
ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী ইবনে আবু তালিব, যিনি নানা গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ছিলেন। খলিফা উসমান হত্যার সাথে সাথে একের পর এক যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। খলিফা আলী নবী মুহাম্মাদের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন, তিনি নবী মুহাম্মাদের আপন চাচাতো ভাই, মেয়ের জামাতা ও আপন নাতনীর জামাতা ছিলেন। তিনিও সেই দশজন সৌভাগ্যশালীদের একজন নবী মুহাম্মাদ যাঁদের বেহেস্তের সুসংবাদ প্রদান করেছিলেন।
খলিফা আলী সাতটি বিয়ে করেছিলেন:
১.ফাতেমা
২.উম্মাহ্ বিনতে জয়নব
৩.উম্মুল উল-বানিন
৪.লেইলা বিনত মাসুদ
৫.আসমা বিনতে উমায়
৬.খল্লা বিট জাফর
৭.আল সাহবা 'বিনত রবিয়াহ
উম্মাহ বিনতে যয়নাব হল, খলিফা আলীর স্ত্রী, নবী মুহাম্মাদের প্রথম সন্তান যয়নাবের ও আবু আস ইবনে আল রাবি র প্রথম কন্যা ও ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদের আপন বোনের মেয়ে। ৬৬১ সালে আলীকে খুন করার পর উম্মাহ বিনতে যয়নাব ফাতিমার বড় বোনের মেয়েকে মুয়াবিয়া ১ বিয়ে করেন সে ঘরে একটি সন্তান হয় ইয়াহিয়া।
খলিফা আলীর দশ সন্তান ছিলেন এর মধ্যে একটি মিসকারেজ(মুহসিন ইবনে আলী) সন্তান সহ পাঁচটি সন্তান ফাতিমার। চারটি অন্যান্যদের ও একটি আসমা বিনতে উমায় এর পূর্ববর্তী স্বামীর।
খেলাফতের নির্বাচনের পরপরই তিনি ইসলামী রাষ্ট্রের রাজধানী, মদীনা থেকে ইরাকের কুফায় সরিয়ে নেন, যা ছিল অধিকতর কেন্দ্রীয় একটি স্থান।
তাঁর নির্বাচনের পরপরই তিনি জনগণের বিশেষ করে নবী এর প্রভাবশালী সাহাবী যেমন তালহা এবং যুবাইর এর উত্থাপিত উসমান-এর হত্যাকারীদের যথাশীঘ্র শাস্তির জনপ্রিয় দাবীর সম্মুখিন হন।
আলী ঘোষণা করেন যে, তাঁর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার রাষ্ট্রে শান্তি- শৃংখলা পুনঃস্থাপন করা কিন্তু তালহা এবং যুবাইর , আলী এর এই সিদ্ধান্তে রাজী হননি; তারা সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত করা শুরু করেন। আলী উসমান হত্যায় হত্যাকারীদের সাজা দিতে নিরুৎসাহিত ছিলেন। আয়েশা ও হযরত উসমানের হত্যাকারীদের শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে তালহা এবং যুবাইর এর সাথে যোগ দেন। তিনজনে মিলে বসরার উদ্দেশ্যে এক সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন। বিখ্যাত সাহাবী তালহা ও যুবাইর নৃশংস ভাবে নিহত হন। আয়েশা কে সন্মানের সাথে বন্দি করে মদিনায় নিয়ে যাওয়া হয়। আয়েশা এবং আলীর যুদ্ধ টি উটের যুদ্ধ নামে পরিচিত কারন আয়েশা ঊটের উপর চড়ে যুদ্ধর নেতৃত্ব দেন।
তিনি তার সন্তানসহ কাছের মানুষদের অনেক ঊচ্চপদ দান করেন। তার বিষয়ে উসমান হত্যাকান্ডে খুনিদের মদদ সহ তৎকালিক মুসলমানদের অনেক অভিযোগ থাকলেও বেশির ভাগ ঐতিহাসিকদের মতে তিনি অত্যান্ত প্রভুভক্ত খলিফা ছিলেন।
তার গুণাবলি আজও মুসলিম বিশ্বের একটি বড় সম্পদ।
রেফারেন্স সমুহঃ
*মুহাম্মদ ইবনে জারীর আল-তাবারী। তারিখ আল রাসুল ওয়াল মুলুক। ল্যান্ডো-tasseron, ই (1998) দ্বারা অনুবাদ।
*মুহাম্মদ ইবনে সাদ। কিতাব আল-তাবকাতে আল-কবির, ভলিউম ৮।
*আল বুখারী, বুখারী।
*আলী ইবনে আবি তালিব । নাহজ আল-বালাঘা , এশ-শরীফ আর-রাডি দ্বারা সংকলিত। আলহোডা ইউকে।
*আলী ইবনে আল-আতার তার জীবনী মধ্যে, ভলিউম ২.
*ইবনে তাইমিয়া, তাবী আদ-দীন আহমদ মিনহাজ এ-সুন্নাহ ন-নাবউয়াহ
*মুসলিম ইবনে আল হাজযজ, সহীহ মুসলিম, বই ১৯, ৩১।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




