somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-৬

১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী একটি “সাধারণ পূর্ব-পুরুষ” থেকে উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত সহ পুরো জীবজগত বিবর্তিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, একটি “সাধারণ পূর্ব-পুরুষ” এর জায়গায় একাধিক হলে বিবর্তন তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এই মহাবিশ্বের স্রষ্টার অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব যেমন কারো পক্ষেই প্রমাণ করা সম্ভব নয় তেমনি একটি “সাধারণ পূর্ব-পুরুষ” থেকে পুরো জীবজগতের বিবর্তন প্রমাণ করাও মানুষের পক্ষে অসম্ভব। ফলে বিবর্তন তত্ত্বকে কোনো ভাবেই বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বলা যেতে পারে না। এখানে আরো স্মরণ রাখতে হবে যে, বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী “এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন” এর মাধ্যমে উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত বিবর্তিত হয়েছে। ডারউইনবাদীদের বিশ্বাস অনুযায়ী বিবর্তন প্রক্রিয়াকে যদি পুনরাবৃত্তি করা হয় তাহলে বর্তমান জীবজগতের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ভিন্ন জীবজগত বিবর্তিত হতে পারে। এটি তাদেরকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতেই হবে। নইলে বিবর্তনকে একটি পরিকল্পিত ও নির্ধারিত প্রক্রিয়া হিসেবে স্বীকার করতে হয় – যেটি তাদের মতবাদের বিরুদ্ধে যাবে। ফলে বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী ডারউইনবাদীরা হচ্ছে অসংখ্য, অপ্রত্যাশিত ও দৈব ঘটনার ফলাফল!

নিচের ভিডিও দুটিতে হামিং বার্ড ও মৌমাছির পাখার গতি লক্ষ্য করুন। পাখার গতি এত দ্রুত যে, খালি চোখে প্রায় দেখাই যায় না। প্রকৃতিতে এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। প্রশ্ন হচ্ছে হামিং বার্ড ও মৌমাছির পাখার অত্যন্ত দ্রুতগতি কি প্রথম থেকেই ছিল নাকি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়েছে? এরা যদি ভিন্ন প্রজাতি থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়ে থাকে তাহলে প্রথম থেকেই পূর্নাঙ্গ পাখা ও এত গতি এক সাথে থাকা সম্ভব নয়। অন্যদিকে পাখার গতি ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাওয়াই বা সম্ভব কী করে? পাখার গতি যখন ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন হামিং বার্ড ও মৌমাছির দৈহিক অবস্থা কেমন ছিল? ভেবে দেখুন।





উপসংহার: হামিং বার্ড ও মৌমাছির পাখা, পাখার দ্রুত গতি, এবং দৈহিক অবস্থা যদি যুগপৎভাবে বিবেচনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে অন্য কোনো প্রাণী থেকে বিবর্তিত হওয়া সম্ভব নয় এবং এই ধরণের বিবর্তনের পক্ষে কোনো প্রমাণও নাই। ফলে প্রাণী দুটিকে প্রথম থেকেই পূর্ণাঙ্গভাবে থাকতে হবে, যেটি বিবর্তন তত্ত্বের পুরোপুরি বিপরীত।

নিচের ভিডিওতে চিতাবাঘ ও হরিণের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে দৌড়ের প্রতিযোগীতা দেখুন। চিতাবাঘ এভাবেই হরিণ শিকার করে খায়। প্রশ্ন হচ্ছে চিতাবাঘ ও হরিণের অত্যন্ত দ্রুতগতি কি প্রথম থেকেই ছিল নাকি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়েছে? এরা যদি ভিন্ন প্রজাতি থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়ে থাকে তাহলে প্রথম থেকেই এত গতি থাকা সম্ভব নয়। অন্যদিকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে গতি যখন বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন প্রাণী দুটির দৈহিক অবস্থা কেমন ছিল? প্রাণী দুটির ক্ষীপ্র গতি আর জৈবিক বিবর্তন কি যুগপৎভাবে ঘটেছিল?



উপসংহার: চিতাবাঘ ও হরিণের মধ্যে যে প্রতিযোগীতা দেখছেন সেটি একটি পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি, যেখানে ক্ষীপ্র গতির ব্যাপারও জড়িত। এরকম একটি পদ্ধতি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে অন্য প্রাণী থেকে বিবর্তিত হতে পারে না এবং এই ধরণের বিবর্তনের পক্ষে কোনোই প্রমাণ নাই। ফলে প্রাণী দুটিকে প্রথম থেকেই সব কিছু সহ পূর্ণাঙ্গভাবে থাকতে হবে, যেটি বিবর্তন তত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক।

নিচের ভিডিওতে একটি মাছরাঙার মাছ শিকার করার পদ্ধতিটা মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন। বেশ উঁচুতে কিছুক্ষণ স্থির থেকে, যথাযথভাবে শিকারীর দিকে তাক করে, পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মাছ শিকার করছে। মাছরাঙার এই মাছ শিকার করার কৌশল কীভাবে এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে বিবর্তিত হওয়া সম্ভব? এই পদ্ধতি যদি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে বিবর্তিত হতে থাকে তাহলে সেই মধ্যবর্তী ধাপগুলোতে মাছরাঙার দৈহিক অবস্থা ও শিকার করার পদ্ধতি কেমন হবে? আবারো ভেবে দেখুন।



উপসংহার: মাছরাঙা যে পদ্ধতিতে মাছ শিকার করে সেই পদ্ধতি সহ মাছরাঙার মতো কোনো প্রজাতি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে অন্য কোনো প্রাণী থেকে বিবর্তিত হতে পারে না। ফলে এই প্রাণীকে একদম প্রথম থেকেই সব কিছু সহ পূর্ণাঙ্গভাবে থাকতে হবে, যেটি বিবর্তন তত্ত্বের সাথে কোনো ভাবেই যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
১৫টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রফেসদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×