ছোট বেলা থেকেই গান শুনতে খুব ভালো লাগে। এখনো ভালো লাগে। রবীন্দ্র সংগীত, দেশাত্ববোধক গান, বাউল গান, এক সময় ব্যান্ড এর গানও বেশ ভালো লাগতো।
বাড়ির একমাত্র রেডিওটা আমার দখলে থাকতো বেশিরভাগ সময়। খুশিতে মন ভরে যেত যখন ঘোষণা আসতো একটু পর অমুক শিল্পীর কণ্ঠে পর পর দুটি রবীন্দ্র সংগীত শুনবেন। মনে হত সব সময় কেন রবীন্দ্র সংগীত হয় না। কলেজ এবং উপজেলা অডিটোরিয়াম বাড়ির কাছেই। যে কোন দিবসে গানের আয়োজন হত সন্ধ্যায় , ছোট হলেও আমি গান শোনার জন্য রয়ে যেতাম অনুষ্ঠানে। শেষে বাড়ি থেকে বড় ভাই গিয়ে ডেকে নিয়ে আসতেন। অনেক সময় পাশের বাড়িতে ক্যাসেট ভাড়া করে এনে রাতভর জারি গান চালাতে, রাত জেগে শুনতাম।
গান শোনার পাশাপাশি শীতকালে বেশ ওয়াজ শুনতাম। সারা রাতের প্রোগ্রাম। ওয়াজে শুনতাম গান বাজনার সাথে জড়িত শিল্পীরা শুকরে পরিণত হবে। শুধু ওয়াজে না বড় জনেরাও একই কথা বলতেন।
এখন গানের শিল্পীরা যদি শুকরে পরিণত হন তাহলে যারা শোনে তাদের তো একই পরিণত হওয়ার কথা। মোটকথা আল্লাহ তার প্রতি নাখোশ। তাদেরকে শুকরে পরিণত করে আল্লাহ তাদের নিশ্চয়ই জান্নাতে নিবেন না। আর জাহান্নাম মানেই আগুনের লীলাখেলা।
জাহান্নামের আগুনের ভয়ে কার না কলিজা কেঁপে না উঠে। এত পরিষ্কার পরিণতির কথা জেনেও গান শোনার প্রতি আগ্রহ কমে না। জাহান্নামের ভয়ে কত কিছুই করা থেকে বিরত থাকলাম কিন্তু গান শোনা থেকে দূরে ঠকতে পারলাম না। এই আগ্রহ না কমার কারনটা আজ ও বের করতে পারি না
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭