মুসলমানদের নিকট হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ) একজন সর্বোচ্চ স্তরের ধর্মীয় অনুসরনীয় ব্যাক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত, এবং এজন্য তাকে 'গাউসুল আজম' উপাধী দেওয়া হয়েছিল। তার সময়কাল ছিল সম্ভব নবম শতাব্দীর পুর্বে। তার দ্বারা অনেক বিস্ময়কর অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল, তিনি বিভিন্ন সময়ে গোপনে আল্লাহর কাছ থেকে বিভিন্ন নির্দেশ, বা বার্তা পেয়েছিলেন, যেটাকে ইসলামে গায়েবী বানী বলা হয়।
যাক, সে কথা। আমার মুল বিষয় সেটা নয়। শুধুমাত্র গাউসুল আজমের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা হিসেবে উপরেরটুকু লিখেছি।
তবে এই বিংশ শতাব্দী পার হয়ে এসে বাংলাদেশের মানুষ আরও একজন গাউসুল আজম পেয়েছে, যার প্রতিও আল্লাহর গোপন বার্তা প্রেরিত হয় বলে তিনি নিজেই জনসমুখে প্রকাশ করেছেন। তিনি হলেন আপনাদের সকলের সুপরিচিত, এসময়ের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি হাসান মশহুদ চৌধুরী।
নতুন নাম বলতে হবে- গাউসুল আজম হজরত লে: জে: হাসান মশহুদ চৌধুরী ক্যান্টনমেন্টী।
২০০৮ সালের বাংলাদেশের এক মহানায়ক, দুর্নীতির বিরূদ্ধে পবিত্র যুদ্ধ ঘোষনাকারী মহাবীর, যিনি অবশ্য আগে থেকেই সাগর চুরির মত দুর্নীতির সাথে জরিত থেকে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রবল প্রতাপশালী প্রধান কর্তাব্যক্তি হয়েছিলেন, যিনি সিংহের ন্যায় হুংকার ছাড়তেন, শেষ পর্যন্ত তিনি আল্লাহর প্রেরিত বার্তা পেয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু কি আশ্চর্য, শেষ পর্যন্ত তার সেই হুংকার পরিনত হয়েছিল বিড়ালে মিউ মিউ -এর মত।
আমাদের এদেশে বর্তমানে এরকম আরো কিছু ক্যান্টনমেন্টী গাউসুল আজম আছে, পরবর্তীতে তাদেরকে নিয়ে লেখার ইচ্ছা রইল।
(আমার কাছে কোনো ছবি ছিল না, কেউ একটা ছবি দিলে আমি উপরে যোগ করে দেব)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




