
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে তিনি কখনোই আপস করেননি। ভয় বা লোভের কাছে মাথা নত করেননি। এরশাদের সংগেও আপোস করেননি। তিনিই হলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আজ জীবন মত্যুর সন্ধিক্ষণে। একদিন সবাইকে যেতে হবে; তিনিও যাবেন আমরাও যাবো কিন্তু রয়ে যাবে কর্মফল। তিনি সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, সেখানে থাকবেন অনন্তকাল। মহান আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনা করছি।
খালেদা জিয়া আরো বলেছিলেন, আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমি দেশ ছেড়ে, দেশের মানুষকে ছেড়ে কোথাও যাব না। এই দেশই আমার একমাত্র ঠিকানা। দেশের বাইরে আমার কিছু নেই, কোনো ঠিকানাও নেই। আপনাদের ছেড়ে না যাওয়ার কারণেই আমার ছেলেদের ওপর এত নির্যাতন হয়েছে। আমাকে জেলে যেতে হয়েছে, কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাইনি। মইনুদ্দিন–ফখরুদ্দিনের সঙ্গে কোনো আপোসও করিনি।
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলেও পুনরায় কারাবরণ করতে হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে চেয়েছিলেন তারা বলেছিল লন্ডনে গেলে তিনি আর ফিরবেন না। কিন্তু তিনি ফিরেছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। পরে দীর্ঘ তিন বছর কারাগারে থাকতে হয় তাকে। সে সময়ও তাকে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। রাজনীতি না করলে বা দেশ ছেড়ে গেলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোনো অবস্থাতেই মাথানত করেননি।
আরেক ডাইনি বুড়ি শুধুই পালায়। পালানোই তার কাজ; তিনি পালিয়েই বাঁচতে চান। পার্থক্য এখানেই।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




