আজ ঢাকা গাজিপুর সাভার আশুলিয়ার গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসেছে। তারা গাড়ি ভাংচুর ও বিজিএমএই এর ভবন ঘেরাও, ভবেন ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং বিজিএমএই এর সাহেবদের গাড়িতেও আগুন দেয় শ্রমিক রা।
.
কি এটা বেশী বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে?
ভুমি ধসের সাথে গাড়ি ভাংচুরের সম্পর্ক কি?
.
কেন তারা এমন করবে না বলতে পারেন?
মাত্র ৩০০০ টাকার বেতনের চাকরি।
তাও আবার হরতাল বিরোধী মিছিল করানো হয় তাদের ধারা।দেশের রাজস্বের সিংহ ভাগ আসে গার্মেন্টস থেকে। অথাৎ সেই শ্রমিকের কষ্টার্যিত শ্রম থেকে চলে পুরো দেশ।
কিন্তু তাদের লাভ কত?
তাদের বেতন ৩০০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে তাদের পরিবার চলে।
এত বড় ত্যাগের মাধ্যমে যারা দেশ চালায় গত পরশু যখন তাদের মাথায় ছাদ ধসে পড়ে তখন সেই এলাকার সংসদ সদস্য দোষীকে বাচিয়া চিকিৎসা করিয়ে এখন আবার পালাতেও সাহায্য করছেন।
.
শুধুই কি এতে ক্ষান্ত হল তারা?
লাশের সংখ্যা নিয়ে আছে বিভ্রান্তি।
সরকারি বেসরকারি টিভি চ্যনেল বলছে লাশের সংখ্যা বলছে ৩০০।
কিন্তু যারা সাভার আছে তাদের মতে সংখ্যাটা আকাশচুম্বি।
কিন্তু কাল দেখলাম লাশ সংখ্যা বিভ্রান্তের জন্য খোদ সাভারে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।
.
আজ জাতি যখন সবচেয়ে বড় ক্রান্তি কাল অতিকাল অতিক্রম করছে তখন রাজনৈতিক কর্মীরাও চুপ নেই। এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে রাজনিতি শুরু করলেন তারা। সরাষ্ট্রমন্ত্রি বললেন গেট ধরে টানাটানি করেছে হরতাল সমর্থকরা।
বিরোধীদলীয় নেতারা বলছেন হরতাল বিরোধী মিছিল করতে জড়করেছিল শ্রমিকদের।
হেপাজতে ইসলাম বলছে আল্লাহর গজব।
.
টিভি চ্যনেলের রাজনীতি ও থেমে নেই।
সময় টিভিতে বলে উদ্ধার কাজ এক ধাপ এগিয়েছে
আর দিগন্ততে শুনি ধীর গতিতে চলছে উদ্ধার কাজ।
.
তবে আজ আমার একটা প্রশ্ন না করে পারছি না।
ফায়ার সার্ভিস ও সরকার বলছে উদ্ধার কাজের যন্ত্রপাতির অভাব।
অথচ কিছু দিন আগে আমরা রাশিয়া থেকে কিনেছি কোটি টাকার অস্ত্র। চীন থেকে কিনেছি কয়েক কোটি টাকার যুদ্ধ বিমান। কিন্তু এগুলো কি খুবই জরুরী ছিল?
নিমতলি ট্রেজেডি তাজরিন গার্মেনটস এর আগুন থেকেও কি আমরা কিছু শিক্ষা নিতে পারতাম না?
সে টাকা দিয়ে কি আমার উদ্ধার কাজের যন্ত্রপাতি কিনতে পারতাম না?
.
মুলত আমাদের সরকারের কিছু ভুল সিধান্তের জন্য আমাদের মত সাধারন পাবলিকের এই দৈন্য দশা কিন্তু আজ সাধারন পাবলিকরা আর বসে নেই। কেউ রক্ত দিয়ে ওষুধ দিয়ে অক্সিজেন দিয়ে কেউ কেউ তো সরাসরি উদ্ধার কাজে সহয়তা করছেন।
.
পরিশেষে আমার শোক প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার নাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করি "আল্লাহ যারা এখনো জীবত আছে তাদের রক্ষা কইরো আর যারা মারা গেছে তাদের জান্নাত দান কইরো। আর যাদের জন্য এই রকম ঘটনা তাদের তুমি শাস্তি দিও"।