রমজান নিয়ে প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ তারিক রমাদান একটি লেখা লিখেছিলেন গত ১৪ তারিখ। তারই অনুবাদ:
কালের নিরন্তর প্রত্যাবর্তনে আজ আমরা আবার একই মুহুর্তের সন্ধিক্ষনে। মহান মাসটি আবার শুরু হচ্ছে।
এই মাস অন্য সব মাসের মত নয়। অন্য মাসগুলোর সাথে ভিন্নতায় আমরা এই মাসে প্রবেশ করি আমাদের পুরো বিবেক, আত্মা এবং তনু নিয়ে। এই মাস কিছু পরিবর্তনের। পরিবর্তন হয়েছিল, হচ্ছে হতে থাকে। এই মাসের রুপার কাঠিটি হল আমাদের মন। এই মাসের মূল অক্ষে থাকে আমাদের বিবেচনার ক্ষমতা, যা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে আমাদের মনকে, মনের জগতকে।
রোজার মর্ম বৈশ্বিক, সারা বিশ্বময়......’তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন করে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল’......। এই বিধান পুরো মনকে খুটিয়ে খুটিয়ে করে জেরা। তীব্রভাবে, আলাদাভাবে, জরুরীভাবে। কেন স্বেচ্ছায় এই আত্ম-বঞ্চনা, যেখানে অন্যদের দৃষ্টির আড়ালে অতি সহজের খাওয়া-পান করা যায় কোন ঝামেলা ছাড়া? কেন?
এই মাস আমাদের শেখায় রোজা রাখতে, জীবন-যাপন করতে ঐ মহিমান্বিত সত্ত্বার তরে। আমাদের নিজের জন্যে। আমাদের মনের গহীন অন্দরের মুখোমুখি হওয়ার জন্যে। নিত্যকার হৈচৈ থেকে দূরে, বহুদূরে।
মানবমন মন নিজের প্রতি যেমন সলিল-স্বচ্ছ, নিবিড়, রমজান মাস হল রোজাদারের কাছে ঠিক তেমনি। ধাপে ধাপে, ক্ষনে ক্ষনে আল্লাহর কাছে, নিজত্বের কাছে, কুরআনে বর্ণিত ও রাসুল প্রদর্শিত পথে....সত্য ও সুন্দরের দিকে ফিরে যাওয়ার সংগ্রাম....স্বকীয় সত্ত্বাকে সমৃদ্ধ করে তোলার। সমৃদ্ধ করা দেহকে, বচনকে, আত্মাকে। রোজা আসলে আমাদের আপন অন্তস্থ সত্ত্বার দিকে ভ্রমন।
রমজানে আমাদের শিখতে হবে কিভাবে বিলিয়ে দিতে হয়। বিলিয়ে দিতে হয় হৃদয় দিয়ে। রমজান মাস উপহার নেবার, উদারতা দেবার। কিভাবে দিতে হয় নিজের সময়কে, সন্তুষ্টিকে, যোগ্যতাকে, আর্থিক সামর্থ্যকে। কিভাবে নিশ্চুপ হতে হয় ঘৃনা, বিক্ষোভ আর রাগের সময়, তার বদলে পুনরুচ্চারন করতে হয় ভালবাসার, কোমলতার, সহমর্মিতার অমৃতবানী।
কিভাবে গ্রহন করতে হয় আপনার জন্য আর একই সাথে বিলিয়ে দিতে হয় অন্যের জন্য....আর তার সাথে বাসনা করতে হয় সর্বজ্ঞ আল্লাহর সাথে মিলনের, বিধাতার অমলিন শান্তিকে স্পর্শ করার আর জীবনের যথার্থতার সাথে নিজেকে আত্মমগ্ন করে নেয়ার। আপনার রোজা তাই এবার হোক সুন্দর, সুগভীর, মসৃণ। আপনার মনের চমতকার খায়েশগুলোর সাথে তা হোক ব্যাপ্ত।
মূল লেখাটি পাবেন এখানে:
Click This Link