দেশে যুদ্ধ চলিতেছে এবং ইহাতে দু’একজন যোদ্ধা আহত-নিহত হইবেন, তাহা অপ্রত্যাশিত নহে। তবে এইরূপে গ্রেনেড ছুড়িতে গিয়া আহত হওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম খা আলমগীর গতকাল এক প্রেস রিলিজ দিয়া কহিয়াছেন, রাজশাহীতে গতকাল জামাত-শিবিরের মিছিলে গ্রেনেড ছুড়িয়া মারিতে যাইয়া পুলিশের যে শিক্ষানবীশ উপ-পরিদর্শকের দুই হাতের কবজি উড়িয়া গিয়াছে, তাহা জামাত-শিবিরের সরবরাহকৃত ছিল। পুলিশের আসল গ্রেনেড হইলে তা পিন খুলিবার সময় হাতে বার্স্ট হইবার চান্স না বলিলেই চলে। যেহেতু গ্রেনেডটি জামাত-শিবিরের সরবরাহ করা ছিল তাই গ্রেনেডটি মিছিলের দিকে ছুড়িয়া মারিবার সময় পুলিশের হাতে বিস্ফোরিত হইয়াছে।
দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক হলুদ আলো, হলুদ কন্ঠ, হলুদ স্টার, ভারতীয় টয়লেট টিস্যু কন্ঠ, হলুদকাল, হলুদান্তর, হলুদফাকসহ প্রায় সব পত্রিকায় খবরটি সচিত্র প্রকাশিত হইয়াছে।
তবে এই খবরকে চ্যালেঞ্জ করিয়া শিবির যে ভিড্যু ফেসবুকে ছাড়িয়াছে, তাহাতে কিন্তু স্পষ্টই দেখিতে পাওয়া যায় যে গ্রেনেডখানি শিবিরের সরবরাহকৃত গ্রেনেড নহে; উহা ভারত থেকে আমদানিকৃত পুলিশেরই গ্রেনেড।
তাহার অর্থ দাড়াইলো এই যে ম খা সাহেবের পুলিশকে আরো প্রশিক্ষণ লইয়া গ্রেনেড ছুড়িতে যাইতে হইবে; না হইলে এইরূপে গ্রেনেড সরবরাহকারীর ওপর দোষ চাপাইয়া লাভ নাই বলিয়া জাতি মনে করিবে।
তাহা ছাড়া কমিশন খাইয়া নিন্মমানের ভারতীয় গ্রেনেড আমদানি করিয়া পুলিশের জীবন বিপন্ন করিবার এই ব্যাপার কিন্তু জাতি ভাল চোখে না-ও দেখিতে পারে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




