
৩৯ দলের ঘুম হারাম: গুলশানে সাবের চৌধুরীর গোপন বৈঠক, নর্ডিক দুনিয়ার বার্তা কী?[/su
“অন্তর্বর্তী সরকারের ছায়ায়, বিদেশিরা আবারও বাংলাদেশের রাজনীতির মানচিত্র আঁকছে।
ঢাকার গুলশানের এক শান্ত দুপুর। তবে সেই শান্তির ভেতরে ঘূর্ণায়মান ছিল প্রবল রাজনৈতিক ঝড়।
সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসভবনের দরজা বন্ধ। বাইরের লোক বুঝতেই পারছে না, ভিতরে কী এক রহস্যময় আয়োজন চলছে। দুপুর ২টা ৫৫-এ যে তিনটি বিদেশি গাড়ি চুপিসারে ভেতরে ঢুকল — তাদের কাচে কোনো পতাকা নেই, কূটনৈতিক চিহ্ন নেই — যেন সিনেমার সিক্রেট মিশন!
সেখানেই বসে আছেন তিন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূত
নরওয়ের হ্যাকন গুলব্রানসেন,
সুইডেনের নিকোলাস উইকস,
ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান মলার।
আর বৈঠকের আয়োজক, বাংলাদেশের রাজনীতির নীরব মুখ — সাবের হোসেন চৌধুরী।
কী নিয়ে কথা হলো?
সূত্র বলছে, আলোচনার মূল প্রশ্ন ছিল — “আওয়ামী লীগ আবার রাজনীতির ময়দানে ফিরবে কবে? আর কেমনভাবে?”
অন্তর্বর্তী সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে দলটি এখন অদৃশ্য। কিন্তু বিদেশি কূটনীতিকরা চাইছেন “স্বচ্ছ ইমেজের” নেতাদের ফিরে দেখা দিতে।
তাদের মতে, সাবের হোসেনের মতো কয়েকজন যদি মাঠে আসে, তাহলে “নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” আরও বিশ্বাসযোগ্য হবে।
তবে এই আলোচনার কথা কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি।
বলা চলে, গোপনীয়তাই যেন এই বৈঠকের মূল প্রটোকল।
সাবের, যুক্তরাষ্ট্র আর এবার নর্ডিক কানেকশন
মে মাসে সাবের হোসেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি জ্যাকবসনের বৈঠকের খবর ফাঁস হয়েছিল।
তখনও একই বিষয়: “আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি।”
এবার সেই ছন্দে যোগ হলো উত্তর ইউরোপ — নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক।
তারা দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিল, মানবাধিকার, ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে সক্রিয়।
অর্থাৎ— এরা শুধু প্রকৃতি নয়, রাজনীতির উষ্ণতা মাপতেও দক্ষ।
হাসিনাপরবর্তী বাস্তবতা
২০২৪ সালের আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন।
দেশ ছাড়েন, দলের হাজার হাজার নেতা গ্রেপ্তার, কেউ নিখোঁজ।
অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূস —
একজন শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষ, কিন্তু রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিক্ষুব্ধ এক দেশ।
এই সময় সাবের চৌধুরীর মতো “সফট পাওয়ার” নেতাদের সঙ্গে বৈঠক —
এ যেন আগাম নির্বাচনী দৃশ্যপট আঁকার নীরব প্রস্তুতি।
প্রশ্নের পর প্রশ্ন
~ এই বৈঠক কি নতুন “রিফর্মড আওয়ামী লীগ”-এর সূচনা?
~ বিদেশিরা কি আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে কোনো নরম বার্তা দিতে চাইছে?
~ নাকি, কূটনৈতিক ক্যালকুলেশনে সাবের চৌধুরী হচ্ছেন “ট্রানজিশনাল পয়েন্ট”?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনই কেউ জানে না।
কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলা যায় —
৩৯ দলের ঘুম সত্যিই হারাম হয়ে গেছে।
লেখকের মন্তব্য:
বাংলাদেশের রাজনীতি যতটা গরম, ততটাই ঠান্ডা তার কূটনৈতিক টেবিল।
গুলশানের এই বৈঠক হয়তো কেবল এক বিকেলের আলাপ, কিন্তু এর প্রতিধ্বনি
ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।[

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


