somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসা ও তৃতীয় পক্ষ। →১ম পর্ব←

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাসা থেকে বের হলাম মাত্র...
সাথে সাথেই অভির ফোন..

-হুম অভি বল..
-ভাই আপনি কই?
ভাবীর তো কলেজে যাওয়ার সময় হয়ে গেলো..
-আমি আসছি তোরা দাড়া।
-তাড়াতাড়ি আসেন আমরা জায়গা মতই দাড়াই আছি...
-হুম্মম আসছি...

ফোনটা কেটে পকেটে রেখেই হনহন করে হাঁটা শুরু করলাম...

অভিদের কাছে পৌছাতেই অভি বললোঃ
-ভাই, ভাবী মাত্র বাসা থেকে বের হইছে খবর পাইছি....
-হুম ওকে আমিও এসে গেলাম...
কথাটা শেষ করেই পকেট থেকে সিগারেট বের করে ঠোটে রেখে আগুন জ্বালাতে যাবো ঠিক তখনই অভি বললো,

-আরে ভাই কি করেন??
এখনি ভাবী আইসা পড়বে...
-দাড়া, সকাল থেকে এখনো সিগারেট খাওয়া হয় নাই....দুই টান দিয়েই ফেলে দেবো ও আসার আগে....

ঠিক দুই টান দিয়ে তিন টান দেওয়ার সময়ই কানে আসলো অভির কথা,
-ভাই ভাবী এসে গেছে....

হাতটা আর উপরে উঠানোর সাহস হলো না...
আস্তে করে ঘ্যাচাং করে হাতটা লুকিয়ে ফেললাম আর সিগারেটটাও ছুঁড়ে মারলাম রাস্তার পাশের ময়লা তে....

তাকালাম ওর আসার রাস্তার দিকে....
ওর চলার পথের দিকে তাকিয়েই থাকলাম মুগ্ধ হয়ে....
অসাধারন ছন্দময় সেই হেঁটে চলা....
আমি হারাতে থাকলাম অতীতে....

প্রথম যেদিন মেয়েটি এই পাড়াতে আসে,আমি এক দেখাতেই মেয়েটির প্রেমে পড়ে যাই....
সেকি অদ্ভুত তার সৌন্দর্য তার সব কিছুতেই....
পরে জানতে পারলাম,
মেয়েটির নাম "অনু"

উফফ সুন্দর মেয়েদের নাম গুলাও যে কেন এত সুন্দর হয় এটাই বুঝতে পারি না....

মেয়েটির সম্পর্কে এর বেশি কিছুই জানিনা,
অবশ্য চাইলে জানাটা আমার জন্য কোন ব্যাপার ছিলো না...
কারন আমি হচ্ছি এই এলাকার টপ অফ দ্যা হিরো...

বাপের টাকার অভাব নাই তো তাই......যা হয় আর কি!!!!!

কিন্তু ওকে দেখাতেই এতটা বিভোর ছিলাম যে অন্য দিকে মন দেওয়ার কথা মাথায়ই ছিলো না...

দীর্ঘ এক বছর যাবৎ আমি অনুকে দেখে যাচ্ছি...
কিন্তু কখনো অনুর সামনে যাওয়ার সাহস হয়নি...
কেন যে হয়নি তাও জানিনা...
পিচ্ছি একটা মেয়ে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে,
আমার কিইবা এমন করবে,ভয়ে সর্বোচ্চ কেঁদে দিবে....

এটা আবার মেয়েদের বিশাল একটা অস্র...
হয় হাসি নাহয় কান্না দুটোর একটা দিয়ে যেকাউকেই ওরা ঘায়েল করতে পারে....

আমি দূর থেকেই শুধু অনুকে দেখতাম...
কলেজে যাওয়ার সময় এবং আসার সময়....
দুটো টাইমেই আমি আমার সাঙ্গ পাঙ্গদের এই রাস্তার মোড়ে অবস্থান নিতাম....

ও হয়ত বুঝতো আমার এই রোজকার ডিউটি দেখে...
কিন্তু কিছুই বলতো না শুধু আমার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ঘোমটা টেনে দিয়ে মাথা নিচু করে কাপড় ঠিক করতে করতে চলে যেত আবার ফিরেও আসতো.....

অভির ধাক্কাতে বাস্তবে ফিরে এলাম...
আমার মগ্নতা দেখে অবশ্য ওরা কেউই অবাক হয়নি কারন এটা প্রতিদিনকার ঘটনা...

অনু চলে যাওয়ার পর অভি আমাকে ধাক্কা দিয়ে বাস্তবে ফেরায়....

তারপর ওদের নিয়ে চলে যাই আমাদের আড্ডায়...
আবার ফিরে আসি এই রাস্তার মোড়ে অনু কে দেখার জন্য...

আজও আড্ডা শেষে ঠিক ১:৪০এ এসে দাড়ালাম রাস্তার মোড়ে....

অপেক্ষার ক্ষন শুরু.....
ও আসবে আমার ঠিক সামনে দিয়ে ও বাসায় চলে যাবে...
তারপর আমিও ঠিক ঠিক সুবোধ বালকের মত বাসায় চলে যাবো....
তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে আবার বের হবো এদিক সেদিক সামান্য ঘোরা ফেরা করে...সন্ধ্যা ৮/৯টার মধ্যে বাসায় ফিরবো...
তারপর ১০টা বা সাড়ে ১০টার মধ্যে খাওয়া দাওয়া করেই ঘুমিয়ে যাবো....
সকালে আবার ভোরে উঠে যেতে হবে সেই রাস্তার মোড়ে....

সবই ছকে বাঁধা...

কিন্তু অনু আজ আসছে না কেন!!!!
প্রতিদিন ঠিক দুইটা বাজার সময় ও এই মোড়টা ক্রস করে....
কিন্তু এখন তো আড়াইটা বাজে...
আজ ওর কি হলো!!!!!

সময় গড়াচ্ছে আর আমার চিন্তার গতি বাড়ছে....
তিনটা বেজে গেলো...অনু এখনো এলো না.....
আমি খুব ঘন ঘন ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছি আর রাস্তার দিকে তাকাচ্ছি....
শরীর ঘামতে শুরু করলো...
অস্থিরতা শুরু হয়ে গেলো...
অনু আসছে না কেন!!!!
হাঁটা হাঁটি শুরু করলাম....

অভিরা কিছুই বলছে না,
ওরা তো জানে আমার এই অস্থিরতা কেন....

ভেবে পাচ্ছিলাম না,
ও কি আজ তাড়াতাড়ি বাসায় চলে গেলো???

ডাক দিলাম অভিকে,
ডাকটা এক প্রকার চিৎকার এর মত হয়ে গেলো...

অভিকে বললাম,
অনুদের বাসার সামনে ফোন করে জিজ্ঞেস কর অনু কি বাসায় চলে গেছে কিনা আজ......

অভি ফোন নিয়ে পাশে সরে গেলো....
আমি ঘাম মুছবো নাকি স্থির হবো নাকি পায়চারি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না...

অভি ফিরে এসে বললো,
অনু এখনো বাসায় যায় নাই.....
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩১
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×