দারোগা মাইনুল হোসেন মামা গ্রেফতারঃ জরুরি অবস্থায়ও ঘুষ-বাণিজ্য রমরমা। (মামা বললাম এই কার্ণে যে, এখন সবচেয়ে মামা আর টাকার জোর সবচেয়ে বেশী। তার সাথেতো আছেই দাপট আ পাওয়ার। এই সবগুলো গুনাবলীর অধিকারীই আমাদের মাইনুল মামা)। আপনারাই বলুন এই ঘুষ মামা মাইনুলের কি শাস্তি হওয়া উচিৎ???
ঘুষ নিতে গিয়ে দুদকের হাতে দারোগা গ্রেপ্তার, এক বছরে সাড়ে ১৫ হাজার পুলিশের শাস্তি । গ্রেপ্তারকৃত দারোগা মাইনুল হাসান দেশে জরুরি অবস্থা জারি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার পরেও ঘুষ-বাণিজ্য থেমে নেই। ঘুষ-বাণিজ্যে পিছিয়ে নেই প্রকৌশলী, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে খোদ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এখনো ঘুষ-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দেদার। ইতিমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। ঘুষ ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত এক বছরে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারপরও গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীতে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পুলিশের এক দারোগা (এসআই)।
জরুরি অবস্থা জারির পর পুলিশ বিভাগ সংস্কারে হাত দেয় সরকার। পুলিশের বিভিন্ন অসুবিধা ও বাধা দূর করে পুলিশের কার্যক্রমকে আরো সেবামূলক ও গতিশীল করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ লক্ষ্যে নেয়া হয় বিভিন্ন বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের কাছ থেকেও নেয়া হচ্ছে সহযোগিতা। পুলিশের ভেতরে চালানো হয় শুদ্ধি অভিযান। ঘুষ ও দুর্নীতির বাইরে থেকে প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্নভাবে সতর্ক করে দেয়া হয় পুলিশ সদস্যদের। এরপরও ঘুষসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে পুলিশ। থেমে নেই আগের মতো রমরমা ব্যবসা।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার যুদ্ধ ঘোষণার পরেও অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। পুলিশ ছাড়াও সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে অবাধে চলছে ঘুষ লেনদেন। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরো একজন সরকারি কর্মকর্তাকে। ডেসার কয়েকজন প্রকৌশলী হাতেনাতে ধরা পড়েছেন ঘুষ লেনদেনের সময়। কিন্তু যাদের মাধ্যমে এ গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, সেই পুলিশের ঘুষ-বাণিজ্য বন্ধ না হলে কাজটি কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে ঘুষ-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত ১৫ হাজার ৪০৫ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ১ হাজার ৭০ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যকে গুরুতর অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়া হয়েছে। লঘুদ- দেয়া হয়েছে ১৪ হাজার ১০৭ জনকে। শুধু চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ২ হাজার ৪৬৭ জন পুলিশ সদস্যকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। গত এক বছরে এএসপি থেকে ওপরের পদমর্যাদার ১৪ জন কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে। কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের সবচেয়ে বেশি শাস্তি হয়েছে। ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ৯ পুলিশ সদস্যকে গুরুতর অপরাধের জন্য লঘুদ-ে দ-িত করা হয়েছে। দুই শতাধিক পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘুষ গ্রহণের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার হওয়া সবশেষ পুলিশ সদস্য হলেন ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার দারোগা মাইনুল হাসান। মাইনুল চাঁদাবাজি মামলার এক আসামির কাছ থেকে ঘুষের টাকা আনতে রাজধানীর নাখালপাড়ার বনভোজন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে যান। বিষয়টি আগেই টের পান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, চার্জশিটে আসামির নাম অন্তর্ভুক্ত না করার আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন দারোগা মাইনুল। আসামি পক্ষের কাছ থেকে টাকা নেয়ার জন্য মাইনুলকে নাখালপাড়ার বনভোজন হোটেলে আসতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মোজাম্মেল নামে এক ব্যক্তি আসামি পক্ষের হয়ে ওই রেস্টুরেন্টে এসে মাইনুলকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দেন।
ঘুষ লেনদেন হবে' এ তথ্য আগেই অবহিত হওয়া দুদকের উপসহকারী পরিচালক হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওত পেতে থাকে। দারোগা মাইনুল ঘুষের টাকা হাতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দুদক কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাকে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, গতকাল তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ঘুষ ও দুর্নীতি রোধ করতে পুলিশের সর্বস্তরে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। পুলিশ বিভাগের সংস্কার নিয়ে কাজ চলছে। পুলিশের অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিপুল সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দারোগা মামা মাইনুল হোসেনঃ জরুরি অবস্থায়ও ঘুষ-বাণিজ্য রমরমাঃ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।