somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে কখনো সংখালঘু দাঙ্গা হবে না.

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


না আমি কোন অলিক স্বপ্ন দেখতেছিনা, কিম্বা কোন রাজনৈতিক নেতার মতো হিপোক্রেসি করতেছিনা। একেবারে সত্য কথাটি বলতেছি। আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনারাই বলুন দাঙ্গা কেমনে হবে? দাঙ্গা হতে হলে দুই পক্ষ সমান হতে হবে। বাংলাদেশের সংখালুগু আমরা যাদের বলি তাঁরা আসলে সংখায় আনেক কম। ধর্মের দিকে এদেশে শতকরা নব্বই ভাগ মুসলিম আর বাকি দশ ভাগ অন্যান্য ধর্মের অধিকারী। তার উপর খুব কম এলাকা আছে এরা সংখায় বশী। এই দৃষ্টিকোন থেকে যদি দেখেন তাহলে এদেশে সংখালঘুদের দাংগা করার সমর্থন নেই এবং কখনো সামর্থন অর্জন করতে পারবে বলে মনে হয় না। আর করাও বা দরকার কি? বছরের পর বছর বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একে অপরের পাশে থাকেছেন। ধর্মের দোহায় গুলো ,যেমন মুসলমানের ছোয়া লাগলে গা নাপাক হয়ে যাবে, আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে। শিক্ষা, সত্যকারের ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশে আস্তের আস্তে মানুষকে আরো কাছে নিয়ে আসতেছে। শহর থেকে হিন্দু হোটেলের সাইন বোর্ড উঠেগেছে অনেক আগে। হিন্দু মুসলমানের সন্তান একসাথে পড়ালেখা করতেছে, খেলতেছে। মোট কথা ধর্মের কারনে বিবেধ ধীরে ধীরে মলীন হয়ে যেতেছে।


প্রশ্ন করেতে পারেন তাহলে বাংলাদেশে কি সংখালগুরা বেশ শন্তিতে আছেন? দুঃখজনক হলএও সত্য তাঁরা শান্তিতে আছেন তা কেউ দাবি করতে পারিনা। দেশ স্বাধীন হলেও অনেক ক্ষেত্রে তাদের অবস্তা একটুও পারিবর্তন হয় নিয়। না আমি উল্টা পাল্টা বলতেছিনা। উপরে আমি যে পরিবর্তনের কথা বলেছি তা মা্নুষ হিসবে একে অপারের কছে আসা, তথাকতিত ধর্মের বাঁধা নিষেধ দূর হওয়া। কন্তু দেশে সাধারন জনগন ছাড়া আরো একটি শ্রেণী আছেন। তাঁরা হলেন আমাদের অসাধারন রাজনীতীবিদ। সংখালগু সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের মনোভাবে এটুকুও পরিবর্তন হয় নায়।

আমরা সবাই জানি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংখালগুরা ছিলেন অন্যতম ইসু। ধর্ম ভিত্তিক পাকিস্থানে তাদের কোন জায়গা ছিলোনা। যুদ্ধের সমায় এর ছিল সবচেয়ে সহজ টার্গেট। ধর্মের নামে, ভারতের দালাল নাম দিয়ে এদের কে হত্যা করা বা দেশ ত্যাগ করতে জোর করা ছিল সবচেয়ে লাভজনক। কারন একবার দেশ ছেড়ে চলে গেলে এদের সব সম্পদের মালিক বনে যাওয়া যেত। দেশ স্বাধীন হলো, আর সবার মতো এরাও আশায় বুক বাধল বাংলাদেশ হবে সবার। এই দেশে ধর্ম প্রিয় মানুষের এদেশ সবার। কিন্তু বাস্তবতা কি এটাই?

৭১ এর পরাজয় জামায়েত কোন দিন ভুলতে পারেনাই, ধর্ম তাদের রাজনীতির মূল পজিশনিং পয়েন্ট, তাই তারা জানে অন্যধর্মের লোক তাদের কে কোনদিন ভোট দেবা না। সুতারাং সংখালগুরা জামায়েতের কাছে কখনো গুরুত্বপূর্ণ ছিল না স্বাধীন বাংলাদেশে। তারদের একমাত্র ইচ্ছা এরা যেন ভোটের সমাই ভোট কেন্দ্রে না যায়। জামায়েত সংখালগুদের পছন্দ করেনা, তারপরেও এর ভোটের সমায় ছাড়া এদের কে ঘাটতে যায় না। ও হ্যাঁ, ২০০১ এর ভোটে বি, পি, এর সাথে জোট বাঁধে জিতার পর সংখালগুদের একটা শিক্ষাদিতে তারা ভুল করেনাই! যা ২০০১ সালের নির্বাচনের পরের ঘটনাগুলো তে দেখা গেল।

কিন্তু অন্যদুই দল, বি, এন, পি এবং আওয়ামীলীগ খেলতে থাকলো এদের সাথে।ঐতিহাসিক ভাবে সংখালগুদের প্রিয় দল আওয়ামীলীগ, বিভিন্ন বিপদ আপদে দলটাকে এরা শেষ আশ্রয় মনে করেছেন। আওয়ামীলীগ ও সব মানুষের জন্য তাদের দরজা খোলা রেখেছিলেন। বি, এন, পি এদের কে দল ভেড়ানোর চেষ্টা করে অনেক খানি সফল হয়েছেন। যার ফলে দেখা যায়, বি, এন, পির শীর্ষ নেতৃত্বে অনেকে আছেন হিন্দু সম্প্রদেয়ের লোক। কিন্তু আওয়ামীলীগ এদের কে নিজেদের সম্মপদ মনে করে। তারা ধরে নে, এদের সব ভোট তাদের। অন্যকে ভোট দেওয়া মানে অপরাধ করা।

সব মিলিয়ে সংখালগুরা আজ খেলনার পাত্র। এদের নিজেদের কোন পছন্দ থাকাটাই অপরাধ। ভোট কেন্দ্রে গেলে দোষ, না গেলেও দোষ। এদের সম্পদে সবার অধীকার ! কিন্তু এমনতো হবার কথা ছিল না। বাংলাদেশ তো ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়নি। তাহলে ধর্ম আলাদা বালে এদেরকে কেন জাতীয় ভাবে আলাদা করে দেখবো। সংখালগু তত্বের কোন স্থান থাকার কথাতো না। এই শব্দোতো সরকারী ভাবে কোথায় লেখা থাকা, ব্যাবহার করা ৭১ এর সরাসরি বিরোধীতা।

মানলাম বাংলাদেশে ৯০% এর বেশী মুসলমান। কিন্তু আমরা কেমন মুসলমন যে ধর্মের কোন উপকার তো করতে পারিনা বরং ধর্মের নামে অন্যায় করে ধর্মের আপমান করি। অন্যধর্মের কাছে নিজের ধর্মকে ছোট করে। অথচ, আমরা সেই মহামানবের অনুসারী যার কাছে সব ধর্মে, বর্ণের, গোত্রের মানুষ ন্যায় বিচারের জান্য আসতেন। নিজের সম্পদ জমা রাখতে আসতেন। তিনি ন্যায় বিচার করতেন, উপকার করতেন, কিন্তু বিনিময়ে কোনদিন বালেন নাই আমি তোমার উপকার করলাম, তুমি আমার ধর্ম গ্রহন করো। কারন, ইসলাম জোড় করে বা বিনিময়ে গ্রহন করানোর কোন ধর্ম না। ইসলাম কে প্রচার করতে হলে তা সবার কাছে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করাটায় যথেষ্ট। আর আল্লাহ যার অন্তর খুলেদেন, রহম করেন, সেই এটা গ্রহন করবে। আর আল্লহ যার অন্তরে সিল গালা করে দিয়েছেন তাকে কাছে টানার জন্য নবীজীকে চেষ্টা করতে নিষেধ করেছেন, আপনি আমি তো দুরের কথা। সুতরাং মানে অন্য ধর্মের লোকের প্রতি ঘৃনা পোষন করে আপনি যদি মানে কারেন ইসলামের সেবা করতেছেন, তাহলে আমি বলবো আমনি নিজ ধর্ম সর্ম্পকে একটু ভালো করে জানেন। নিজে পড়েন, ভালো কোন আলেমের কাছে জান, (আমাদের দেশে ক্ষমতায় যাবার জন্য মুখিয়ে থাকা তথাকতিত রাজনৈতিক আলেম না)।

সংখালগুদের সার্ম্পকে ইসলামের দৃষ্টিভংগি জানার জন্য, পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান মদিনা সনাদই যথেষ্ট। বিশেষ করে ৮, ৯, ও ১৩ নং ধারা দেখুন। আর ভাবুন, যে সনদ করেছিলেন নবীজী সয়ং নিজে, এ সনদে অন্য সম্প্রদেয়ে লোকদের প্রতি নবীজী কি ধারনা পোষন করেছিলেন। আর আপনার ধারনা কি। তারপর আপনি নিজে ভাবেন, মুসলমান হিসবে আপনি কতটুকু সঠিক পথে আছেন। আল্লাহ আমাদের হেদায় করুক।
আরো পাড়তে ক্লিক করুন।

আমাদের সাথে যোগদিন ফেইসবুক
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×