somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাধারন মানুষ হয়েও আমরা কেন সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ও শ্রেষ্ঠ রসুল(সঃ) এর জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করবো? অথচ আল্লাহ নিজে যাকে সম্মানিত করার ওয়াদা করেছেন

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আযানের দো‘আ:

َّﻢُﻬَّﻠﻟَﺍ َّﺏَﺭ ِﻩِﺬٰﻫ ِﺓَﻮْﻋَّﺪﻟﺍ ،ِﺔَّﻣﺎَّﺘﻟﺍ ِﺓَﻼَّﺼﻟﺍَﻭ ،ِﺔَﻤِﺋﺎَﻘْﻟﺍ ِﻥﺍًﺪَّﻤَﺤُﻣ ِﺕﺁ َﺔَﻠْﻴِﺳَﻮْﻟﺍ ،َﺔَﻠْﻴِﻀَﻔْﻟﺍَﻭ ُﻪْﺜَﻌْﺑﺍَﻭ ﺍًﺩْﻮُﻤْﺤَّﻣ ﺎًﻣﺎَﻘَﻣ ْﻯِﺬَّﻟﺍ ُﻪَﺗْﺪَﻋَﻭ -
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ দা‘ওয়াতিত তা-ম্মাহ, ওয়াছ ছলা-তিল ক্বা-য়েমাহ, আ-তে মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাযীলাহ, ওয়াব‘আছ্হু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদ্তাহ’ ।
.
অনুবাদ: হে আল্লাহ! (তাওহীদের) এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত ছালাতের তুমি প্রভু। মুহাম্মাদ (সঃ) -কে তুমি দান কর ‘অসীলা’ (নামক জান্নাতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান) ও মর্যাদা এবং পৌঁছে দাও তাঁকে প্রশংসিত স্থান ‘মাক্বামে মাহমূদে’ যার ওয়াদা তুমি তাঁকে করেছ’।
(সংগ্রহীত)

এই আযানের দোয়া শোনার পর এক হিন্দু ভাইয়ের প্রশ্নঃ নবী তো স্বয়ংসিদ্ধ মহাপূরুষ। তেনাকে তো কোন পাপ স্পর্শ করেননা। তাহলে তাঁর জন্য কেন আল্লাহর নিকট সুপারিশ করতে হবে? নবী আমাদেরকে সাফায়ত করবেন, নাকি আমরা নবীর জন্য আল্লাহর কাছে সাফায়ত করবো???

আমার উত্তরঃ

আমরা জানি মোহাম্মদ(সঃ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত একজন শ্রেষ্ঠ রসুল এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তবে তার জন্য দোয়া কেন করছি আমরা সামান্য নগন্য, গুনাহগার মানুষরা?

এখানে আযানের দোয়াতে বা বিভিন্ন সময় আমরা রসুল(সঃ) এর প্রতি দরুদ বা আল্লাহর নিকট তার জন্য দোয়া করছি, করার অনেক কারন হতে পারে। যেমনঃ

১। আমরা যেন রসুল(সঃ)এর উপাসনা না করে সর্বশক্তিমান এক আল্লাহর উপাসনা করছি তাহা পরিস্কার করছি। (অন্যান্য ধর্মে যেরূপ ব্যক্তিকেই উপাসনা করা হয় সেরূপ যেন না হয়)
২। রসুল হোক বা নবী হোক বা যেই হোক, সকলেই আল্লাহ প্রদত্ত এবং তাদের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নাই আল্লাহ ব্যতিত, সর্বময় ক্ষমতা আল্লাহর। এটা স্বীকার করছি।
৩। কে বেহেস্ত যাবেন আর কে যাবেন না তাহা একমাত্র আল্লাহ নির্ধারন করবেন, বিচার দিবসের রায় একমাত্র আল্লাহর। এটাও স্বীকার করা এই দোয়ার আরেক অন্তর্নিহিত।
৪। আমরা সবসময় চাইবো আমাদের নেতা মোহাম্মদ(সঃ) যেন বেহেস্ত যায়। নেতা বেহেস্ত না গেলে তার অনুসারীদের বা শিষ্যদের বেহেস্ত যাবার কোন সম্ভাবনাই নাই। তাই দোয়াটা আসলে নিজের স্বার্থেই করা জরুরী।
৫। তার জন্য দোয়া করা (যাকে দরুদ পড়া বলা হয়) আল্লাহতায়ালা খুব পছন্দ করেন, তাই আল্লাহর পছন্দের ব্যক্তি হতে চাইলে তার জন্যও তবে অবশ্যই বেশী বেশী দোয়া করতে হবে।
৬। আল্লাহ তাকে বেহেস্তের সর্বচ্চ সম্মানিত স্থান দান করার ওয়াদা করেছেন- আমরা এটা আল্লাহকে সর্বদা বলে আমাদের নয়নের মনি, সর্বোচ্চ ভালবাসার ব্যক্তিটি যেন সম্মানিত হতে পারেন তার জন্য সুপারিশ করাও অন্যতম উদ্দেশ্য। ভালবাসার বহির্প্রকাশ স্বরূপ।
৭। রসুল(সঃ) তার উম্মতের জন্য কত কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আল্লাহর নিকট হতে কত কিছু আমাদের উম্মতদের জন্য আদায় করিয়ে নিয়েছেন এবং রোজ কিয়ামতের দিনেও কত কিছু করবেন, বিনিময়ে তার জন্য এটুকু দোয়া করা তো খুবই স্বাভাবিক এবং উচিত ( সামান্য কৃতজ্ঞতাস্বরূপ)।
৮। আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া আল্লাহ খুব পছন্দ করেন এবং এটা একটা বিরাট নেকীর কাজ হিসেবে গন্য করা হয়। বেশী বেশী নেকী পেতে চাইলে বেশী বেশী দোয়া করা উচিত।
৯। আর আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন, তাকে রদ করা বা প্রতিহত করার সাধ্য কার আছে? তাই এই শংকা তো সর্বদাই থাকা স্বাভাবিক যে আল্লাহ ইচ্ছা করলে অন্যথা করতে পারেন।
১০। রসুল(সঃ) এর জন্য আর কিইবা আমাদের করার আছে, আল্লাহর কাছে দোয়া করা ব্যতিত?

ইত্যাদি আরো নানা কারন হয়তো রয়েছে। যারা এসব নিয়ে চর্চ্চা করেন তারা আরও ভালো বলতে পারবেন। আমার জ্ঞানের স্বল্পতার জন্য কোন ভূল হলে মাফ করবেন।
আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও মহান।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×