গনতন্ত্র হোক বা একনায়কতন্ত্র হোক তাহাতে আমেরিকা কোন সমস্যা নাই। যে তন্ত্র দিয়া আম্রিকার মন্ত্র সাধন হইবে তাহাই আম্রিকার যথার্থ বলিয়া গন্য করে। যেমন কিছু দিন আগে আম্রিকা অদ্ভুত এক তত্ত্ব হাজির করিয়া আমাদিগকে বুঝাইতে চাহিলেন বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের জনপ্রিয়তা ৬৭%। আম্রিকা কি করিয়া এদেশের ১৬ কোটি জনসাধারনের মনের খবর লইলেন তাহা আমার বুঝে আসেনাই। পরে বুঝিতে পাইলাম যে আম্রিকার সহিত বাংলাদেশের টিকফা চুক্তি সম্পাদন করার জন্য দেন দরবার চলিতেছে।যদিও ইহা অনেক আগে থেকেই চলিতে ছিল।
টিকফা এমন একটা চুক্তি,এই চুক্তি বাংলাদেশেকে অন্যান্য দেশের অনুরুপ অক্টোপাশের মত বাধিয়া ফেলিবে এবং আম্রিকার নিও- লিবারেল পলিসি বাস্তবায়ন করিবার সারথে এই দেশের অর্থনীতি মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করিয়া দিতে হইবে, সেবাখাতকে ব্যাক্তি মালিকানাই ছাড়িয়া দিতে হইবে, তবেই আম্রিকার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে, তবে কেন আম্রিকা এই অবৈধ আওয়ামি সরকারের জনপ্রিয়তাকে মিথ্যা তত্ত্বর মাধ্যমে জায়েয করিয়া তুলিবেনা? ইহার কোন যুক্তি খুজিয়া পাইলাম না।
এভাবে সউদিতে তেলসম্পদ লুন্ঠন করিবার ক্ষেত্রে সউদির জালিম রাজতন্ত্রকে সমর্থন করা আম্রিকার জন্য সঠিক বটে। অন্যদিকে মিসরের ২৫০০ বছর পর প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উতখাত করিয়া ইজ্রায়েলের নিরাপত্তার জন্য ইহুদি বংসউদ্ভুত জেনারেল সিসির মত একনায়ককে শাসন ক্ষমতায় বসাইয়াছেএবং ইহার মাধ্যমে মিসরের জন গনকে হত্যা,গনহত্যা এবং দেশটিকে অস্থিতিসিল করিয়া তাহাদের সাম্রাজ্যবাদী ফায়দা হাসিল করিতেছে।
আবার সিরিয়াতে তাদের সাম্রাজ্যবাদী সুবিধা লুটিতে পারে নাই বিধায় সেখানে গনতন্ত্র তাহাদের জন্য অত্যান্ত জরুরী হইয়া পরিয়াছে। এই জন্য সেখানে গনতন্ত্র প্রতিস্থা করিবার জন্য সারা দুনিয়া থেকে সন্ত্রাসি আহরন করিয়া সিরিয়া প্রেরন করিয়াছে।আমি নিজে এই বিশয়ে সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত যে,২০১২-২০১৩ সালে সারা দুনিয়া থেকে আল কায়েদা, আই এস, আল নুস্রা ফ্রন্ট,সেকুলার জংগি দল গুলোকে আহবান করিয়া সিরিয়া ও ইরাকে একত্র করা হয়েছে। সেখানে আসাদ সরকারকে উতখাত করিয়া ইজ্রায়েলের নিরাপত্তা বহাল রাখিবার জন্য অথবা নুন্যতম পক্ষে সিরিয়া ও ইরাককে যাহাতে অস্থিতিশীল করা রাখা যায়। কিন্তু অদ্য অক্লান্ত সাধনা করিয়াও ইরানের জন্য তাহেদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করিয়ে পারে নাই।
যাকগে,কথা হয়লো গিয়া আমার কথা তা না-এই বহুরুপি সয়তান গুলো নাকি গনতন্ত্রের ধজ্জাধারি,অথচ নিজেদের সারথে হেন কোন অপকর্ম নাই তাহারা বাকি ছাড়িয়া রাখে। যেখানে যে তন্ত্র প্রয়োজন সেখানে সেই তন্ত্রই প্রয়োগ করিয়া থাকে। আমাদেরকে এই তন্ত্র গুলোর বিরুদ্ধে হিম্মত যোগাড় করিয়া প্রতিরোধে অভিযান চালাইতে হইবে। টিকফা মত দাসত্ব মুলক চুক্তিগুলো প্রত্যাখান করিতে হইবে। নচেৎ গনমানুস জুলুমের মধ্যে নিক্ষেপিত হইবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১