
খুলনাসহ আশে পাশের এলাগুলোতে ইদানিং র্যাব পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। সম্প্রতি নগরীর সোনাডাঙ্গা, জেলার ডুমুরিয়া ও যশোরের অভয়নগরে র্যাব সদস্য পরিচয়ে আলোচিত তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুটি অপহরণের পর ছিনতাই এবং র্যাবের নকল পোশাক পরে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। আর এ ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে চলছে। এসব ঘটনার মূলোপাটন না করতে পারলে এ উৎকন্ঠা আরো বাড়েতে থাকবে। কমতে থাকবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা যায়, ১৪ মে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে র্যাবের পোশাক পড়ে একটি সন্ত্রাসী দল শংকর বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক লাখ টাকা ছিনতাই করে। তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার আগে চুকনগর বাজার থেকে একটি প্রাইভেটকারে করে তাকে অপহরণ করা হয়।
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এরপর বুধবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার শেরে বাংলা রোডে তরুণলীগ নেতা বিশ্বজিত মিঠুকে র্যাব পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকধারী চারজন সন্ত্রাসী অপহরণ করে। তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়া হয়।
এ সময় এলাকাবাসী দুই ভূয়া র্যাব সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করে। এছাড়া সোমবার যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা জিয়াডাঙ্গার ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার, মাগুরা গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও ধলিরগাতি গ্রামের নাজিম উদ্দিনকে যশোর-খুলনা মহাসড়কে উড়োতলা স্থান থেকে র্যাব পোশাক পড়া সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে।
তাদের কাছে থাকা ব্যাংক থেকে তোলা কর্মসৃজন প্রকল্পের দুই লাখ ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। দুই ঘণ্টা পর র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিন ইউপি মেম্বরকে উদ্ধার করে।
কিন্তু র্যাব পরিচয়ধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার বা টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ অঞ্চলের রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এ সব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, “সন্ত্রাসীরা র্যাবের পরিচয়ে কোনো অপরাধ করলে প্রাথমিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেউ সাহস পায় না। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এ চক্রকে ধরতে না পারার কারণে একের পর এক এ সব ঘটনা বাড়ছে। পাশাপাশি র্যাবেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।” অপরাধী এ চক্রকে ধরার জন্য বিশেষ অভিযান চালানোর দাবি তাদের।
মূল প্রতিবেদন ..
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১২ রাত ১০:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




