মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী স্টিভ বালমার বলেছেন, উইন্ডোজ সেভেন অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করা ট্যাবলেট পিসি আগামী মাসেই দেখা যাবে। এ উইন্ডোজ স্লেট ডিভাইসগুলোর প্রস্তুতকারক হিসেবে রয়েছে আসুস, ডেল, স্যামসাং, তোশিবা ও সনির মতো বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান। মাইক্রোসফটের একটি কনফারেন্সে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাইক্রোসফটের জন্য এ দিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ বছর আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করতে যাচ্ছি, তা হলো উইন্ডোজ সেভেন অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করা স্লেট ডিভাইজ বের করা। এ ডিভাইসগুলো বিভিন্ন আকারে বাজারে আসবে; যার কতগুলো থাকবে কিবোর্ড সম্বলিত। তবে ঠিক কোন তারিখে মাইক্রোসফট্ ডিভাইসটি উন্মোচন করবে, তা তিনি জানাননি।
পিসি প্রো ম্যাগাজিনের সম্পাদক টিম ড্যানটন বলেছেন, ট্যাবলেট পিসির মার্কেটে মাইক্রোসফটের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হল উইন্ডোজের অপারেটিং সিস্টেম ঠিক টাচ স্ক্রিন ফরমাটের জন্য ডিজাইন করা নয়। এ অপারেটিং সিস্টেম মূলত মাউস ও কিবোর্ডের ওপর নির্ভরশীল। সবকিছু টাচ বা স্পর্শের মাধ্যমে করাটা সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিষয়। উইন্ডোজ সেভেনে কিছু বিষয় আছে, যেগুলো টাচ টেকনোলজি সাপোর্ট করে, তবে তা যথেষ্ট নয়। বরং মাইক্রোসফটের উচিত উইন্ডোজ সেভেন ফোন ওপারেটিং নিয়ে কাজ করাও সেটি ব্যবহার করা।
অবশ্য স্টিভ বালমার বলেছেন, ক্লাউড কম্পিউটিং বা ইন্টারনেটভিত্তিক কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা হার্ডওয়ার থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি ইন্টারনেটভিত্তিক প্রোগ্রাম ও স্টোরেজের দিকে। আমরা টেকনোলজির ইতিহাসে একটি ইনফ্লেকশন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছি। গ্রাহকদের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং খুব বেশি ভ্যালু তৈরি করে, যা মাইক্রোসফট্ এর অংশীদারী প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য বিপুল সুযোগ তৈরি করেছে।
তবে মাইক্রোসফটের প্রতিদ্বন্দ্বী রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ওভাম-এর অ্যানালিস্ট লরেন্ট ল্যাচেল বলেছেন, ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে বেশ কম; এর পরিমাণ যদি দ্বিগুণও হয়, তবে সেটি খুব বড় কোন বিষয় হবে না।
প্রসঙ্গত, অ্যাপলের আইপ্যাড টাচ-স্ক্রিন ডিভাইসটি বাজারে আসার মাত্র ৮০ দিনের মধ্যে এর বিক্রি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




