একাই ৩০ জনের প্রাণ বাঁচালেন বাবু !!
‘আমরা ঝুঁকি নিয়ে ভবনের একেবারে ভেতরে চলে গেছি। দেয়ালের ফাঁক দিয়ে একটা একটা করে ইট সরিয়ে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে। মোবাইলের আলো জ্বালাতেই অনেক আহত মানুষের মুখ দেখতে পেলাম। কেউ কেউ হাত বাড়িয়ে বাঁচার আকুতি জানালো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইটের স্তুপ সরিয়ে ৮ তলা থেকে একেবারে ৬তলা পর্যন্ত নেমে আসি। সঙ্গে আরও দুজন ছিল। সেখানে ৫০ থেকে ৬০ জনের লাশ দেখতে পেলাম। লাশের স্তুপের মধ্য থেকেই একজন হাত ধরে বললো, আমাকে বাঁচান। টেনে তাকে বাইরে বের করে নিয়ে আসি।’
ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে বাবু বলেন, ‘খুব অবাক লাগে! বাইরে এতো মানুষ, উদ্ধার করে আসা এতো বাহিনী। অথচ একটু ভেতরেই কেউ ঢুকতে সাহস পায় না। আমরা কয়েকজনই ভেতর থেকে আহত কয়েকজনকে বের করে আনি। আমি একাই ৩০ জনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের হাতে দেই। তারপর তারা আহতদের বের করে নিয়ে আসে।’
উদ্ধার করতে গিয়ে জমাটবাধা রক্তের গন্ধে একসময় বমি করে দেন বাবু। মাথা ঝিম ধরে ওঠে তার। চোখ আবছা হয়ে আসে। তারপরও বাবু উদ্ধার থামাননি। মনোবল নিয়ে আবারও নেমে পড়েন উদ্ধার কাজে।
একসময় কেঁদে উঠেন বাবু। কান্নাজড়িত কণ্ঠেই বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস আর সেনাবাহিনীর লোকজন ভেতরে ঢুকছে না। তারা যদি সাহস করে ভেতরে ঢুকতো, তাহলে অনেক মানুষই বাঁচতে পারতো।’
সূত্র
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১৬