somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুরে এলাম মধুটিলা ইকোপার্ক

০১ লা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শেরপুরের আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে গজনী এবং লাউচাপড়া অনেক আগেই দেখা হয়েছে আমার। গজনী পড়েছে শেরপুরের মধ্যেই। আর লাউচাপড়া জায়গাটি আসলে জামালপুরের বকশীগঞ্জ-এ অবস্থিত। দেখার বাকী ছিল শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলায় অবস্থিত মধুটিলা ইকোপার্ক। এবার সেটিও ঘুরে এলাম গত ২৬ জুলাই।

মধুটিলায় ঢোকার প্রবেশমুখে

মধুটিলায় ঢোকার সময়

মধুটিলা ইকোপার্ক মূলত: একটি পিকনিক স্পট। শেরপুর শহর থেকে মাত্র ৩৬ কিলোমিটার দূরে এই মধুটিলাতে ছোট ছোট অনেকগুলো পাহাড়ী টিলা রয়েছে। চারিদিকে এখন সবুজের সমারোহ। খুব একটা মানুষ-জন দেখলামনা। এ সময়টি পিকনিকের জন্যে খুব একটা উপযোগী নয়। কিন্তু পিকনিকের সিজনে এখানে দলে দলে লোকজনের সমাগম ঘটে।

পাহাড়ী টিলা থেকে নামার জন্যে সিঁড়ি

চারিদিকে সবুজের সমারোহ।

গেস্টহাউজ

মধুটিলার লেক

মধুটিলাতে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে হলে ১২০ টাকা দিয়ে প্রথমে টিকেট কাটতে হবে। এর ভিতরে রয়েছে ছোট একটি চিড়িয়াখানা। আর রয়েছে অসম্ভব সুন্দর একটি কৃত্রিম লেক এবং একটি সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে দূরবীণ দিয়ে দূরে ভারতের বেইস ক্যাম্প দেখতে পাবেন।

দূরবীণ দিয়ে দূরে ভারতীয় বেইজ ক্যাম্প দেখছেন পর্যটকরা

দূরে ভারতীয় বর্ডার

পাহাড়ী টিলাগুলো বেয়ে ওঠা এবং নামার জন্যে সিঁড়ি রয়েছে। সব সময় সাথে ক্যামেরা থাকলেও এবার যেটা বড় ভুল হয়েছে, ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া হয়নি। কাজেই মোবাইলের ক্যামেরাই ছিল ভরসা। তাই খুব একটা ভালো মানের ছবি তুলতে পারিনি বলে মনটা খারাপ হয়েছে।

ওয়াচ টাওয়ার

টিলার উপরে ইট বিছানো রাস্তা

ওয়াচটাওয়ারের উপর থেকে দেখা দৃশ্য

ওয়াচটাওয়ারের উপর থেকে তোলা ছবি

ওই দূরে ভারতীয় সীমানা

মধুটিলা পিকনিক স্পটের একেবারে ভেতরের বড় গেস্টহাউজটির ভাড়া পড়বে দৈনিক ৪৫০০ টাকা। আর ছোট ছোট পিকনিক স্পটগুলোর ভাড়া দৈনিক ৬৫০ টাকা। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত থাকতে পারবেন এখানে। সপ্তাহে সাতদিন খোলা। পিকনিক স্পট ভাড়া নেবার জন্যে যোগাযোগ করতে পারেন জনাব এনায়েত সাহেবের সাথে যিনি এখানকার রেঞ্জ অফিসার। তাঁর ফোন নম্বরটি হলো: ০১৭১২২৭২০২৪।

ভেতরের বড় গেস্টহাউজটি

লেকের ওপরের দর্শনীয় ব্রীজ

ব্রীজ থেকে দেখা লেক

কিভাবে যাবেন: শেরপুর শহর পর্যন্ত যেতে সাধারনত ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটই ভালো। তবে এখন এই রুটে ভয়াবহ জ্যাম। জ্যামের কারণ হলো রাস্তা ঠিক করা হচ্ছে। তাই ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হয়ে শেরপুর যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই রুটে নিজস্ব গাড়িতে সাড়ে পাঁচ ঘন্টার মতো সময় লাগবে। আবার দুপুর ১.১০ মিনিটে মহাখালীর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যাণ্ড থেকে শেরপুরের উদ্দেশ্যে ’এসি সুপার’ বাসে’ও যেতে পারেন। দুপুর ২.৩০ এ রয়েছে ’এসি ডিলাক্স’। জনপ্রতি ২৫০/= টাকা করে ভাড়া। এসি ডিলাক্স বাসের সিট বুকিং-এর জন্যে জনাব মোস্তাক-কে ফোন দিতে পারেন এই নম্বরে: ০১৭৩৪১৯০৬৬৫।

শেরপুর শহরে থাকতে হলে: পিকনিকের জন্যে যদি যেতে চান, তাহলে খুব ভোরে রওনা দিয়ে দুপুর নাগাদ মধুটিলা পৌঁছাতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে জার্নির ধকলটা বেশি পড়বে। তাই শেরপুর শহরে '’হোটেল সম্পদ’'-এ কাটাতে পারেন এক রাত। ’হোটেল সম্পদ’-এর নম্বর: ০১৭১৮২৯০৪৪৭।

শেরপুর শহর থেকে যদি গাড়ি ভাড়া করতে চান: হযরত ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন রেন্ট-এ কার-এর জন্যে। ফোন: ০১৭১৪৯৯০৩৪৭। অথবা সুমন ভাইয়ের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন: ০১৭৩৪১৮৩০৩৫।

আমার অন্যান্য ভ্রমণকাহিনীগুলো পড়ার জন্যে এখানে ক্লিক করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০০
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×