মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশে পাকিস্থানি বিএনপি-জামাত-শিবির যে তান্ডব শুরু করেছে, তাতে আপনার জন্য এটাই সুবর্ণ সুযোগ এই পাকিস্থানীদেরকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেবার। এখনো পর্যন্ত পুলিশ খুবই চমৎকার কাজ করেছে। গত তিন-চার দিনে একশো’র বেশী লাশ ফেলে দিতে পেরেছে। আজকে দিনেই আবার নতুন করে অন্ততঃ ২৫ টির বেশী লাশ ফেলে দিতে সক্ষম হয়েছে আমাদের পুলিশ। তবে এটাই চূড়ান্ত সাফল্য নয়। আমাদের শত্রু সংখ্যা অনেক বেশী। কম করে হলেও সাত কোটি তো হবেই। তবে, ছাত্রলীগ আমাদের কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করেছে। হিন্দুর কমিউনিটির ওপর আক্রমণ করে তা সফলভাবে পাকিদের ওপর চাপিয়ে দিতে পেরেছে। এক্ষেত্রে আমাদের মিডিয়াও এ পর্যন্ত অসাধারণ পারফর্ম্যান্স করে যাচ্ছে। আমি মনেকরি আমাদের রণকৌশলে যদি আমরা আরেকটু পরিবর্তন আনি, তাহলে এই দেশ থেকে এই ছয়-সাত কোটি বিএনপি-জামাতকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া আপনার একটা নির্দেশের অপেক্ষা মাত্র।
[সুখের সেই দিনগুলি এখন কেবলই স্মৃতি!]
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গত জাতীয় নির্বাচনে এদেশের আওয়ামী লীগ ভক্ত জনতা নির্বাচনে আওয়ামী জোটের প্রাপ্ত ৪৮% ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে এককভাবে ৪০% -এরও বেশী ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তার আগের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ প্রেমিক জনতা আপনাকে ৪০% - এর কাছাকাছি ভোট দিয়েছে।
২০০১ সালে আওয়ামী প্রেমী জনতা আমাদেরকে ৪০%- ভোট দিলেও পাকি জামাত পাকি বিএনপির সাথে জোট করার কারণে আমরা টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতার স্বাদ নিতে পারি নাই। কারণ এই পাকি জামাতেরও ৫% বা প্রায় ১ কোটি কোর সমর্থক আছে। এরা সবাই পাকিস্থানি কারণ স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি আওয়ামীলীগ কে যারা সমর্থন করে না তারা বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারে না।
[সুখের সেই দিনগুলি এখন কেবলই স্মৃতি!]
প্রতিটি নির্বচনেই ৮% থেকে ১০% ভোটার থাকে অনিশ্চিত ভোটার। এরাও শয়তানের হাড্ডি। এরা একবার আমাদেরকে ভোট দেয়, আরেকবার পাকি বিএনপি-জামাতরে দেয়।
[হায়রে জামাত!তোরা যদি ১৯৯৬ সালের মতো আওয়ামী জোটে থাকতি, তাহলে আমাদের শত্রু বিএপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় যেতে পারতো না। আমারাও তোদের ওপর ক্ষুব্ধ হতাম না। আর এখান থেকেই বিএনপির পরই তোরা আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে গেছিস!সুতরাং তোদেরকে আর কোন ছাড় নয়!]
ওদিকে আমাদের জাত শত্রু বিএনপিও জাতীয় নির্বাচনে কম বেশী ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে থাকে। যদিও আমরা গত নির্বাচনে মঈন উ’র অশেষ কৃপায় বিএনপির ভোট ৩৩ শতাংশে নামিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছিলাম। মোনাফেক আব্দুল জলিল সেই গোমর ফাস করে দিয়ে একটা ক্যাচাল বাঁধিয়েছিল অবশ্য। যাকগে সে কথা।
[সুখের সেই দিনগুলি এখন কেবলই স্মৃতি!]
এই চল্লিশ শতাংশ ভোটের হিসেবে বর্তমান বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৬ কোটি লোকই প্রকৃত আওয়ামী লীগের ভক্ত যারা আপনাকে ভোট দিয়ে বারবার ক্ষমতায় নিয়ে আসে। এরাই প্রকৃত দেশ প্রেমিক জনতা। এরাই হলো স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। বাকি ৪০+৫=৪৫% বা প্রায় ৭ কোটি লোক হলো পাকিস্থানের দালাল বিএনপির দোসর।এরা স্বাধীতনার বিপক্ষ শক্তি। এরা এই দেশের নাগরিক নয়।
[কতই না মধুর ছিল সেই সম্পর্ক!]
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ‘মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার’ নামক যে মুলো আপনি ঝুলিয়েছেন, তা কিন্তু দারুন কাজে দিয়েছে। শাহবাগের গৃহপালিত আন্দোলনের নাট্যমঞ্চে আমরা এই মুলোর পক্ষে সফলভাবে এফবিসিসিআই-এর একটা অংশটকে এখানে ফিনান্স করাতে পেরেছি।
ফলে নিশ্চিন্তভাবে দিনরাত সেখানে যাতে পর্যাপ্ত খাদ্য,তাবু, পানীয়, টয়লেট, সিকিউরিটি থাকে সেটা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। নাচ,গান জমাতে পেরেছি। জমে ওঠা রঙ্গমঞ্চে জনতা জেগে ওঠেছে। অবশ্য প্রথম দিকে পাকি বিএনপির ৪০ শতাংশ ভোটার-সমর্থকও এই মুলো ভালো খেয়েছে। তবে এখন ব্যাপারটা ভিন্ন হয়ে গেছে। তারা এই মুলোর ব্যাপারটা ধরে ফেলেছে। তারা এখন এটাকে শুধুই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দেখছে। তবে, রাজাকারের অনুপাত বের করলে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক রাজাকার যে আমাদের দলে আছে, এবং এদের বিচার না করে শুধুই যে জামাতের বিচার করছি, এটা নিয়েও আর কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। এটা আমাদের সাফল্য।
তা যাই হোক, এই রঙ্গমঞ্চকে ব্যবাহর করে আমরা সবকটাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ। তবে এখানেই কিন্তু আমাদের থেমে গেলে চলবে না।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, ভেবে দেখুন: যদি আমরা এই সাত কোটি বিএনপি-জামাত ভোটারকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারি তাহলে দেশে থাকবে শুধুই স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি আওয়ামী প্রেমী ভোটাররা। আপনি আজীবনের জন্য হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। বংশ পরম্পরায় শুধু আপনারই উত্তরাধীকারীরা এই দেশ শাসন করবে। মানুষ সুখে শান্তিতে দিন কাটাবে।
এজন্য আপনাকে শুধু ছোট্ট একটা ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। পাকি সাঈদীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে যেসব পাকি রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ করছে, তার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আপনি যে অপারেশন ক্লিন বাংলাদেশ শুরু করেছেন, তার ভলিয়ম বাড়িয়ে একটু উপরে উঠিয়ে দিতে হবে। র্যাব-পুলিশ-বিজিবিকে নির্দেশ দিতে হবে যেখানে যতো বিএনপি-জামাত আছে ধরে ধরে এনে প্রকাশ্যে গুলি করে মেরে ফেলো। বিএনপি-জামাতের আর এই দেশে কোন ঠাঁই নাই। এই দেশের জাগ্রত জনতা বিএনপি-জামাতকে আর বাংলার মাটিতে জীবন্ত রাখতে চায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




