মিয়ানমার বিতর্কিত সমুদ্র এলাকায় কোরিয়ান কোম্পানি দাইয়ুর মাধ্যমে তেল-গ্যাস অনুসান চালাচ্ছিল। বাংলাদেশ এর প্রতিবাদ করলে আপাতত অনুসানের কাজ ব রাখলেও সম্ভাবনাময় ঐ অঞ্চলের দাবি ছাড়েনি মিয়ানমার। দেশ স্বাধীনের তিন যুগেরও বেশি পার হলেও এখনও ভারত ও মিয়ানমারের সাথে পূর্ণরূপে সীমানা নির্ধারিত হয়নি। ফলে দু'টি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। অপরদিকে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বঙ্গোপসাগরেও নির্দিষ্টভাবে মালিকানা সমস্যায় ভুগছে প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতীম তিন দেশ।
বর্তমান সমস্যাকে দেশের সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে দায়ি করেছে। কারণ, সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করার পর কূটনৈতিক যোগাযোগের পর আপাতত অনুসান কাজ স্খগিত রেখেছে মিয়ানমার। অথচ এর আগে তাদের সাথে তেমন কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠক হয়নি। সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পর দু' দেশের মধ্যে অন্তত প্রতিমাসে একবার কূটনৈতিক বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মিয়ানমার ইকোডিসট্যান্স পদ্ধতিতে সমুদ্রসীমা চিহ্নিত করতে চায়। এজন্য তারা বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-পশ্চিম রেখা টেনেছে। যদি ইকোডিসট্যান্স পদ্ধতিতে পূর্ব-পশ্চিম রেখার সাহায্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করা হয় তাহলে প্রাকৃতিক সম্পদের সম্ভাবনাময় এলাকার বিশাল অঞ্চল তারা দখল করতে পারবে। বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ তার প্রাপ্য ঠিক রাখতে ইকুইটির ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন থেকে উত্তর-দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে সীমানা নির্ধারণ করতে চায়। বাংলাদেশ-মিয়ানমারের বিতর্কিত সমুদ্র অঞ্চলের মধ্যে ৮-১৩ এবং ৭-১০ নম্বর ব্লক রয়েছে। বিতর্কিত এলাকায় অনুসানের ফলে বুপ্রতীম দু'টি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরেছে। অপরদিকে সমুদ্রসীমা নির্ধারণীতে পরাশক্তি ভারত ও ইকোডিসট্যান্স পদ্ধতিতে সীমানা নির্ধারণ করতে চায়। সমুদ্র সীমানা সংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদে (আনক্লজ) ইকোডিসট্যান্স এবং ইকুইটি দু'পদ্ধতিতেই সমুদ্রসীমানা নির্ধারণ করা যাবে। যদি ইকোডিসট্যান্স পদ্ধতিতে সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ করা হয় তাহলে বাংলাদেশের বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ হাতছাড়া হবে। পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্রই দিনদিন মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ঠিক তখনই আমাদের শ্যামলীময় দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। দু:খজনক হলেও সত্য জ্বালানি সংকটে আজ দেশের সবক'টি উৎপাদন শিল্পে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। দেশের ভূগর্ভস্খ গ্যাসের পরিমাণ নির্ণয় করতে পারেনি। লোডশেডিংয়ের কারণে শতশত শিল্প-কারখানা ব হয়ে গেছে এবং অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান বরে পথে।
অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে এগুলোকে চালু করতে হবে। দেশের কয়লা খনি থেকে কিভাবে তা উত্তোলন করা হবে তা ঠিক করতে পারেনি। অথচ ভূ-গর্ভস্খ প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসানের জন্য যে শ্রম এবং অর্থ ব্যয় করা হয় তা দিয়ে বঙ্গোপসাগরে অনুসান করলে বেশি লাভ হবে। যদি আগে থেকেই মিয়ানমারের সাথে কূটনৈতিক বৈঠক নিয়মিত হতো তাহলে আজকের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না। অথচ মিয়ানমারের মতো ছোট দেশ বঙ্গোপসাগরে ১টি ব্লকে সফল অনুসান কাজ সম্পন্ন করেছে। এখন তারা দ্বিতীয় ব্লকে কাজ শুরু করেছে। মিয়ানমার তাদের অনুসান কাজ পরিকল্পনানুযায়ী চালিয়ে যাবে। ব করবে না। অথচ বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে অনেক দূরে অবস্খান করছে। মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
আজ মিয়ানমারের মতো ছোট রাষ্ট্রও বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনের ষড়যন্ত্র করছে। কারণ, একটিই দেশে গণতন্ত্র এবং জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্খিতিই তাদের এ ষড়যন্ত্র করার সাহস যুগিয়েছে। দাইয়ু গত সেপ্টেম্বরে রিগ স্খাপন করেছে। সফলভাবে অনুসান করতে তিনমাস সময় লাগে। বিরাজমান সমস্যার ফলে দু'দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে থমথমে অবস্খা বিরাজ করছে। দেশের সাধারণ মানুষ আজ কূটনৈতিক যোগাযোগের অভাবেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন। দেশের স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব ও প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সমুদ্রসীমানা নির্ধারণীতে দ্রুত সমাধান দরকার। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সংস্খার সাহায্য নেয়া দরকার। যদি সমুদ্রসীমানা নির্ধারণীতে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় সমাধান করা যায় তাহলে তাই মঙ্গলজনক। তবে দেশের স্বার্থেই নিজেদের ব্লকে অনুসান করা দরকার। সমস্যার সম্মুখীন নাহলে সমাধান হয় না। তাই সমস্যা যখন হয়েছেই তখন ভারতের সাথে অমীমাংসিত ৪ হাজার ১শ' ৪৪ কিলোমিটারের সীমানা সমাধান করে নেয়া দরকার। যাতে ভারত আর কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার নাম করে আমাদের দেশের দিকে না আসতে পারে। সেইসাথে মানবাধিকারের দিকে লক্ষ্য করে যেন নিরপরাধ বাংলাদেশীকে নির্বিচারে হত্যা না করে।
স্বাধীনতা লাভের এত পরেও আমরা আসল স্বাদ পেলাম কি?............
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।