
হিটলার তখনো ক্ষমতায় আসীন হননি তখন তিনি খেয়াল করেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা প্রচারণায় এগিয়ে পক্ষান্তরে জার্মানরা প্রচারণায় অনেক পিছিয়ে। শুধুমাত্র প্রচারণা দিয়েই ব্রিটিশরা আড়াল করেছিল অনেক কিছু, তারা মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে জার্মানদের বিভ্রান্ত ও নাস্তানাবুদ করেছিল। তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার তৈরি করেন বিশেষ মন্ত্রণালয় যার নাম দেন মিনিস্ট্রি অব পাবলিক এনলাইটেনমেন্ট অ্যান্ড প্রোপাগান্ডা সোজা কথায় বলতে গেলে বলা যায় গুজব মন্ত্রণালয়। হিটলার এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন গোয়েবলসকে। গোয়েবলস দিনকে রাত বানাতে পারতেন। বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই এমন সব আজগুবি খবর সৃষ্টি করতেন। মানুষ যা কল্পনা করত না তা-ই বাস্তব বানিয়ে ছাড়তেন। এমন নিখুঁতভাবে করতেন সবকিছুই বিশ্বাসযোগ্য মনে হতো। গোয়েবলসের বিখ্যাত উক্তি ছিল একটি মিথ্যাকে বার বার বলতে থাকলে তা মানুষের কাছে সত্যে পরিনত হয়।
ঠিক একই তত্বের ওপর ভিত্তি করে ভারত আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বলতে গেলে ভারতের প্রায় সব মিডিয়াই বাংলাদেশের ব্যাপারে দিনকে রাত বানাতে উঠেপরে লেগেছে। তারা বাস্তবতার সঙ্গে কোন মিল নেই এমন সব আজগুবি খবর প্রচার করছে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে কেয়ামত সৃষ্টি হয়েছে, হিন্দুরা মাটিতে মিশিয়ে গেছে কোন হিন্দু অবশিষ্ট নেই। মানুষ যা কল্পনাও করছেনা তারা তা-ই বাস্তব বানিয়ে প্রচার করছে ভারতের মোদী মিডিয়া।
ভারতীয় এই মিডিয়া আগ্রাসনকে মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশী মিডিয়াকে যথাযথ ভুমিকা পালন করতে হবে তা না হলে আজ হতে ৫০ বছর বা ১০০ বছর পর ভারতের এই সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যগুলোই সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ইতিহাসে ঠাঁই পাবে। ভারতীয় আগ্রসনে বাংলাদেশী গণমাধমের ভূমিকা আছে, সেটা কী? সেটা হবে তাদের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো। সত্যটাকে বোল্ডলি তুলে ধরা। ভারতীয়রা যে মিথ্যা বলছে সংগে সংগেই তার প্রতিবাদ করা। বিশ্বব্যাপী তাদের মিথ্যাগুলো তুলে ধরা।
সেই সংগে অলটারনেটিভ ফ্যাক্টস বা বিকল্প তথ্য উপস্থাপন করা অর্থাৎ ভারতের কোথায়? কখন? কোন খানে? কি কারণে? কি প্রক্রিয়া? সংখ্যালঘু নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তা বেশি বেশি প্রচার করা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



