somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফেলে আসা স্মৃতি

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি জানি এটা কেমন ফিল হয়। :( কজ আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমাকে স্কুলে পড়তে হত। তো এমনি একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে আমি দু'টো মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসছিলাম, সেগুলো এত্ত কিউট ছিল। এবং আমি এত পছন্দ করতাম ওদের। আমি ওদেরকে আমার নিজ বাচ্চার মত করে বড় করেছিলাম। ছেলে বাবুটার নাম দিয়েছিলাম আয়তুল আর মেয়ে বাবুটার নাম ছিল ফাতিহা। আই কেন স্টিল রিমেম্বার, ওদের জন্যে আমি আদর্শ লিপি বইও নিয়ে এসছিলাম। ওদের হাতে(ডানা)
পেনসিল গুঁজে দিয়ে ওদের লিখাতাম, কোশ্চেন পেপার বানিয়ে এক্সামও নিয়েছিলাম। ইন ফ্যাক্ট ওদের জন্য আমি নিজ হাতে ড্রেসও বানিয়ে দিয়েছিলাম ওরা যেন ঘর নষ্ট না করে কজ আম্মু এটা ডিসলাইক করত কজ আমি স্কুলে থাকাকালীন ওকে দেখে রাখতে হত বাচ্চা দু'টোকে। আমি এখনও মনে করতে পারি আমি কিভাবে ঘুমাতাম ওদেরকে সাথে নিয়ে। ওদের না খাইয়ে দিয়ে আমার খাওয়া হত না। আমি এতটাই কষ্ট করে, ভালোবেসে, আদরে, যত্নে ওদেরকে বড় করেছিলাম আর একদিনে সব শেষ হয়ে গেল যখন আমি বাসায় এসে ওদের কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমি রেস্ট নিতে পারছিলাম না, খেতে পারছিলাম না।
তারপর আম্মুকে অনেক জোড় করার পর শেষে যখন বলল যে ওরা আম্মুকে খুব জ্বালাচ্ছিল তাই ওদের রান্না করে ফেলসে! এটা শোনার পর আমি এতটাই শকড ছিলাম সেসময় যে কি বলব বুঝতেও পারছিলাম না। জাস্ট মনে হচ্ছিল কিছু একটা নেই। হারিয়ে যাচ্ছে দূরে কিছু একটা...
এখনও খুব মনে আছে চোখে জল নিয়ে আম্মুকে জাস্ট বলতে পেরেছিলাম-"তুমি আমার বাচ্চাদের রান্না করে ফেলতে পারলা!?" সেটা অবশ্য বাসায় কেউ খায়নি দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমি ওদের উপর এতটাই রেগেছিলাম যে একদিন আর অর্ধেকদিন মোট দেড়দিন কিছু খাইনি (বাসায় খাইনি, কজ সারা দিনের খাবার স্কুল থেকেই খেয়ে আসতাম যেটা ওরা জানতো না! :3 এটা আমার ওয়ে ছিল, যখন রাগ করতাম, মুখে বলতাম না কিছুই। জাস্ট খাওয়া বন্ধ করে দিতাম। এতে আমার প্রতি ওদের যত্ন আরও কয়েক গুন বেড়ে যেত, কজ মেয়ে খায়নি, খাওয়াতে হবে বলে কথা, সব আবদার পূরণ :D তবে ওরা জানত না স্কুলে আমি ঠিকই...আহা! আর না বলি, কিছু কথা থাক না গোপন :p ) যাই হোক, এরপর বাবা অবশ্য দশটা ছানা এনে দিয়েছিল যাদের কেউ-ই বাঁচেনি পরবর্তীতে! :(
(আজ এই পিকটা দেখে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। জীবনে আসলে এমন সিলি ম্যাডনেসগুলো থাকা উচিত। যাতে একসময় বুড়ো হয়ে গেলে, এগুলো মনে করে একগাল হেসে নেওয়া যায় এবং আমার এমন স্মৃতি বেশকিছু আছে ^_^ :D )

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×