প্রতিটি দেশে একটি করে স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকে। যেখানে থেকে মানুষ নিরপেক্ষ বিচারিক রায় আসা করে এবং সে দেশের সরকার ইচ্ছা করলেই বিচার বিভাগ কোন হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিচারপতিগণ তাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও ন্যায়ের প্রতি অবিচল থেকে রায় দেন যে কোন বিচারিক ইসুৎতে। সেটা রাজনৈতিক অথবা জনগনকেন্দ্রিক যাই হোক না কেন। কোন পক্ষপাতমূলক রায় মানুষ বিচারবিভাগে দেখতে চায় না। এজন্যই এটা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ।
আমাদের সংবিধানের ৬ষ্ঠ ভাগ বিচারবিভাগ নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। সংবিধানের ৯৪ নং অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর ধারায় বলা আছে যে, এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারক বিচারকার্য পালনের ক্ষেএে স্বাধীন থাকিবেন।
বিচারবিভাগের ন্যায় আমাদের দেশের মসজিদগুলোও একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান করে দেয়া উচিত যাতে করে ইমাম ও খতিব সাহেবরা মসজিদ কমিটির প্রভাব বলয় থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। তাহলে ইমাম ও খতিব সাহেবরা স্বাধীন ভাবে ইসলামের সঠিক ব্যাখা মুসলমারদের সামনে করতে পারবেন। দেখা যায়, ইসলামে অন্যায়কে কোন প্রশয় দেয়া হয়নি কিন্তু মসজিদ কমিটির কোন প্রভাবশালী সদস্য সেই অন্যায়ের সাথে জড়িত বিধায় ইমাম বা খতিব সাহেবরা সেই বিষয়ে বক্তিৃতা দিতে পারেন না এবং তাদের বলাতে বাধা দেয়া হয়। দেখা গেছে, কোন দুঃসাহসিক ইমাম বা খতিব সেই অন্যায় সর্ম্পকে মসজিদে শুক্রবার খুতবা বা বক্তিতা দিতে গিয়ে তার চাকরিই হারিয়ে ফেলেছেন। আর এটা আমাদের সমাজে প্রায় সব জায়গাতেই দেখা যায়। যার ফলে সম্মানিত ইমাম সাহেবরা ইসলাকে সঠিক ভাবে মানুষদের নিকট ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে পারেন না। ফলে মানুষ সঠিক ভাবে ইসলামকে জানতে ও পালন করতে পারছেন না। এতে তারা আংশিক বা ভুল ভাবে ইসলামকে বুঝছে। যার পূর্ণাঙ্গ ফল হচ্ছে ইসলাম তাদের উপর কোন বাহ্যিক প্রভাব ফেলতে পারছেনা।
আর তাই আমাদের সমাজ এখন আর পাপমুক্ত থাকছে না যদি ও দেশের শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। ৫ শতাংশ মানুষও খুজে পাওয়া যাবে না, যারা ইসলামকে জানার জন্য পড়ালেখা, অধ্যয়ন, গবেষণা করছে। এই মানষুগুলোই নিজেদের চাকরীর ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কমপক্ষে হলেও জীবনের ২০-২৫ বছর অন্যান্য পড়া-লেখা করে সময় কাটিয়েছে।
যার কারনে গ্রামের অর্ধশিক্ষিত ব্যক্তিরা ঘটনার সঠিক বিশ্লেষণ না করেই ফতোয়া দিচ্ছে আমাদের শিক্ষিত ব্যক্তিরা তাই দেখে মনে করছে এটাই হল ইসলাম আর সাথে সাথেই দাবি করছে ফতোয়া নিষিদ্ধ করতে অথচ উচিত ছিল ভুল ফতোয়া নিষিদ্ধের দাবি করা ।
আমরা শুধু ওমর (রাঃ) সেই সোনালী সমাজের গল্পই শুনি, সেই সমাজ আর বাস্তবে দেখি না। ইসলামে ধনী-গরীবের ব্যবধান নাই – এ কথা শুধু মুখেই শুনি কিন্তু বর্তমানে সেই বৈষম্যহীন সমাজ কিভাবে হবে সেই পথ কেহ বলে না।
অথচ অবিচারে ভরপুর, মদ্যপ, যেনা-ব্যভিচারে লিপ্ত, মারামারি-খুন-যুদ্ধবাজ আরবের সেই বর্বর সমাজকে পবিএ এক কল্যাণময় সমাজে পরিবর্তন করেছিল শুধুমাএ ইসলামই।
এই দূর্যোগ মুহুর্তে যদি আমাদের দেশের ইমাম ও খতিব সাহেবরা মসজিদ কমিটির প্রভাব বলয় থেকে মুক্ত করা যায় তাহলে আশা করা যায়, ইমাম ও খতিব সাহেবরা স্বাধীন ভাবে ইসলামের সঠিক ব্যাখা মুসলমারদের সামনে করতে পারবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




