বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে 'ডিজিটাল' শব্দটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হতে থাকে। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয় যখন ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন করা হয়। কোন মাইকিং ছাড়াই লোকজন 'ডে লাইট সেভিং টাইম' নামক এই টার্মটিকে 'ডিজিটাল টাইম' বলে ডাকা শুরু করে। প্রথম প্রথম বিরক্ত লাগতো এত সুন্দর একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত একটি নামকে বাংলাদেশের মানুষ আকিকা ছাড়াই পরিবর্তন করে ফেলল। কিন্তু সবকিছুকে অগ্রাহ্য করে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাননীয় উপদেষ্টা যখন বলেন ঘড়ির কাঁটা আর পরিবর্তন করা হবে না তখন থেকে আমি ও এটাকে ডিজিটাল টাইম নামে ডাকা শুরু করলাম। আর না ডেকে উপায়ই বা কি বলুন এখনকার সময় পদ্ধতি তো আর 'ডে লাইট সেভিং টাইম' এর থিওরি তে পড়ে না।
কিছু ডিজিটাল রংগঃ
১নং রংগঃ
বাসে এক লোক আরেক লোক কে জিজ্ঞেস করে ভাই কয়টা বাজে। তখন দ্বিতীয় লোকটি জবাব দেয় ভাই ডিজিটাল ১২ টা।
২নং রংগঃ
১৯শে জুন, ২০০৯। বাংলাদেশের ইতিহাসে যথাসম্ভব শেষ এনালগ দিন। তো ঐ দিন রাত ১১ টায় মানে ডিজিটাল ১২ টায় আমি আমার এক পরিচিত বড় ভাইকে ফোন দিলাম। সেই ফোনের কথোকপকথনের একটু অংশ তুলে ধরলাম।
আমিঃ ভাই এই যে ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা এগিয়ে দিল আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
বড় ভাইঃ জানো আমি জীবনে অনেক আগে যেতে চাইছি কিন্তু পারি নাই সবসময় পিছনে পড়তাম। এখন আমার শখ পুরন হইছে আমি একঘন্টা আগাইয়া গেছি। এর জন্য বর্তমান সরকারের অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য।
৩নং রংগঃ
ঐ দিন রাতে আমার মোবাইলে একটি এস এম এস আসে যা ছিল নিম্নরুপঃ
" আজ রাত ১২ টায় বিটিভি তে সরাসরি দেখবেন প্রধানমন্ত্রী কিভাবে দেশের ১২ টা বাজান। আপনি ও সপরিবারে উপভোগ করুন"।
উপদেশমুলক (Moral) রংগঃ
তখন মনে না হলেও এখন মনে হচ্ছে যে দেশের ১২টা বেজে গেছে। সরকারের কাছে (বৃথা) অনুরোধ (মনে হয় না সরকারের কেউ এই ব্লগ পড়বে) দেশের ১২টা আর না বাজাইয়া ১১টা বাজান। আমরা আর ডিজিটাল টাইমে থাকতে চাই না, এনালগ টাইমে ফিরতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



