বিতর্ক অনুষ্ঠানে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত থাকেন হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। আর বিচারকমণ্ডলীর সদস্য ও সদস্যা হিসেবে উপস্থিত থাকেন কয়েকজন বাঘা বাঘা উচ্চশিক্ষিত পুরুষ ও মহিলা
। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তার্কিকদের মধ্যে কোনো দলে যদি তিনজনই থাকে ছাত্রী তবুও মডারেটর হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ সেই দলের দলনেত্রীকে বলেন, 'দলনেতা' (পুরুষ)। অথচ তার এ ভুল বলার বিরুদ্ধে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেউ প্রতিবাদ করেন না। আমি আজ পর্যন্ত যতগুলো বিতর্ক অনুষ্ঠান দেখেছি তার প্রত্যেকটিতেই তাকে 'দলনেত্রীকে', 'দলনেতা' বলতেই শুনেছি এবং এরূপ ভুল বলাটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এ সমস্যা সমধান হওয়া আবশ্যক।
আবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা একজন নারী। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার সম্ব েন্ধ যেভাবে উল্লেখ করা হয় তা হচ্ছে, 'আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা' (উভয় ক্ষেত্রে পুংলিঙ্গ), অথবা 'আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী' (একই বাক্যে প্রথমে পুংলিঙ্গ ও পরে স্ত্রীলিঙ্গ), অথবা 'আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা' (একই বাক্যে প্রথমে স্ত্রীলিঙ্গ ও পরে পুংলিঙ্গ)।
এভাবে লিখতে গিয়ে লিঙ্গের জগাখিচুড়ি ঘটাচ্ছেন অনেকেই, যা অনভিপ্রেত(খাইয়ালামু)। আমাদের দেশের পত্রপত্রিকার সমপাদনার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত, তাদের এ কথা ভাবা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



