বাংলার জনগণের দীর্ঘ দিনের মনের আশা জামাতকে ক্ষমতায় দেখা। দুই দলের শাসন, অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঠিক যেমন দেশ স্বাধীনের আগে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ। যাই হোক পুরানা আলোচনায় না যাই। এগুলান আওয়ামীলীগের বয়ান।
দুই দলের শাসনের সময়কালের চিত্র সবার কাছে মোটামুটি পরিষ্কার।
আওয়ামীলীগের আমলে মোটাদাগে যে সব বিষয়ে পাবলিক নাখোশ ছিল :
১. ভারতের কাছে সস্তায় দেশ বিক্রি করে দেয়া
২. লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি।
৩. গুম, খুন , বিচার বহির্ভূত হত্যা।
৪. কুখ্যাত ৫৭ ধারা
৫. হুজুরদের কাজে বাধা দেয়া, যদিও নাস্তেক ব্লগারেরা শেখ হাসিনাকে নাম দিয়েছিলো কওমী জননী।
৬. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা , বঙ্গবন্ধুর চেতনা সব কিছুকে লীগের সম্পত্তি মনে করা ইত্যাদিসহ আরো অনেক অভিযোগ।
৭. রাজাকারদের ফাঁসি
অপরদিকে আরেকদল বিএনপি তারা বেশি কিছু অপকর্ম করার সুযোগ পায়নি কারণ তারা আওয়ামীলীগের মত একটানা লম্বা সময় ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। যদিও তারা চেষ্টার ত্রুটি করেনি। একবার তো নির্বাচন করে বেগম জিয়া প্রাধানমন্ত্রী হয়েই গেছিলেন কিন্তু আওয়ামীলীগের প্রবল আন্দোলনের মুখে মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। যার ফলে অনেকেই তাঁকে আড়াইবারের প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন। যাক সেসব পুরান কথা। এগুলান অনেকটাই আওয়ামী লীগের বয়ান।
বিএনপির আমলের কিছু সামান্য আলোচিত বিষয় ছিল।
১. টানা ৪ বারের মত দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
২. পাকিস্তানের ISI এর সাথে ভালো সম্পর্ক , দেশে জঙ্গী উৎপাদন।
৩. তারেক রহমানের ১০% কমিশন। (দেশের প্রতিটি গোস্তের দোকান থেকে প্রতিদিন ৫ টাকা করে তারেক ভাইয়ার নামে কমিশন )
৪. আওয়ামীলীগের পরে তারাই বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা দল কিন্তু তাদের দলীয় জোট আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী দল জামাতে ইসলাম
যাই হোক দুই দলেরই বদনামী লিখে শেষ করা যাবে না। সাগরের পানিকে কালী করে পৃথিবীর সব গাছকে কলম বানিয়ে লিখলেও শেষ হবে না।
উপরন্তু জামাতের মাত্র একটু দোষ ৭১ এ তারা দেশ ভাগ চায় নাই। তারা সেটা চাইতেই পারে। পাকিস্তানও ইসলাম তারাও ইসলাম দুই ইসলাম একসাথে থাকতে চাইতেই পারে। মাশাল্লাহ ইসলাম। সেই সামান্য দোষের জন্য দেশের দুষ্ট জনগন তাদের ভোট দিতে চায় না। যার ফলে তারা আজ পর্যন্ত ফুল পাওয়ারে ক্ষমতায় যাইতে পারে নাই , আফসোস।
কিন্তু দেশের বুকা মানুষ দেখে না দেশে তাদের কত অবদান : দেশের নামি দামি পাইভেট ইউনিভার্সিটি , প্রাইভেট হসপিটাল , ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল , অনেক দ্বীনি এনজিও সব প্রায় তাদের অবদান। এতো কিছুর পরও বার বার ৭১ এর কথা মনে করাই দিয়ে তাদের মনে ব্যথা দেওয়া হয়। সব দুষ্ট শাবাগীদের কম।
তবে দিন শেষে আল্লাহ তাদের প্রতি মুখ তুলে চেয়েছেন। আল্লাহ তাদের জন্য ইউনুস নাজিল করেছেন। এখন আর তাদের ক্ষমতায় যেতে কোনো সমস্যা নাই। ইউনুস এসেই রিসেট বাটনরের মাধমে ৭১ ডিলিট করেছেন। হাসিমুখে বিদেশী সাংবাদিকের সাথে ইন্টারভিউ দিয়ে খুশিতে বলেছেন দেশের ইতিহাস আগের সব বাদ , তরুণরা রিসেট বাটনে চাপ দিয়ে সব মুছে দিয়েছেন। এবার হবে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা , এর জন্য তারা ইউনুসকে সিলেক্ট করেছেন আর জামাতের হাত ধরেই হবে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা।
এতোদিন জামাত মুখ বুঁজে আওয়ামীলীগের ইতিহাসের নিচে চাপা পরে ছিল সবাই তাদের গণহত্যাকারী দল বলতে বলতে জামাত নামটাকেই একেবারে কালো করে ফেলেছে। এবার জামাতের হাতে এসেছে নতুন গণহত্যাকারীর নাম। শেখ হাসিনা। য্খনই কেউ জামাতকে গণহত্যাকরী বলবে তখনই তার মুখের উপর হাসিনার নাম ছুড়ে মারা হবে।
আবার জামাতের কোন ছোটখাটো দখল দুর্নীতির কোন স্যাম্পল পাওয়া গেলে সাথে সাথে তারেক রহমানের ইতিহাস তাদের মুখে ছুড়ে মারা হবে। শেখ হাসিনার পাঁচ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি তাদের মুখে ছুড়ে মারা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


