সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৪:১১
খুন ও ভালোবাসা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
কিছু কিছু বই পড়েই মনে হয় বাসতবতা এমন হতেই পারে না । কিনতু তারপরও ভালো লাগে । বিশ্বাস করতে ইচছা হয় । আর আমার মত কেউ কেউ হয়তো গল্পের চরিত্রদের দুঃখে মনের অজানতেই চোখের জল ফেলতে ভালোবাসে । সেলিনা হোসেনের "খুন ও ভালোবাসা" পড়লাম । বইটা পড়ার আগেই অনেক প্রশংসা শুেনছি । আসলে বলা উচিত অনেক প্রশংসা শুনেই বইটা হাতে নেয়া । স্বাভাবিকভাবেই প্রচন্ড প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করলাম । কিন্ত ু কিছু পরই বোর লাগতে শুর করল । মনে হল পুরনো কোন প্রেমের উপন্যাসই বুঝি আবার পড়তে যাচিছ । মূল চরিত্র চিত্রশিল্পী শাহরিয়ার শুধুমাত্র সন্দেহের বশে তার প্রেমিকাকে খুন করে পালিয়ে বেড়াচেছ । অনুশোচনা পিছে পিছেতাড়িয়ে বেড়াচেছ তাকে ।ফেরারি হয়ে চলে যায় সিলেট। খাসিয়া বন্ধু দীননাথের কাছে ।রাস উৎসবও দেখবে, কিছুদিন থাকবেও । চাই কি, কোনো কাজ পেলে সারাজীবন থেকে যেতেও আপত্তি নেই । পেয়েও গেল । দীননাথের বাবার ্#713;কুলে ড্রইং টিচারের দায়িত্ব । আর ছেলেদের যা স্বভাব- ভালো লাগতে শুরু ক রে এক ছাত্রী রেণুবালাকে । কিনতু খাসিয়া ছেলেরা সহ্য করে না তা । একদিন দলবেঁধে এসে মেরে আধমরা করে দেয় শাহরিয়ারকে । ছাড়তে হল খাসিয়াপাড়া । দীনননাথের সহায়তায় চলে এল চা বাগান । হয়ে গেল চা শ্রমিকদের একজন । এভাবেই চলল কিছুকাল । বলতেই পারব না কখন যে ভাল লাগতে শুরু করেছে গল্পটা । খাসিয়া পাড়া ,তাদের উৎসব, প্রকৃতি, চা বাগান ,চা বাগানের মানুষেরা- সব কিছুর এত চমৎকার বর্ণণা ; মনে হচিছল যেন স্ললাইড শো দেখছি । চা বাগান থেকেও একসময় বিদায় নিতে হল শাহরিয়ারকে । ঘটনা পরিক্রমায় চলে এল দুর্গম লুসাইদের পাড়ায় । পেল পিত-ৃ মাতৃ তুল্য দুজন মানুষকে , লুসাইদের চীফ এবং তার সত্রী । ছেলেদের আদতের বিন্দুমাত্র অসম্মান না করে ভালোবেসে ফেলল কমলাবাগানের এক খ্রিস্টান মেয়েকে । আর একে বিয়ে করার জন্য ধর্ম পাল্টে ফেলে খ্রিস্টানও হয়ে গেল । ভালোই চলছিল তাদের সংসার । সমসত লুসাইকে -তাদের জীবনযাত্রা, হাসি -কান্্মা সব একটি ক্যানভাসে তুলে আনার জন্য শাহরিয়ার রাতদিন পরিশ্রম করতে লাগল । কিন্তু "অভাগা যেদিকে যায়....." ।বছরখানেকের মধ্যেই বাচচা জন্্মদানের সময় মারা গেল মেয়েটি । সতব্ধ হয়ে গেল শাহরিয়ার । ছবিটা শেষ করেই আবার পথে বেরিয়ে পড়ল সে । এবার গোমতী নদীতে মাছ ধরল কিছুদিন এক বৃদ্ধের সাথে । সনাতন র্ধেমর অনুসারি সে বৃদ্ধ দাঙ্গায় হারিয়েছে তার একমাত্র পুত্রকে ।বারবার দাঙ্গায় এলোমেলো হয়ে গেছে তার সংসার । তারপর বহু বছর পেরিয়ে গেলেও সে স্মৃতি বৃদ্ধকে ছেড়ে যায় না । শাহরিয়ার মায়ায় পড়ে যায় বৃদ্ধের । বৃদ্ধের মেয়েকে পছন্দ করে তাকে মাছ ধরায় সাহায্যকারী এক মুসলিম ছেলে । মুসলমানের সাথে মেয়ে বিয়ে দেয়ার ভয়ে সপরিবার আসাম পাড়ি দেয় বৃদ্ধ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেখানে উদ্বাসতু হটানোর নামের আরেক দাঙ্গায় নিহত হয় তারা সবাই । অবশেষে দীর্ ঘ সাত বছর পর শাহরিয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা গিয়ে আত্মসর্মপণ করার। আমার প্রথমদিককার ধারণাকে সমপূর্ণ মিথ্যে প্রমাণিত করে দিয়ে এটা মোটেই কোনো চিরাচরিত ভালোবাসার গল্প নয় । বরং একটি অসাধারণ কাহিনী এগিয়ে গিয়েছে লেখকের সাবলীল এবং সূক্ষাতিসূক্ষ্ম বিষয়ের ব রণণার মধ্য দিয়ে । ব
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন
মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)
ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)
০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।
ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।