বিভিন্ন সময়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে কারাভোগের পর জেল গেটে ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত হতে দেখেছি। কিন্তু কাল জেল গেটে দেখলাম এক অবাক কান্ড। কারাভোগ শুরু হওয়ার আগেই উষ্ণ ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন উদ্যমী ও তরুণ এক সাংবাদিক। দুদিকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়েছেন সহকর্মী সাংবাদিকরা। এ এক অন্যরকম দৃশ্য। এমন দৃশ্য অতীতে বাংলাদেশে আর কেউ কখনও দেখেনি। এ যেন সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকের জেলযাত্রা নয় যেন আদালতের রায়ের প্রতি নীরব প্রতিবাদ। টিভিতে সত্যনিষ্ঠ বীর সাংবাদিকের এ দৃশ্য দেখে রায়ের আদেশ দেওয়া বিচারকরাও মনে হয় লজ্জা পেয়েছেন। সত্য প্রকাশের দায়ে সুপ্রিমকোর্টের দণ্ডপ্রাপ্ত আমার দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি অলিউল্লাহ নোমান আজ নতুন এক ইতিহাসের অংশ। অলিউল্লাহ নোমান তার রিপোর্টে উচ্চ আদালতের ভাবমর্যাদা রক্ষায় এটর্নি জেনারেলের অফিসের কিছু মিথ্যাচার ও অনিয়মগুলো তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু আদালত রায়ে বললেন তারা সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে বসেননি, আদালত অবমাননা হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য বসেছেন। তবে কি সত্য মিথ্যার যাচাই আমাদের দেশের আদালতের দায়িত্ব নয়। কিন্তু আদালত যদি সত্য মিথ্যা না দেখাতে পারেন, তাহলে তারা মানুষের মন জয় করতে পারবেন না। আর মানুষের মন যদি তারা জয় করতে না পারেন, তাহলে আদালতের আর কোনো ক্ষমতা থাকে না। আদালতের ক্ষমতা হলো জনগণের সমর্থন। না হয় জনগণ আবার জেগে ওঠে বলবে" বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা"
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





