
১৯৯০ সাল। সারা দেশের ছাত্র সংগঠন, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনগুলোও এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট একাত্ম হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করে তোলে। এরশাদ একা হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হয়। তিন জোটের মনোনীত প্রার্থী তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এরশাদ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেন ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি। ওই নির্বাচনে বিএনপি ১৪০, আম্লিগ ৮৮, জাতীয় পার্টি ৩৫, জামায়াত ১৮টি আসন পায়। পরে সরকারি দল এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে প্রায় সকল ইস্যুতে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ১৯৯৪ সালের ২০শে মার্চ, মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে সরকারি দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশই বাড়তে থাকে। বিরোধী দলগুলো আর কোনো উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে, ওই বছরের ২৮শে ডিসেম্বর ১৪৭ জন সংসদ সদস্য একযোগে পদত্যাগ করে ও লাগাতার হরতাল অবরোধ পালন করতে থাকে। আম্লিগ ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ এর মধ্যে মোট ২৬৬ দিন হরতাল অবরোধ পালন করে। এ অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যা গ্রহণ যোগ্য হয়নি। শুরু হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন। আম্লিগ, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এ আন্দোলনে রাজপথ উত্তপ্ত করে তোলে। হরতাল, অবরোধে অচল করে সারা দেশ। এখানে আম্লিগ-জামায়াত যুগপৎ আন্দোলন করে বিএনপির বিরুদ্ধে।
১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৪৬টি আসনে বিজয়ী হয়ে আম্লিগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্যান্য দলের মধ্যে বিএনপি ১১৬টি, জাতীয় পার্টি ৩২টি, জামায়াত ৩টি আসন পায়। এই নির্বাচনে মাত্র ১ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী জয়ী হন।
জামাত ৯৬ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে বিএনপির নিশ্চিত জয়কে তুলে দিয়েছে আম্লিগের ঘরে। জামাত যদি ৩০০ আসনে প্রার্থী না দিত তাহলে আম্লিগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুধু ইতিহাস হয়ে ইতিহাসের পাতায় থাকতো।
পরের কাহিনী......
আম্লিগ ভারতের হাতের পুতুল হয়ে গেলো। ভারতের প্রেসক্রিপশনে আম্লিগ চেতনা ব্যবসা, জঙ্গী জঙ্গী ব্যবসা শুরু করে দিলো। প্রথম টার্গেট জামাত। জামাতের মোনাফেকির কারণে তাদেরকে আম্লিগ প্রায় নিঃশেষ করেই ফেলেছিল। যদি ৩৬শে জুলাই না ঘটতো জামাত নামে দেশে আর কিছু অবশিষ্ট থাকতোনা।
এবার আসি বিএনপি দিকে...
বিএনপি এখন জামাতকে প্রধান প্রতিপক্ষ ভাবছে জামাতও তাই ভাবছে। বিএনটি যেভাবে জামাতকে ঘায়েল করতে উঠেপড়ে লেগেছে যদি জামাত ক্ষমতায় যায় (যা আদৌ সম্ভব বলে আমি মনে করিনা) তাহলে বিএনপিও জামাতের মত একই কাজ করবে অর্থাৎ জামাতকে ঘায়েল করতে আম্লিগকে ডেকে আনবে। তখন বিএনপির পরিণতিও হবে জামাতের মতই। দেশে বিএনপি ও জামাত বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




