somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সোহানখুলনা
জীবন পথে চলার এক অচেনা পথিক আমি। হাটি হাটি পা পা করে অনেক দূর পৌছে গেছি। মাঝে মাঝে পিছনে ফিরে তাকাই কিছু সুখ কিছু দু:খ আর স্মরনীয় কিছু ছোট ছোট মুহুর্ত মনের জানালায় উকি দেয়। আমরা বেচেথাকি শুধুমাত্র বিভিন্ন লক্ষ পুরোণের জন্য।

জীবনে সুখী হওয়ার ১০টি শ্রেষ্ঠ উপায়

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা সবাই সুখী হতে চাই। কিন্তু কীভাবে? সুখী হওয়া কতগুলো সহজ পন্থা আছে; যা কেউ অনুসরণ করলে সে সুখী হতে পারেন নিসন্দেহে। মাত্র কয়েকটি বিষয়ে যদি আমরা মনোযোগী হই তাহলে সুখ নামক বস্তুটি আমরা হাতের নাগালেই পেতে পারি। আসুন আমরা জেনে নিই, কীভাবে সুখী হওয়া যায়। ১) অন্যের কাজে নাক গলাবেন না : জীবনে সুখী হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে- অন্যের কাজে নাক না গলানো। আমরা জীবনের বেশিরভাগ সমস্যাই সৃষ্টি করি অন্যের কাজে অহেতুক হস্তক্ষেপ করে। অন্যের চলার পথকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাই হচ্ছে অসুখী বা চিন্তা যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই যতদুর সম্ভব এরকম চেষ্টা না করাই ভালো। কেননা, আল্লাহ প্রত্যেকটি মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে, ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। অতএব অন্যের কাজ-কর্ম, চিন্তা-চেতনায়, মতামতে বাধা সৃষ্টি করবেন না। ২) ক্ষমা করে ভুলে যান ক্ষমা মহৎ মানুষের লক্ষণ। কিন্তু সেটা ততক্ষণ মহৎ থাকে যতক্ষণ সেটা করে আত্মতৃপ্তিতে ভুগে তা বলে না বেড়ান। যদি আপনি সেটা সবার মাঝে বলে বেড়ান তাহলে আর সেটা মহৎ কাজ থাকে না। এমন কাজে নষ্ট করার মতো যথেষ্ট সময় জীবনে নেই। ক্ষমা করে, ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন। এতেই কল্যাণ নিহিত। ৩) স্বীকৃতি পাওয়ার কামনা ত্যাগ করুন কাজ করুন নিজের মঙ্গলের জন্য। অন্যের প্রশংসা পাওয়ার জন্য কাজ করবেন না। এই পৃথিবী স্বার্থপর মানুষে পরিপূর্ণ। আজ আপনার প্রশংসা করে আপনার ক্ষমতা আছে বলে, কাল যখন ক্ষমতা থাকবে না তখন ছুড়ে ফেলতেও দ্বিধা করবে না। আপনার সকল অর্জন-ত্যাগ ভুলে যাবে। কিন্তু শুধু স্বীকৃতির জন্য আপনার ভিতরের মানুষটাকে ধ্বংস করবেন কেন? আপনার কাজ আপনি যথাযথ ভাবেই করে যান। এতে আপনি সুখী হবেন নিসন্দেহে। ৪) হিংসা-বিদ্বেষ-লোভ কে মাটি চাপা দিন দুনিয়াটা অর্জনের জায়গা। যে ভাবে পারে, যা পারে অর্জন করুক; তাতে আপনার ক্ষতি নেই। তাই কারো অর্জনে কখনো হিংসা করবেন না। হিংসা মানুষের অর্জনগুলো মাটি চাপা দিয়ে দেয়। এটা আমাদের মানসিক প্রশান্তি নষ্টেরও বড় ধরণের একটা কারণ। নিজে অর্জন করুন, অন্যের অর্জনের প্রতি লোভ পরিত্যাগ করুন। অন্যের অর্জনে হিংসে করে নয় বরং আপনার যা করার ক্ষমতা আছে আপনি তাই চেষ্টা করুন। ৫) নিজেকে বদলান মানুষ অন্যের পরিবর্তন চায়, কিন্তু নিজে পরিবর্তন হতে চায় না। আপনি যদি আপনার চারপাশ পরিবর্তন করে দিতে চান, তাহলে সেটা বেশ কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাড়াতে পারে এবং বেশিরভাগ সময় ই আপনি এতে বিফল হবেন। তাই চারপাশের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিন। তারপর সবাইকে নিয়েই পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যান। এতে সফলতার সম্ভাবন রয়েছে। ৬) যা অবধারিত তা সহ্য করুন প্রতিদিন আমরা এমন সব সমস্যার সম্মুখীন হই যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ সমস্যাগুলো নিয়ে অহেতুক ভেবে আমরা কোন সমাধানে পৌঁছতে পারি না, কিন্তু মাঝে দিয়ে অনেক গুলো সময় নষ্ট হয়। আমাদের এ ছোট ছোট সমস্যাগুলোকে নিজেদের মানসিক প্রশান্তির জন্যই সহ্য করে নিতে হবে। এতেই মঙ্গল নিহিত। ৭) সাধ্যাতীত কাজ এড়িয়ে চলুন নির্ভেজাল শান্তির জন্য সাধ্যাতীত কাজ এড়িয়ে চলা অপরিহার্য্। আমরা অনেকেই আমাদের সাধ্যের বাহিরেও কাজের দায়িত্ব নিয়ে থাকি। অনেক সময় আত্মমর্যাদা থেকে অহেতুক কাজের ভার বাড়িয়ে নেই। যেটা আমার সুখ কেড়ে নেয়, অহেতুক দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। আরামকে হারাম করে দেয়। আমাদের উচিত আমার যা সাধ্য আছে সেটাকেই গ্রহণ করা। ৮) আল্লাহকে স্মরণ করুন সকল কাজে সব সময় আল্লাহকে স্মরণ রাখুন । তার অনুগ্রহ প্রার্থনা করুন। এটা আপনার কাজের গতি বাড়িয়ে দিবে এবং কম সময়ে বেশি কাজ করতে সহায়তা করবে। কাজে আল্লাহর সহায়তা পাচ্ছেন – এমন ভেবে কাজ করলে মনের সতেজতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়। ৯) মনকে কাজ দিন প্রবাদ আছে- “অলস মস্তিষ্ক শতানের কারখানা”। তাই মনকে কাজের মধ্যে রাখুন। মনকে কখনো ফাকা রাখবেন না। যখনি সুযোগ পাবেন নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখবেন। ১০) অতীত ভুলে সামনে আগান অতীত ভেবে কষ্ট পাওয়া বা খুশী হওয়ার কিছু নেই। অতীত ভুলে সামনে আগান। পিছনে জয়-পরাজয় যাই থাকুক না কেন, তা থেকে হয়তো শিক্ষা নিয়ে অথবা অতীতের সফলতাকে স্বরণ করে তা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনে চলতে পারেন। কিন্তু অতীত আঁকড়ে ধরে থাকলে কখনোই সামনে এগুবার পথ খুঁজে পাবেন না। যা অতীত তা আর ফিরে আসবে না। তাই সেটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। (লেখাটি ভাল লাগলো তাই কপি করলাম।) যে লিংক থেকে কপি করলাম তা দেখতে ক্লিক করুন - See more at: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৩
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×