সকালে পরিচিত এক স্বর্গের কল পাইয়া আমি বিরক্ত। সে আমাকে ডাকিতেছে। তাহার নাকি একটি চার্জার দরকার। ঠিক তাহার নয়। তাহার মোবাইল ফোন নামক যন্ত্রটির।
টাকার মায়া সবার আছে। এই দুর্মূল্যের বাজারে ১০০ টি টাকা ধাক্কা আমি সহ্য করিতে পারিবনা। তাই স্বর্গের মালিকান কে বলিলাম: "আমার এত সময় নাই। পারিলে আমাদের বাসায় আসিয়া চার্জ দিয়া যাও।"
আমার ও তাহার মোবাইল ফোন যন্ত্রটি একই কোম্পানীর তৈয়ারী হওয়ায় খানিক পরেই সে বাসায় আসিল। তাহার আগেই আমি কাজের ছেলেকে দশটাকা প্রদানপূর্ব বাহিরে এক ঘন্টার জন্য খেলিতে পাঠাইয়াছিলাম।
অত:পর আমি আমার কম্পমান হাতে হামাগুড়ি দিয়া আমার স্বর্গের দ্বারের কাছে গিয়া উহা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অনুমতি চাইলাম। মালিকান বলিলেন বর্ষাকাল আসন্ন, তাই বিপদসংকুল পথে পা বাড়ানো উচিৎ হইবে না।
একবার ক্ষনিকের তরে ভাবিয়া দেখিলাম। এলাকার সব ঔষধের দোকানের বিক্রেতারা আমাকে চিনে। অপরিচিত দোকানটিও প্রায় দুই মাইল দুরে অবস্থিত। চারিদিক দেখিয়া আমি ঠিক করিলাম যাহা খুশী তাহাই হউক।
তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মনে প্রশ্ন জাগিতেছে তবে কি আমার প্রথম সন্তান অন্যের পরিচয় নিয়াই বড় হইবে?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




