জার্মানির নাজি পার্টি নিষিদ্ধ হয়েছিল কারণ তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর একচ্ছত্র আধিপত্য স্থাপন করে ফ্যাসিস্ট শাসন চালিয়েছিল এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের কোন পার্থক্য নেই। ইতালির মতো দেশে ফ্যাসিস্ট দলগুলো নিষিদ্ধ করার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল সহিংসতা ও রাজনৈতিক সন্ত্রাস ছড়ানো। ঠিক একইভাবে আওয়ামীলীগ বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীকে দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং দলীয় ক্যাডার নিয়মিত ব্যবহার করে রাজনৈতিক সহিংসতা ও রাজনৈতিক সন্ত্রাস করেছে।
ফ্রান্সে জাতিগত বিদ্বেষ বা জাতিগত বৈষম্য উস্কে দেওয়া দলগুলো নিষিদ্ধ করা হয় ঠিক একইভাবে আওয়ামীলীগও তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করে জাতিগত বৈষম্য উস্কে দিয়েছে বিধায় নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। বাংলাদেশেও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার উপর আক্রমণ করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।
ইউরোপ তথা জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়াতে ফ্যাসিস্ট দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে যাতে তারা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে ধ্বংস করতে না পারে, মানবাধিকার লঙ্ঘন না করে এবং মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রয়োজনে। আওয়ামীগ গণতন্ত্রে ভিত্তি ধ্বংস করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার করতে অভিযুক্তদের অর্থাৎ হাসিনাদের ফিরিয়ে না এনেই, তাদের অনুপস্থিতেই ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো বিচার করা উচিত। যেহেতু হত্যার সব প্রমাণ আছে। নির্দেশদাতা হিসেবে বিচার হবে এবং বিচার শেষে তাদের স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ না করলেও কমপক্ষে ৬/৭ টার্ম নির্বাচনে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩