সাভারে ধসে পড়া নয় তলা ভবন থেকে আগেই সব লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, হতাহতরা পরে জিনিসপত্র আনতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছে।
বুধবার কমলাপুর স্টেশনে ডেমু ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এমন দাবি করেন।
তিনি জানান, উদ্ধার অভিযানে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।
মঙ্গলবার ফাটল ধরা ‘রানা প্লাজা’ নামের নয় তলা ভবনটি বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ধসে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৬ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। তবে নিহতের সংখ্যা একশ’ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই সচেতন ছিলাম। আমরা জানতাম বলে সব লোক সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু মূল্যবান জিনিস সরিয়ে নিতে সকালে লোকজন সেখানে গিয়েছিল। তারাই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।’
ভবন ধসের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছি। শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যর প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
আহতদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। হরতালের জন্য উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হরতাল প্রত্যাহার করতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, হরতালের কারণে আত্মীয়স্বজন দুর্ঘটনাস্থলে আসতে পারছে না।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকালে ফাটল দেখা দেয়ার পরপরই ওই ভবনে থাকা চারটি গার্মেন্ট কারখানা ও ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে বুধবার সকালে শ্রমিকরা আবারো কারখানায় গিয়ে কাজ শুরু করেন।
উৎসঃ আরটিএনএন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




