somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারী নির্যাতনের ..........................মাত্রা বেড়েই চলেছে....... রোধে চেষ্টা করতে হবে সকলকে

০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশসমূহের মতো আমাদের বাংলাদেশের দারিদ্র্যলাঞ্ছিত ও ভাগ্যবিড়ম্বিত জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশ নারী। বিভিন্ন কারণে আমাদের এই অবহেলিত নারীদের জীবনের মৌলিক অধিকারগুলো একদিকে যেমন পূরণ করতে পারছে না। ঠিক তেমনি অপরদিকে তাদের প্রাপ্য অধিকার সম্পর্কেও তারা খুব একটা সচেতন নয়। পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্খায় শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নানা ধরনের গোঁড়ামি, সামাজিক কুসংস্কার, রক্ষণশীলতা, বাধাবিপত্তি নারী সমাজকে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়নি।
সর্বনাশা যৌতুকের কারণে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত হয় আমাদের বাংলাদেশের নারীরা। ভয়ংকর এসিড সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে আমাদের নারীরা। নজিরবিহীন বেকারত্ব, নিত্য অভাব-অনটন, দু:খ-দুর্দশা, অনাহার-অর্ধাহার, ক্ষুধা-দারিদ্র্র্য এবং শিক্ষাহীনতার প্রভাব পড়ছে এদেশের নারীশিক্ষা ও নারী উন্নয়ন তথা অগ্রগতির উপর। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের জোয়ারের মধ্যেও নারীরা প্রতিমুহূর্তে নানাভাবে নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
আমাদের বাংলাদেশের নারীরা যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন, শোষণ-বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হয়ে আসছে। স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরও এদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আমাদের নারী সমাজকে তেমন সম্পৃক্ত করা হয়নি। এমনিতেই এদেশের নারীরা প্রকৃতিগত কারণেই অভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয় বলে নারীরা সর্বক্ষেত্রে অবহেলার শিকার। দারিদ্র্যলাঞ্ছিত ও ভাগ্যবিড়ম্বিত এবং অশিক্ষিত শ্রেণীর বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে এ বঞ্চনা ও অবহেলা ছাপিয়ে বর্তমানে সারাদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা কেবল বেড়েই চলছে।
নারী নির্যাতন বলতে আমরা বুঝি এমন সব লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়ন যার ফলে ব্যক্তিগত জীবনে এবং সামাজিক জীবনে একজন নারী অর্থনৈতিক, দৈহিক, যৌনগত কিংবা সামাজিক অথবা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোন বা হতে পারেন। তবে বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনগুলোর অন্যাতম হচ্ছে­­ পরিবারের মধ্যে অত্যাচার, অপহরণ, নারী ও শিশু পাচার, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, দগ্ধ করা, হত্যা, মানসিক নির্যাতন, গর্ভধারণকালীন নির্যাতন, পরিবারে শিশুদের যৌন নিপীড়ন, যৌতুক বিষয়ক নির্যাতন ও জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা।
আমাদের বাংলাদেশে উচ্চহারে মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ নারীদের সামাজিক অবস্খান অতি নিম্ন। এ কারণেই আমাদের নারীরা প্রতিনিয়ত পারিবারিক-সামাজিকভাবে অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বাল্যবিয়ে অর্থাৎ আঠারো বছর বয়সের আগে বিয়ে, আর বিশ বছর বয়সের আগে মা হওয়া, ঘন ঘন সন্তান হওয়া, অধিক সন্তান জন্ম দেয়া, অনাহার, অর্ধাহার, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, চিকিৎসার অভাব, অপচিকিৎসা, গর্ভকালীন বিশেষ যত্ন না পাওয়া সর্বোপরি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ইত্যাদি মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ।
দেশের শিক্ষিত ও সচেতন ব্যক্তি মাত্রই কম-বেশি জানেন, নারীর প্রতি যে কোন ধরনের সহিংস তৎপরতা বা তার হুমকি নারীর জীবনে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দেয়। এতে করে নারীর ক্ষমতা অর্জন, উন্নয়ন-অগ্রগতি ও শান্তির জন্য বাধার সৃষ্টি করে। নির্যাতনের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে নারীর গতিশীলতার পথে একটি স্খায়ী বাধা এবং তা সম্পদ ও মৌলিক কর্মকাণ্ডে তাদের ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্য অধিকার লাভের সুযোগ সীমিত করে দেয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন ও যৌন নির্যাতনের সুবিদিত ঝুঁকির উপাদানগুলো আমাদের বাংলাদেশে বর্তমান অতি প্রচলিত রয়েছে এবং এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্ষুধা-দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা এবং শিক্ষার অভাব। এদেশের খুব কম সংখ্যক নারী তাদের নাগরিক মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন।
প্রাপ্ত বিভিন্ন সমীক্ষা ও তথ্য এবং সূত্র থেকে স্পষ্টত প্রতীয়মান যে, নারী ও শিশু নির্যাতন আমাদের বাংলাদেশে একটি মারাত্মক সমস্যা। এই বিষয়টি শিক্ষিত ও সচেতন সবাই মৌখিকভাবে স্বীকার করলেও বাংলাদেশের সমাজে নারীর অবমূল্যায়ন রোধে আজও তেমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্খা গড়ে উঠেনি। সাহায্য প্রার্থনাকারী নারীদের কার্যকরভাবে সাহায্য করার অনীহা নারী নির্যাতন সম্পর্কে মানুষের সাধারণ মনোভাবকে প্রতিফলিত করে।
সংবাদপত্র, পুলিশ, আইন-আদালত ও হাসপাতালের রিপোর্ট থেকে দেখতে পাই, আমাদের নারী নির্যাতনের ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যৌন হয়রানি, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, দগ্ধ করা, মারপিট করে গুরুতর আহত করা, হত্যা, অপহরণ, এসিড নিক্ষেপ এবং নারী পাচারের হার প্রতিদিন, প্রতি মাস এবং প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণভাবে দেশব্যাপী আমাদের সংবাদপত্রগুলো এবং নারী ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসমূহের জোরালো লেখনি, প্রচার-প্রচারণা এবং আইনী সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডের ফলে এই বিষয়টি অধিক প্রাধান্য পাওয়ায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই সমস্যা সমাধানের উপায় উদ্ভাবনের জন্য সংবাদপত্রসমূহ জোর লেখনী এবং বুদ্ধিজীবীদের প্রায়ই মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কর্মক্ষেত্রেও শিক্ষিত, মূর্খ নির্বিশেষে আমাদের নারীরা প্রতিদিন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। নারীকে তার ইচ্ছানুযায়ী কোন কাজ করতে বাধা কিংবা ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও তাকে কোন কাজে বাধ্য করা হয়। নারীর উপর যে কোনো ধরনের সহিংস তৎপরতা যার ফলে তার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি কিংবা বিপর্যয় ঘটে তাকেই এক কথায় নারী নির্যাতন বলা যেতে পারে। যেমন­­ আমাদের এই সমাজে যে কারো সংসারে শিশু, কিশোর-কিশোরী, যুবতী মেয়ে, বিবাহীতা মেয়েসহ সব বয়সের শিশু ও নারীদের গালাগাল, মারপিট, যৌন নিপীড়ন, যুবতী বধূদের যৌতুক আদায়ে নির্যাতন, স্ত্রীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও টাউট-বাটপাড়ের কূটচালে অভিভাবকদের নির্যাতনে স্বামীর সঙ্গে তালাকের মাধ্যমে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করানো, স্ত্রীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোরপূর্বক সহবাস, মেয়েদের বর্বর কায়দায় যৌনাঙ্গচ্ছেদ, ধর্ষণ, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্খানে নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, নারী অপহরণ, নারী পাচার, পতিতাবৃত্তি গ্রহণে বাধ্য করা, বাল্য বিবাহ, এসিড নিক্ষেপ, হত্যা, আত্মহত্যায় প্ররোচণা দান, গর্ভপাতে বাধ্য করা, ব্যাত্বকরণ, গর্ভনিরোধক ব্যবহারে বল প্রয়োগ করানো, গর্ভস্খ ছেলে না মেয়ে শিশু বা নির্ধারণ করা এবং মেয়ে শিশু হত্যা করা।
উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে আমরা বলতে পারি, শিশু ও নারী নির্যাতন শুধু জনস্বাস্খ্য সমস্যা নয়, এটা ধর্মীয় মূল্যবোধ, সামাজিক সম্প্রীতি ও রাষ্ট্রের প্রচলিত বিধিবদ্ধ আইনের পরিপন্থী এবং নাগরিক মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের সুষ্ট লংঘনও। এতোকিছুর পরও বলতেই হয়, এদেশের নারী তার জীবনের শুরু থেকে সব সময়ই নির্যাতনের সম্ভাবনার মধ্যে থাকে কিংবা নির্যাতিত হয়।
নারী নির্যাতনের কারণে শরীরে ও মন-মানসিকতায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে। এটি যে শুধু নারীর জীবন ও প্রজননে প্রভাব ফেলে তা নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদের বিশেষ করে শিশুদেরও তা প্রভাবিত করে।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ হলো শিশু ও নারী। একটি পরিবারে শিশুকে এবং পরিবারকে সুন্দর ও সুসংগঠিত রাখতে যার ভূমিকা প্রধান সে হচ্ছে নারী। কাজেই আমাদের পারিবারিক ও সমাজ জীবনে নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অপরদিকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় অথবা কর্মক্ষেত্রে নারী তার যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে আসছে।
এখানে বিশেষভাবেই উল্লেখ করা যায় যে, সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য, সহিংসতা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসীর সঙ্গে অংশীদার হয়েছে।
বাংলাদেশ নারীর বিরুদ্ধে সর্ব প্রকারের বৈষম্য দূরীকরণে সিডো সনদে স্বাক্ষরদানকারী একটি সদস্য রাষ্ট্র। আমাদের বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা জোরালোভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানে নারীর প্রতি বৈষম্যকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরই আলোকে গ্রহণ করা হয়েছে নারী উন্নয়ন নীতিমালা ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনা।
নারী নির্যাতনের জটিল ও নানামুখী সমস্যা মোকাবেলায় মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক সরকারের যৌথ উদ্যোগে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্খ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যাবলী হচ্ছে নির্যাতনের শিকার নারীদের উন্নততর জনসেবা যেমন­­ স্বাস্খ্য, পুলিশী সহায়তা, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্খা এবং সামাজিক সেবাগুলো এর আওতায় আনা এবং সব ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
দেশের বিভাগীয় সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে অবস্খিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) প্রকল্পের একটি মুখ্য কর্মসূচি। নির্যাতিত নারীদের সকল প্রয়োজনীয় সেবা একস্খান থেকে প্রদান করার ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ওসিসি। স্বাস্খ্যসেবা, পুলিশী সহায়তা, সামাজিক সেবাগুলো, আইনী সহয়তা, মানসিক কাউন্সিলিং এবং আশ্রয় সেবাগুলো ওসিসি'র মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।
দেশের নির্যাতিত নারীদের দ্রুত ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ন্যাশনাল ফরেনশিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরী স্খাপন করা এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
দেশব্যাপী নির্যাতিত নারীদের সহায়তা করার লক্ষ্যে বিভাগীয় মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের তদারকিতে পাঁচটি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বিভাগীয় ডিএনএ স্কিনিং ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন ঘৃণ্যতম অপরাধ যেমন­­ ধর্ষণ, হত্যা ইত্যাদি দমনে এই ল্যাবরেটরী সুবিধাসহ পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্খাকে সহায়তা প্রদান করবে।
আমাদের নারীদের প্রতি সব ধরণের সহিংসতা রোধে ও তাদের উন্নয়নের জন্য সরকারের গৃহীত সকল কার্যক্রম সম্পর্কে সমগ্র দেশে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যম আরো ব্যাপক ভূমিকা নিতে পারে। দেশের সকল টিভি চ্যানেল, জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রগুলোকে আরো বেশি করে অনুসান ও ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করা দরকার। ফলে সর্বস্তরের মানুষ বেশি বেশি সচেতন হবে এবং শিশু ও নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন সহিংতা কমতে থাকবে।
পরিশেষে আমরা একথাটিই বলবো, নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধ এবং নারীর স্বার্থ রক্ষা, অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ সাধনে আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে বাংলাদেশ অবশ্যই একদিন সুখ, শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই। এতে সন্দেহ করার কোনো অবকাশই নেই।

সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য, সহিংসতা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসীর সঙ্গে অংশীদার হয়েছে।
বাংলাদেশ নারীর বিরুদ্ধে সর্ব প্রকারের বৈষম্য দূরীকরণে সিডো সনদে স্বাক্ষরদানকারী একটি সদস্য রাষ্ট্র। আমাদের বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা জোরালোভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানে নারীর প্রতি বৈষম্যকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরই আলোকে গ্রহণ করা হয়েছে নারী উন্নয়ন নীতিমালা ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনা।
নারী নির্যাতনের জটিল ও নানামুখী সমস্যা মোকাবেলায় মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক সরকারের যৌথ উদ্যোগে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্খ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নের সহযোগী হিসেবে কি কাজ করছে ?
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×