হেচ্চি/হিক্কা কেন হয় ?
আমাদের শরীরের ভ্যাগাস নার্ভ অথবা এঁর কোন একটি শাঁখা প্রশাখা যেগুলা (ব্রেন থেকে অ্যাবডোমেন পর্যন্ত বিস্তৃত ) বাধাপ্রাপ্ত অথবা উদ্দীপ্ত হয়। বিশেষজ্ঞগণ বলেন যে সাধারনত পরিপাকতন্ত্রের গোলমালের কারনে এটি হতে পারে।
এটা বাচ্চাদের ও হতে দেখা যায়।
এঁর থেকে পরিত্রান পেতে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে
১-অন্ন কোন অনুভূতির দ্বারা ভ্যাগাস নার্ভ কে উদ্দীপ্ত করা।তখন এই নার্ভ ব্রেন কে অন্য ইম্পরট্যান্ট কাজ করার সিগনাল পাঠাবে তখন ব্রেন থেকে হিক্কা রোধ হবে।
২-অন্য উপায় হচ্ছে রক্তে কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে ফেলা
এটি তখন শরীর হিক্কা উঠা বাদ দিয়ে অতিরিক্ত কার্বনডাইঅক্সাইড কে বের করতে ব্যাস্ত হয়া পরবে।
নিচে কিছু পদ্ধতি দেয়া হল হিক্কা রোধ করার –
১> এক চামচ চিনি নিন ও জিহ্বার পিছনে [যেখান দিয়ে টক স্বাদ নেন] রাখুন।এতি নার্ভের উত্তেজনা বাড়াবে ।
২>কিছু ডাক্তার বলেন যে হিক্কা উঠলে কানে আঙ্গুল দিয়ে কিছুখন রেখে দিন।এতি ভ্যাগাস নার্ভ কে উদ্দীপ্ত করবে।
৩> হঠাৎ করে অবাক হলে হিক্কা চলে যায়
৪>পানি খেলে হিক্কাচক্র বাধাগ্রস্থ হয়।পানি দিয়া গড়গড়া ও করতে পারেন
৫>জিহ্বা বের করে রাখুন
৬> কোটন বার্ড দিয়ে মুখের তলায় কাতুকুতু দিতে পারেন।
যেকোন ধরনের সুড়সুড়ি হিক্কা রোধে কাজ করে
৭>নাক ধরে মুখ বন্ধ করুন[পুলে ঝাপিয়া পড়ার আগে যেভাবে করেন] যতক্ষণ না হিক্কা চলে না যায়
৮>একটি কাগজের ব্যাগের ভিতর শ্বাসপ্রশ্বাস নিন।দিবে
৯>ম্যাগনেসিয়াম ট্যাবলেট [এন্টাসিড]
১০ >খুব দ্রুত খাবার খেলে খাবারের ভিতর ভিতর বাতাস ডুকে যায় যেটি নার্ভ কে উত্তেজিত করে।ঠিকভাবে খাবার চাবিয়ে খেলে এবং পরিমিত পানি পান করে হিক্কা এড়াতে পারবেন
১১>পাকস্থলী পূর্ণ হয়া যাওয়া হিক্কা উঠার অন্য একটি কারন।হিক্কা উঠার মাধ্যমে শরীর আপনাকে জানিয়ে দেয় যে ‘এখন খাওয়া বন্ধ করুন।পরিপাক্তন্ত্র তার কাজ শুরু করবেন ‘
১২ >অতিরিক্ত মসলা ও ঝাল খাবার খেলে হিক্কা উঠে
এগুলা প্রয়োগ করেই আমরা হিক্কা প্রতিরোধ করতে পারি।
হিক্কা প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন ।
পরবর্তী পোস্ট- '' দাঁত ধবধবে সাদা ও পরিস্কার রাখার উপায় ''
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




