শরীয়া আইনের বিষয়টিকে ইসলামবিরোধী মহল একটা ভীতিকর লেবাস পরিয়ে দিয়েছে। ইসলামবিরোধী মহলের একটা কারসাজি এইযে তারা শক্তিশালি মিডিয়া প্রচারের মাধ্যমে কোন বিষয় সম্পর্কে ভুল এবং অন্ধ পূর্বসংস্কার(prejudice) সৃষ্টি করতে পারেন, যা একজন মানুষের প েসঠিক তথ্য জানার ব্যাপারে সমস্যা হয়ে দাড়ায়।
প্রকৃতপ েশরীয়া আইন সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক, কার্যকরী, মানবিক এবং সমাজের সুস্থতা রক্ষায় মেক্ষম অস্থ্র । যেখানেই শরীয়া আইন কার্যকরী ছিল, সেখানে অপরাধের হার কমে এসেছে।
ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা। এর আইন কানুনের সমষ্টি (legal system)হচ্ছে এই শরীয়া আইন, যা অনেক ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনের থেকে ভিন্ন। তাই ইসলামী রাষ্ট্র মানে পাশ্চাত্য আইনের বদলে শরীয়া আইন ও আদালত এবং বিচারকদের বদলে কাজী।
শরীয়া আইনের দৃষ্টিভঙ্গি গুলো হচ্ছে:
1) অপরাধ যথাসম্ভব কমানো, যাতে একজন আপরাধী একশ জনকে সন্ত্রস্থ্থ করে না রাখতে পারে।
2) ইসলামিক ইনসাফ কায়েম করা।
3) ইসলামিক মানবাধিকার, নাগরিক অধিকার, শাসন মোট কথা সার্বিক হুকুমাত কায়েম করা।
4) ইসলামের পথে চলায় যাতে কোন বাধা না থাকতে পারে তা নিশ্চিত করা।
শরীয়ার প্রতিটি আইন অত্যন্ত চমৎকার।
যেমন শরীয়ায় আইন হচ্ছে চুরি করলে হাত কাটা, তা আবার চুরি করা জিনিসের দামের উপর নির্ভর করে হাত কব্জি থেকে না বাহু থেকে কাটতে হবে। এখন ধরা যাক বাংলাদেশে একটি গ্রামে কেউ মহিষ চুরি করায় তার হাত কাটা গেল। সে পরে কাটা হাতে ব্যান্ডেজ করল। এখন পরে সে কাটা হাত নিয়ে হাট-বাজার-সভা-বাসে যেখানেই যাবে, মানুষ তাকে দেখে শিউরে উঠে বলবে এইযে চুরি করায় এই অবস্থা, আমি চুরি করলে আমারও এই অবস্থা হবে। নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, আশেপাশের পাচ গ্রামের, যারাই তাকে দেখবে কেউ চুরি করার কথা ভুলেও মনে করবে না।
অথবা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদেরও হাত কাটা হবে। সেই রকম দু একজনেরটা কাটলেই কোন সরকারী অফিসে মানুষ দূর্নীতি কাকে বলে তাই ভুলে যাবে।
শরীয়া আইনে বেশীর ভাগ শাস্তি সবার সামনে দেয়া হবে, যাতে মানুষ ভয় পায়। যে একবার হাত কাটা, গলা কাটা, পাথর মারা, দোররা (বর্তমানে বেত হতে পারে) মারা, চোখের বদলে চোখ তুলে নেয়া এসব দেখবে, সারা জীবন তার সামনে অপরাধ ও দন্ডের একটি জীবন্ত ছাপ গেথে যাবে, অন্তত শাস্তির ভয় টা তার থাকবে সর্বদা।
এখনযে আমাগো দেশে ডেইলি ডজন ডজন ফাসি হয়, তাতে জনগনের মনের কোন পরিবর্তন হয়? পাবলিক খবরই রাখে না। কারাগার অভ্যন্তরটা সবার কাছে একটা রহস্য।
শরীয়া আইনে হাত-গলা কাটা, পাথর মারা সব জনসমাবেশ করে তার মধ্যে অনুষ্ঠান করে করা হবে (এখন সেীদি আরবে যেমন হয়)। বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ন দেশে এর তাৎনিক প্রভাব পড়বে, পরের দশ দিন দেখা যাবে খুন-খারাবি-চুরি-ডাকাতি সব লাপাত্তা।
যারা শরীয়া আইনকে বর্বর বলেন, তারা একটু ভাইঙ্গা কইতে পারবেন কোনটা বর্বরোচিত? এক লোক অকাম-কুকাম করছে সে শাস্তি পাইব, এতে বর্বরতার কি আছে আমি তো বুঝলাম না। ফী বছর প্রচলিত পাশ্চাত্য আইন কি সমাজে অপরাধ খেদাইতে পারছে?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



