somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্রামীণ ফুন এর পোস্টপেইড বুঝে শুনে ব্যবহার করবেন

০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নতুন বছরের পহেলা দিন ই মারাত্মক একটা কাজ করে ফেললাম।

শুরু থেকে বলি, গ্রামীন এর একটা এক্সপ্লোর সিম কিনছিলাম মডেম এ ভরে ইন্টারনেট ইউজ করব বলে। মাসে মাসে টাকা ভরি আর ব্যবহার করি, আমার এলাকার ফালতু ব্রডব্যান্ড থেকে অনেক ভালো। কিন্তু কিছুদিন যেতেই টের পেলাম কারে বলে ঝামেলা। এইতো ৩/৪ মাস আগে অক্টোবর/ নভেম্বর এ আমার পোস্টপেইড এ বিল আসলো ১৩০০ টাকা। :(( আমি গ্রামীন এর ৩৫০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করি, বিল ১৩০০ টাকা কেমনে আসবে?!? ফোন দিলাম কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজার (কাকেম্যা) দীর্ঘ ক্ষন ধইরা আমার সমস্যা শুনলো এবং যথারীতি আমার অভিযোগ তাদের অভিযোগ বাক্সে জমা করলো এবং এমন একটা ভাব নিল যে আমার সমস্যার সমাধান হয়েই গেছে। বললো, স্যার আপনাকে ফোন করে জানানো হবে। আমি তো ভাবলাম যাক সমস্যা টা মিটলে হয়।

৫ দিন হয়ে গেলো কোন খবর নাই, আমি তো বিরক্ত, ফোন দিলাম সেই 'কাকেম্যা' একটা, সম্ভবত কোনো মেয়ে ফোন ধরলো, কাকেম্যা মেয়ে হইলে আমি একটু বিব্রত বোধ করি কারণ মেয়ে কাকেম্যা রা কথা এক্টু বেশি বলে, এইটা অবশ্য এক দিক দিয়ে ভালো, কথা বলাই তো তাদের কাজ়।

তো সেই আপু আমাকে এবার ট্রান্সফার করে দিলেন 'ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞ টিম' এর কাছে। ইতোমধ্যে ওয়েট করে লাইন পেয়ে ঘটনা বুঝায়া বলতে আমার প্রায় ৮/১০ টাকা চলে গেছে। ঐ বেটা বিশেষজ্ঞ রে পুরা ব্যাপার টা আমার আবার বুঝায়া বলতে হইলো, গেলো আরো কিছু টাকা। সেই বিশেষজ্ঞ মহাশয় আমার কথা শুনে আমার অভিযোগ বাক্স চেক করে আমাকে বললেন তাদের কাছে ঐ মাসে এরকম আরো কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে এবং তারা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছেন। আমার তখন প্রায় ১০ দিন যাবত ইন্টারনেট নাই, কি অবস্থা আমার সেটা কে খতিয়ে দেখবে জিজ্ঞেস করলাম, বললো স্যার আমরা আপনাকে জানাবো আমাদের গ্রাহক সেবা থেকে আপনাকে ফোন করা হবে। আমি আপনার অভিযোগ এর প্রাইওরিটি মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়ে রাখলাম। আমি ওখানে যতবার ই ফোন দেই তারা আমার প্রাইওরিটি মাত্রা এক লেভেল করে বাড়ায়।:((

আমি আশা ছাড়লাম না। কিন্তু বিধিবাম ! এইবার আরো ১০ দিন পর আমি তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে গ্রামীন ফোন এর সিটি সেন্টার, মতিঝিল এ গেলাম। ওখানে আমাকে একটি অভিযোগ পত্র লিখে পোস্ট করতে বলা হল। করলাম।

আবারো কোন খবর নাই। কিছু দিন পর গ্রাহক সেবায় ফোন দিলাম। এইবার আমাকে জানানো হলো তাদের কাছে একই রকম অভিযোগ আরো জমা পড়েছে, প্রায় ৫০০ অভিযোগ, সবার অভিযোগ তাদের ওভারচার্জ করা হয়েছে। এই সমস্যা সমাধান করতে তাদের এক মাস সময় লাগবে। আমাকে এক মাস সময় অপেক্ষা করতে বলা হল। /:):((

ততদিনে আমার এই অভিযোগ এর চক্কর পার করতে করতে প্রায় ২০০ টাকা ফিনিশ। এক মাস অপেক্ষার পর আমার সেই ওভারচার্জ সমস্যা ঠিক করা হলো। কিন্তু আমার পোস্টপেইড ব্যবহার এর শখ চিরদিনের মত মিটে গেল। ঠিক করলাম, আর এই জিনিস ব্যবহার করব না। এর চেয়ে প্রিপেইড সীম ব্যবহার করবো, সেও ভালো। ফেলে রাখলাম পোস্ট পেইড টা।

ইন্টারনেট এ ব্যবহার শুরু করলাম প্রিপেইড সিম। ওমা ! আমার ফেলে রাখা পোস্ট পেইড এ দেখি বিল আসে। তাও কিরকম বিল শোনেন। একসেস ফি আসে মাসে ৫০ টাকা। কেন আসবে? কারণ আপনি পোস্ট পেইড এর ৫০০ টাকা অতিরিক্ত ব্যবহার এর সুযোগ পাচ্ছেন আর টাকা দিবেন না? আমি অনেক আগেই আমার মিসড কল এলার্ট ফি টা গ্রাহক সেবা তে ফোন দিয়ে অফ করাইছিলাম কিন্তু দুঃখজনক হলো ওটা কোনদিনও অফ হয় নাই। প্রতি মাসে অই সিম আমি ব্যবহার না করলেও আমার কাছে মাস শেষ ৬৯ টাকার একটা বিল আসত। একসেস ফি : ৫০ টাকা , মিসড কল এলার্ট ফিঃ ১০ টাকা আর ভ্যাটঃ ৯ টাকা। পুরাই ফাও সিক্সটি নাইন।/:) সিদ্ধান্ত নিলাম সিম টা অফ করেই দেবো, কিন্তু ব্যাক্তিগত কিছু ঝামেলায় সময় ম্যানেজ করতে পারছিলাম না।

কিন্তু মেজাজ খারাপ হলো এই মাসের বিল পেয়ে....

এই মাসে নতুন একটা বিল আসলো এর সাথে। ঐ কোন চিপায় রেখে দেয়া সিম থেকে নাকি হেলথ লাইন এ ফোন দেওয়া হইছে অইখানে বিল আসছে ৪৪ টাকা। বলেন কেমন লাগে ! আমি তো ওই সিম ধরিই না, কেমনে ওটা থেকে হেলথ লাইনে কল যাবে?!?X(

পরদিনই সিটি সেন্টার অফিসে গেলাম, বললাম কি ব্যাপার? বলে আপনার আইটেমাইজেশন বিল বের করা লাগবে কল লিস্ট চেক করা লাগবে এর পর বলতে পারব কি হইছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আপনার টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে। আমি প্রমাদ গুনলাম। আবার বুঝলাম আবার কোনো চক্কর এ পড়তে যাচ্ছি। বললাম আমার বিল টা পে করে দেন টাকা দিয়ে দেই আর সিম টা কেনসেল করে দেন। আমার মেলা 'এক্সপ্লোর' হইছে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই সিম টা বাতিল করাইলাম।

পুরাই দৌড় এর উপর রাখলো আমারে এই এক্সপ্লোর পোস্টপেইড ।

এখনো ভয়ে আছি, ক্যানসেল তো করলাম, নেক্সট মাসেও না আবার বিল পাঠায়া দেয়!
:((:((:((:((:((
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:০৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×