তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন : আইনজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের গোপন কক্ষে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছেন, তা দেখা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। তিনি পরে আবার বলেছে ‘আমার নিজের বক্তব্য নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনগণের এবং গণমাধ্যমে সাংবাদিক ও বোদ্ধা ব্যক্তিদের অভিমত হচ্ছে—গোপন কক্ষ গোপন কক্ষই। মানুষ গোপনেই ভোট দেবে, এটি তাঁর অধিকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্যামেরা লাগিয়ে কে কোন মার্কায় কাকে ভোট দিচ্ছে, সেটি যদি দেখা হয়, তাহলে তো আর গোপন থাকল না। সেটি আবার অন্যদের দেখানো হয়। তাহলে আইনজ্ঞরা বলছেন সেটি হচ্ছে ‘‘ইনফ্রিঞ্জমেন্ট অব প্রাইভেসি’’ বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন।’ সুত্র
এখন প্রশ্ন হলো; ভোটের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন কি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লংঘন?
একটি ভোট কেন্দ্রের ভোটের কক্ষে একাধিক বুথ থাকে যেখানে মানুষ গোপনে ভোট দেয়। ভোটের কক্ষ আর বুথ কি একই জিনিশ? যদি বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে তবেই না গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হবে। উনি জেনে বুঝেই ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন কথা বলছেন।
নির্বাচন কমিশন কতৃক ভোটের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন খুবই চমৎকার একটি উদ্যোগ যা অবৈধ প্রবেশকারীদের তথা দল বেধে চাপাতি হেলমেট পার্টিদের নিয়ে ভোট দিলে তাদেরকে চিহ্নিত করা যাবে, ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
তবে নির্বাচন কমিশনের এরকম একটি ব্যবস্থা নেওয়া দেখে কেউ যদি ভাবে জাতীয় নির্বাচন এমনই হবে তাহলে তাদের অবস্থা হবে এমন। তাদের সামনে শুধু মুলাই ঝুলবে এবং তা ঝুলতে থাকবে অনন্তকাল।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৩