বৃহস্পতিবার রাত ১০টা – ১২টা র মধ্যে ঃ
সায়দাবাদ থেকে চট্টগ্রাম এর যে কোন বাস এ চরে বসেন (সাধ্য অনুযায়ী ) যে কোন পরিবহন ব্যাবহার করতে পারেন। ভাড়া তো জানেনই !
শুক্রবার ঃ
খুব ভোরে বাস চট্টগ্রাম পৌছবে, আপনি নামবেন কর্ণফুলী নতুন ব্রিজ তখন হয়ত বা খুব ভোর যেটা আপনার খুবি ভাল লাগবে। তারপর একটা সি এন জি নিয়ে বলবেন আনোয়ারা রোড “পারকির বীচ” যাব ১ ঘন্টা লাগবে। আপনি যখন “পারকির বীচ” এ নামবেন তখন হয়তবা সকাল ৭ টা, সেখানে অতিব নিন্ম মানের একটা টয়লেট আছে যাতে আপনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারবেন টাকার বিনিময় এ। যাক হাত মুখ ধুয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে সামনের দিকে তাকালে আপনার মনটা ভাল হয়ে যাবে ১০০% গ্যারান্টি। বীচ সকাল ১০ টা -১১টা পর্যন্ত একদম খালি থাকবে তবে কোন ভয় নাই জাইগাতা ভালো আমি এভাবে ৩-৪ বার গিয়াছি।
তারপর বীচের পাশের ছোট ছোট দোকান আছে যেখানে শীতল পাটি ভাড়া পাওয়া যায় ঘনটা ৩০ -৫০ টাকা। শুধু শুয়ে শুয়ে বীচ দেখবেন আর ঝাউ গাছের বাতাস খাবেন। সকালের নাস্তা সেখানে পাবেন তবে তেমন উন্নত মানের কিছু না, আসার পথে নিয়ে ও আস্তে পারেন। তবে যেখান থেকে শীতল পাটি ভাড়া নিবেন সেখানে ঝাল মুড়ি পাওয়া যায় বাটি ৩০ টা – ৭০টা পর্যন্ত অবশ্যই খাবেন। আমি নিশ্চিত এগুল করতে করতে আপনি ঘুমিয়ে যাবেন শীতল পাটিতে, চারিদিকে শুধুই নিরবতা কেউ আপনাকে বিরক্ত করবে না। চাইলে সমুদ্রে গোসল ও কোরে নিতে পারেন।
দুপুর ২ টা পর্যন্ত থেকে একটা সি এন জি নিয়ে চলে যাবেন পতেঙ্গা ঘাট ভাড়া সম্ভবত ৫০-১০০ টাকা। সেখান থেকে কর্ণফুলী নদী পার হবেন বড় নৌকা দিয়ে, সেখানে লাঞ্চ করে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে বিকেলে পতেঙ্গা নেভাল একাডেমী র সামনের রাস্তায় বসবেন দেখবেন অনেক সুন্দর পরিবেশ। একটু সন্ধ্যা হলে তো আরও মজা হবে, “কা ফ কো” র ঝলমলে বাতি কর্ণফুলির বুকে, অসাধারন।
বিয়ার খাবার অভ্যাস থাকলে তো আর কথাই নেই, খোলামেলা ভাবেই বিক্রি হয়, কিনে খেতে পারেন, আর অবশই “কাঁকড়া ফ্রাই” খেতে ভুলবেন না।
ব্যাস রাতে আবার ঢাকার গাড়িতে উঠে সকালে অফিস করবেন, হাফ বেলার পর ছুটি নিয়ে অফিস থেকে বাসায় গিয়া ঘুম।
উইকি লিঙ্ক ঃ ক্লিক
আমার ছবির লিঙ্ক ঃ ক্লিক

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




