ক্ষমতাসীনদের মোসাহেব পছন্দ, যারা সব অবস্থাতেই বলবে, ‘চমৎকার’ ‘চমৎকার সে হতেই হবে, সাহেবের মতে অমত কার’। সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, প্রতিভাবান গোঁয়ার, ঘাড় ত্যাড়া লোকজন তাদের ভালো লাগে না, যদি গদি ধরে মারে টান। স্বাধীনতার পর যারা মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছিল, তারা হারিয়ে গেলো, কারন ক্ষমতাসীনরা তাদের কোন ঠাসা করে রেখেছিল, উপরে উঠেছিল তারা যারা ৭১ এ পাকিস্থান সরকারের অনুগত ছিল; তারা রাজাকার ছিল না, কিন্তু তারা তাদের সামর্থ্য থাকা সত্তেও যুদ্ধে যায়নি। ৪৪ বছরে আমারা আমাদের ভালো বুঝতে শিখেছি, লাভ ক্ষতির খাতা ভালই মেলাতে পারি। আমরা কেউ রাজাকারের আবার কেউ মোসাহেব দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে চলেছি। তারপরও ঘাড় ত্যাড়া কেউ থাকে যারা ক্ষমতাসীনদের দিকে যোক্তিক দাবিতে ইট ছুঁড়ে মারতে পারে, ক্ষমতাসীনরা তাদের বেধড়ক প্যাদানি দেয়; আমরা মোসাহেবরা পাশ থেকে বলি, ‘চমৎকার’ ‘চমৎকার সে হতেই হবে, সাহেবের মতে অমত কার’।
সময় হয়েছে, আসুন আমরা ক্ষমতাকে তোয়াজ কম করি, ভাল মানুষদের তোয়াজ করি। ঘরে ছেলেমেয়েদের সামনে পাশের বাসার ভাল মানুষটির গল্প করি, ঘুসখোর- খারাপ মানুষদের এড়িয়ে চলি। আমার মনে আছে ছোটবেলায় আমরা জানতাম ঐ আঙ্কেল ঘুষ খায়, আমাদের বাবামা কখনও ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি, তাই আমরা জানি ঘুষ খাওয়া জঘন্য ব্যাপার কিন্তু আমাদের ছেলে মেয়েদের সময় আসতে আসতে ব্যাপারটি কি এরকম থাকবে!! এখনি তো এটা স্পীড মানি হয়ে গিয়েছে রাজাকার শব্দ যতটা ঘৃণা নিয়ে উচ্চারিত হতো, এখনি কি তা হয়!! শয়তানের জয় জয়কার চারিদি্কে!! একেকটা ঘর থেকে লুসিফার বের হয়ে আসছে। আসুন ঘরে মনোযোগ দেই, ফেসবুকের রঙ্গিন জগত দেখে আরও বেশি লোভাতুর না হয়ে, নিজের ছোট বাচ্চাকে বেশি করে সময় দেই। বাচ্চাকে ভালবাসতে শেখাই, তাদের মনে মমতা জেগে উঠাতে সাহায্য করি, যাতে তারা ১০০ টাকা কামালে ৫০ টাকা দান করে দিতে পারে।
অনেক বেশি নীতি কথা হয়ে যাচ্ছে, এখন তো নীতি কথা ভণ্ড মানুষরাই বেশি দেয়!! আগামি প্রজন্ম নীতিবান হবে এ আশায় নীতি কথা শোনাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৬