
২০১৩ সালে ভারতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এইচ এনার্জি পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় তাদের এলএনজি টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশ সরকারকে রিগ্যাসিফাইড এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাবে পতিত হাসিনা তাদেরকে ব্যবসায়িক সুবিধা দিতে এবং তাদের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে খুলনার রূপসায় ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়।ওদিকে ভারতের এইচ এনার্জি গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের বিষয়ে বিরোধ শুরু হলে তা সালিশি জটিলতায় বাংলাদেশকে আর এলএনজি সরবরাহ করেনি।
এদিকে সরকারের নিজস্ব রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস দিতে না পারলেও মেঘনাঘাটে বেসরকারি খাতের সামিট গ্রুপের ৫৮৩ মেগাওয়াট, ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপের ৭১৮ মেগাওয়াট ও ইউনিক গ্রুপের ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে পেট্রোবাংলা গ্যাস সরবরাহ করছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো রাষ্ট্রায়ত্ত রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা দেওয়ার আড়াই বছর পরে রাজনৈতিক বিবেচনায় বেসরকারি এ তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের অঙ্গীকার করা হয়েছিল। এ ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে গ্যাস সরবরাহ করা হলেও সরকারের নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপসায় আজো গ্যাস সরবরাহ করা হয়নি।
এরই মধ্যে সামিট ও ইউনিক গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি উৎপাদনে এসেছে। এ ছাড়া রিলায়েন্স গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কমিশনিং (উৎপাদনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা) পর্যায়ে রয়েছে। শুধুমাত্র আম্লিগ ও ভারতকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতি ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রাখা হয়েছে। সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার দায় এখন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ওপর।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



