মুসলমানদের একমাত্র অহংকার
ডা:সোহেল
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী এই পৃথিবীর প্রথম মানব-মানবী হলেন হযরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া (আ.)। দুনিয়ার সকল মানুষই তাদের বংশধর। এই পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে অনেক নবী -রাসূল পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন।তাঁরা সবাই এই পৃথিবীতে আল্লাহর বাণী প্রচার করেছেন।হযরত ঈসা (আঃ) অনুসারী হল খ্রিস্টান হযরত মুসা (আঃ) এর অনুসারী হলেন ইহুদী।কিন্তু এই পৃথিবীতে আল্লাহর সকল চাওয়া পূরণ হল সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে এই পৃথিবীতে প্রেরণের মধ্যে দিয়ে ।যিনি সৃষ্টি না হলে আজকের এই সুন্দর পৃথিবী সৃ্ষ্টি হত না।আমরা যারা ইসলাম বিশ্বাস করি তারা সবাই সৃষ্টির এই পরিক্রমা বিশ্বাস করি।পৃথিবীর সকল আশরাফুল মাকলুকাত তথা সকল আদম সন্তান একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে। ইসলাম এই ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও অর্থবহ করে তোলার জন্য সকলকে উৎসাহ প্রদান করে। একজন মানুষ অন্য মানুষের আপদে-বিপদে সহায়তা করবে, সহমর্মিতার পরিচয় দেবে এমনটিই নির্দেশিত হয়েছে ইসলামে। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ”'যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন।” বর্তমান পৃথিবী দুই ভাগে বিভক্ত ।এক শ্রেণির মানুষ পরম আরাম আয়েশে জীবন-যাপন করে আর এক শেণির মানষ ক্ষুধার জ্বালায় কংঙ্কালসার হয়ে দারিদ্র সীমার চরম নিচে বসবাস করে।আরাম আয়েশের ঐ ধনীক শ্রেণির লোকগুলো অর্থের মোহে অন্ধ হয়ে আত্ম অহংকারে ভোগে।তাদের পদতলে পৃষ্ট হয় প্রতিনিয়ত হাজারও সুবিধা বঞ্চিত জনতা।তারা দিন দিন ইসলাম হতে দূরে সরে যেতে থাকে।মুসলমান হয়েও ভুলে যেতে থাকে আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশিত পথ।অনেকে আবার বেশধারী মুসলমান হিসেবে জীবন যাপন করে।ইসলাম এই সকল আত্ম অহংকারী কিংবা বেশধারী মুসলমানদের কখনও সাফায়ত করবে না।বরং তাদের এই ধরনের নেক্কার জনক ঘৃন্য কাজের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট একদিন জবাবদিহি করতে হবে।আমি বিশ্বাস করি আমরা যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী তাদের সকলের একমাত্র অহংকার হল আমরা সবাই মুসলমান এবং আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত।আর যারা এই অহংকারের দীক্ষা গ্রহণ করতে পারবে তারাই আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশিত পথে জীবনকে পরিচালনা করতে পারবে।তাই আমাদের সবার উচিত জীবনে একটি মাত্র অহংকার রেখে,মনের সকল কালিমা দূর করে আল্লাহ ও তার বাসূলের নির্দেশিত পথে জীবনকে ইৎসর্গ করা।বর্তমান যুগে পৃথিবীর অনেক দেশে কিছু স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের, দুঃখী মানুষের দুঃখ নিবারণে কর্মরত রয়েছে।এই সকল মানব কল্যাণমূলক কাজে পৃথিবীর সকল ধনী মুসলমানদের এগিয়ে আসা উচিত। কোরআনুল কারিমে আল্লাহপাক বলেন, ”তারাই তো পরম সৌভাগ্যবান তাদেরই দক্ষিণহস্তে দেওয়া হবে তাদের আমলনামা, কেননা তারা ঈমানের সঙ্গে সব কণ্টকাকীর্ণ গিরিপথগুলো অতিক্রম করেছে।” আর সেই সৌভাগ্যবান হতে হলে মানবতার মানোন্নয়নে হতে হবে তৎপর, দুঃখী মানুষের দুঃখ নিবারণে সর্বদা থাকতে হবে সক্রিয় এবং সত্য প্রচারে এবং পথের বিপদ-আপদে থাকতে হবে ধৈর্যশীল।
অসমাপ্ত