যাপিত জীবনের সবকিছু ভুলে চলুন কিছুক্ষণের জন্য নৈসর্গিক সৌন্দর্যে হারিয়ে যাই। ঘুরে আসি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুদূর গ্রীসের মেটেওরা (Meteora) থেকে।
চতুর্দশ শতাব্দীতে এখানে বেশ কয়েকটি ইস্টার্ন অর্থডক্স মঠ তৈরী হয়, তাদের মধ্যে 'Monastery of Varlaam' দ্বিতীয় বৃহত্তম মঠ। এটি ১৫৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সবাই মঠ পরিদর্শন করতে ছুটে চলেছে। এভাবে আঁকাবাঁকা পথে অনেকগুলো সিঁড়ি বেয়ে মঠে পৌঁছাতে হয়।
সিঁড়ি বেয়ে উঠার পথে এই জায়গাটাতে অনেকেই মানত করে পয়সা ফেলে। তাতে বুঝলাম আমাদের মতো খ্রিস্টান ধর্মেও এমন মানতের প্রথা রয়েছে।
প্রার্থনা অথবা নিয়ত করে মোম জ্বালানো যায়। যে কেউ চাইলেই করতে পারে।
গ্রিক ইতিহাস - ঐতিহ্যের বিভিন্ন ধরণের ফটো এসব দেয়ালে স্থান পেয়েছে।
গ্রামটির নাম কালাবাকা (Kalabaka)।
যেকোন দর্শনীয় স্থানের খুব কমন এসব দোকান। স্মৃতি হিসেবে এসব কিনে ঘরে সাজিয়ে রাখা যেতে পারে।
কোনো এক মঠে যাবার পথে। খেয়াল করে দেখুন, গ্রীক অনেক অক্ষরের সাথে আমরা পরিচিত। গ্রীসের মেট্রো পথে বিভিন্ন স্টেশনের নাম দেখছিলাম আর খুশিতে একটু চিৎকারের স্বরে বলে উঠছিলাম ওইতো পাই, ল্যাম্বডা, শাই ... যখন যেটা চোখে পড়ছিল আর কী ! একটু পর খেয়াল করে দেখি এক লোক অবাক বিস্ময়ে আমার কর্মকান্ড অবলোকন করছে। নিজের এহেন বোকামিতে কিঞ্চিৎ লজ্জা পেয়েছি বটে !
আহ, কী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ! গাছগাছালি, শিলাভূমি ভেদ করে এঁকেবেঁকে বয়ে চলেছে পিচঢালা রাস্তা।
অস্থির সময়ে বসে পুরান স্মৃতি রোমন্থন করে মনের বিষন্নতা কাটানো যায়। ব্লগে ছবি সংযুক্তির সংখ্যা লিমিটেড হওয়াতে আরো ফটো দেয়া গেলোনা। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। সময় পেলে ঘুরাঘুরি করুন। প্রকৃতিকে জানুন, বুঝুন। দেখবেন বেঁচে থাকাটা আরো সুন্দর হবে।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া
ফটো কৃতজ্ঞতা: কিছু ছবির কবি - আমার বর।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১:৩৯