(আজকে হঠাত করে ইনবক্সে বাংলায় লেখা সাবজেক্টের একটা মেইল দেখে একটু অবাক হলাম। ওপেন করেই বুঝলাম চেইন মেইল। আরবভূমিতে এক বাঙ্গালীর এক আশ্চর্য উপাখ্যানের কাহিনী। পুরো আরব্য রজনীকেও যেন হার মানায়। তা থেকেই কপি পেস্ট করে দিলাম ছোট একটা অংশ)
ধান্দাবাজি করার সূত্রে কিছু আরব জোয়ানের সাথে আমার লদকা লদকি সম্পর্ক আছে। ব্যাপারটা একটু অসাধারণ এই জন্যে যে, বাঙালী ইন্ডিয়ান পাকিস্তানী কাউকে জোয়ান আরবদের সাথে সচরাচর লদকালদকি করতে দেখা যায় না। প্রধাণ কারণ পুষ্টিহীনতার কারণে উপমহাদেশীয়রা সচরাচর হালকা পাতলা হয়, মাংস ধরতে গেলে হাড্ডির গুতা খাওয়া লাগে। জোয়ান আরবরা যেমন তাগড়া একেকটা, ওদের শিকারগুলোরও হওয়া চাই মাংস গোশ্তওয়ালা।
আমার শরীর ভর্তি গোশ্ত। ভূলভাল আরবীতে প্রয়োজনীয় সময়ে এ্যাকটিভ পার্টনারের সাথে উত্সাহমূলক কথা চালিয়ে যেতে পারি। তুমুল আড্ডায় আরবী শব্দ খুজে না পেলে ভূলভাল ইংরেজী চালিয়ে দেই ধুমাধুম। ওরা আরো মজা পায়। মজা পেয়ে মাঝে মাঝে পয়সা ছুড়ে দেয়। আমি খুশীতে বাদর লাফ দেই। নিজেকে মনে হয় যেন আরব ইতিহাসের কিংবদন্তি ভাড় বাহলৌল(বাহলৌল বিযয়ে একটা লিংক পেলাম এইখান)। অনেকে আবার আমাকে প্রাইভেটে ডাকে। প্রাইভেটে অনেকে বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতাগুলো শুনতে চায় আমার। আমি জানি না এই মূর্খ আরবরা আমার বৈজ্ঞানিক আলোচনা থেকে কি মজা পায়। তারপরও ওদের শোনাই। শুনে অনেকে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে মাটিতে।যত হাসাতে পারি আমার ইনকাম হয় ততো বেশী। সেই ইনকাম থেকেই একটা নোকিয়া এন-৯৫ কিনলাম কিছুদিন আগে।
আমার আরব জোয়ানগুলোকে খুবই ভালো লাগে। আজান হলে মসজিদে যাবে, নামাজ পড়বে আবার াগিও লাগাবে। ঠিক যেমনটি আমি চাই। কে কয়জনকে লাগাতে পেরেছে তাই নিয়ে শুধু আলোচনা। আমি আনন্দিত হই। ইচ্ছে করে ওদের মতো হতে। একদিন দুই জোয়ানের কথাবার্তায় বুঝলাম নতুন জিনিস এসেছে। নতুন কিছু চেখে দেখার ইচ্ছা আমার অনেকদিনের। শুধু সুযোগের অভাবে হাত দিয়েই চালাতে হচ্ছে। আস্তে করে ওদের পাশে গিয়ে বললাম, “হুজুর আমাকেও ভাগে একটু দিন না”। আমার প্রস্তাব শুনে তো ওরা হেসেই খুন। বলে “তুই ওর সাথে কি করবি শুনি? আমাদের গেলমানী করছিস তাই কর গে, মেয়ে লাগানো তোকে দিয়ে হবে”। শুনে বেজায় রাগ লাগলেও বলি “কেন আমার বুঝি ইয়ে নেই? আমার আছে ফাসকেলাস মেশিন”। তাই শুনে ওরা শুরু করলো আবার হাসাহাসি। বললো “ দেখা দেখি, কেমন ফাসকেলাস তোর মেশিন”। একটু দ্বিধা করলেও একটু পড় আলখাল্লা তুলে দেখিয়ে দিলাম আমার জিনিসপাতি। দেখেই দুজন কেমন যেন থতমত খেয়ে গেলো, তারপর একে অন্যের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে যেই বিকটভাবে হাসি শুরু করলো তা আমি আমার জীবনেও দেখিনি। ওদের হাসি যেন থামতেই চায় না। প্রথমে গর্বে বুকটা ফুলে উঠলেও কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম ওরা কি জন্য হাসছে। আলখাল্লাটা আস্তে করে নামিয়ে চুপেচুপে বেড়িয়ে এলাম ওদের অফিস থেকে। আর কখনো সে মুখো হইনি।
আলোচিত ব্লগ
সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নীল নকশার অন্ধকার রাত

কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।
মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[
স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।