somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাকড়সাঁ
আমি আল্লাহ্'র নিকট আত্মসমর্পণকারী একজন মুসলিম ! আমি আল্লাহ্'কে ভালবাসি, ভালবাসি ইসলাম নামের এই দ্বীনকে, স্বীকার করি সকল নবী- রাসূলকে আর, রাসুলুল্লাহ‏ কে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভালবাসি …আরও ভালবাসি সাহাবা আজমাইন, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন,

আল্লাহর ভালবাসা অর্জনের ১০টি উপায়

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সকল প্রশংসা আল্লাহর আর তিনিই যথেষ্ট। সালাত ও সালাম মুহাম্মদ
(সাঃ)-এর উপর, তাঁর পরিবার বর্গ ও সাহাবীদের উপর আর য তাঁর †হদায়াত
অনুসরণ করে তাঁর উপর। †হ আল্লাহ নিশ্চয়ই আমি আপনার মহব্বত প্রার্থনা
করছি আর এমন জ্ঞান যা আমাদেরকে আপনার ভালবাসা অজর্ েনর †যাগ্য করে
†দয়। আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূল (সাঃ)-এর উপর সালাত ও সালামের পর-
ইমাম বুখারী (রহঃ) ও ইমাম মুসলিম (রহঃ) স্ব স্ব সহীহ গ্রন্থে হযরত
আনাস বিন মালিক (রাঃ) †থকে †রওয়াত করেন। তিনি বলেন, আমি এবং
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যখন মসজিদ †থকে †বর হচ্ছিলাম তখন মসজিদের
দরজার কাছে একব্যক্তি আমাদের সাথে সাক্ষাত করে। তখন †স ব্যক্তিটি বলল,
†হ আল্লাহর রাসূল কিয়ামত হবে কবে? রাসূল (সাঃ) বললেন, এর জন্য তুমি কি
প্রস্তুতি গ্রহণ করেছো? বর্ণনাকারী বলেন (এ প্রশড়ব শুনে) †লাকটি †যন একটু
দুর্বল হয়ে †গল। অতঃপর †স বলল, †হ আল্লাহর রাসূল (সাঃ) †স দিনের জন্য
আমি †বশী নামায, †রাযা ও সাদকার প্রস্তুতি নিতে পারিনি। কিন্তু আমি নিশ্চয়ই
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) †ক ভালবাসি। তিনি বললেন, তাহলে তুমি যাকে
ভালবাস তাঁর সাথে থাকবে। হযরত আনাস (রাঃ) এর বর্ণনায় আছে †য ‘আর
নিশ্চয়ই তুমি যাকে ভালবাস তাঁর সাথে থাকবে’ রাসূল (সাঃ)-এর এ কথাটিতে
আমরা †যরূপ খুশী হয়েছিলাম ইসলাম গ্রহণের পর অন্য কিছুতে এরূপ খুশী
হইনি। সহীহ মুসলিম গ্ের ন্থ হযরত আনাস (রাঃ) †থকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি
বলেন, আমি আল্লাহ, তাঁর রাসূল (সাঃ) ও আবু বকর (রাঃ) †ক ভালবাসি। তাই
আশা †পাষণ করি †য আমি তাঁদের সাথে থাকবো যদিও তাঁর সমতুল্য করি নি।
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) মহব্বত প্রসঙ্গে বলেন, ইহা এমন একটি
মর্যাদা যা লাভের আশায় প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করে থাকে, আর †নক আমল
যারা করতে চায় তারা সদা সচেষ্ট থাকে। পূর্ববর্তীগণ ইহার জ্ঞান অর্জনের জন্য
আপ্রাণ †চষ্টা করে †গছেন; আর †প্রমিকরা ইহার জন্য সবকিছু বিলিয়ে দিয়েছেন।
ইহার সুগন্ধী বাতাসে ইবাদতকারীরা বিচরণ করে থাকে। ইহা অন্তর সমূহের
†খারাক। ইহা আত্মাসমূহের খাবার। ইহা চক্ষুসমূহের শীতলকারী। ইহা এমনই
জীবন †য †কহ ইহা †থকে বঞ্চিত হয় †স মৃতদের অন্তর্ভুক্ত হয়। ইহা এমনই
আলো †য ইহাকে হারিয়ে †ফলে- †স অন্ধকারের সমুদ্রে নিপতিত হয়। ইহা
এমনই আরোগ্য †য ইহা †থকে মাহরুম হয় তার অন্তর সকল প্রকার †রাগ-ব্যাধির
আস্তানা হয়ে যায়। ইহা এমনই স্বাদ †য ইহা লাভ করতে পারে নি তার পুরো
জীবনই বিষাদময় ও ভাবনাময় হয়ে পড়ে। আল্লাহর শপথ মহব্বতের অধিকারীরা
দুনিয়া ও আখেরাতের সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁদের মাহবুবের
সানিড়েব ধ্যর পুরো হিস্সা ও গুণাবলী তাঁদের মাঝে ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছিল।
সুতরাং †য আল্লাহকে ‘মহব্বতকারী’র মর্যাদা †থকে ‘আল্লাহর মাহবুব’
হওয়ার মর্যাদায় উনিতড়ব হতে চায়, তাঁর জন্য আমি সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা সহকারে এমন
দশটি উপায়ে †পশ করছি †য গুলো ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) তাঁর প্রসিদ্ধ
গ্রন্থ “মাদারিজুস সালিকীন”-এ উল্লেখ করেছেন

এক ঃ আল-কুরআনের অর্থ বুঝে, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও প্রতিপাদ্য বিষয়
†জনে গভীর মনোনিবেশ সহকারে †তলাওয়াত করা। †কউ †কান বই মুখস্ত
করতে চাইলে ইহার অর্থের দিকে চিন্তা করে আর বইটিকে এভাবে ব্যাখ্যা
বিশেষø ণ করে যাতে এর রচয়িতার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য অনুধাবন করতে সক্ষম হয়।
হ্যাঁ, †কউ আলাø হর সাথে কথা বলতে চাইলে †স †যন আল্লাহ্র কিতাব
†তলাওয়াত করে। হাসান বিন আলী (রাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই †তামাদের পূর্ববর্তীগণ
আল-কুরআনকে তাঁদের রবের পক্ষ †থকে পত্রাদি †ভবেছিলেন। ফলে তাঁরা
রাতের †বলায় এগুলোকে গভীর মনোনিবেশ সহকারে †তলাওয়াত করতেন আর
দিনের †বলায় এর অন্তর্নিহিত অর্থ তালাশ করতেন। ইবনুল জাওযী (রহঃ)
বলেন, মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের †তলাওয়াতকারীকে †ভবে †দখা উচিত, আল্লাহ
তা’আলা কতই না করুণা প্রদর্শন করেছেন †য তিনি তাঁর কালামকে মানুষের
†বাধগম্য করে দিয়েছেন। আর তার এটাও জানা উচিত †য †স যা †তলাওয়াত
করছে তা †কান মানুষের উক্তি নয়। †স তার অন্তরে কথক আল্লাহ তা’আলার
মহানত্বকে উপস্থিত করে তাঁর কালামকে গভীর মনোনিবেশ সহকারে †তলাওয়াত
করবে।
ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, †তলাওয়াতকারীর সর্ব প্র ম দায়িত্ব হলো †স
তাঁর অন্তরকে এভাবে জাগ্রত করবে †য, †স আল্লাহর সাথে কথোপকথন করছে।
এ কারণেই রাসূল (সাঃ)-এর একজন সাহাবী একটি সূরাকে †তলাওয়াত করে,
সূরাটির অর্থ গভীরভাবে মনোনিবেশ করে এবং সূরাটিকে মহব্বত করে আল্লাহর
মহব্বত অর্জন করতে সক্ষম হন। ঐ সূরাটি হল করুনাময়ের গুণ সম্বলিত ‘সূরা
এখলাস’। †সই সাহাবী নামাযে সূরাটি বারবার পড়তেন। যখন তাঁকে এ সম্পর্কে
জিজ্ঞাস করা হল তখন তিনি বলেন, এ সূরাটি করুণাময়ের গুণ সম্বলিত, তাই
আমি এটা পড়তে ভালবাসি। অতঃপর রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘তোমরা তাকে
খবর দাও নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁকে ভালবাসবেন’ (বুখারী)। আমাদের জানা দরকার
†য, নিশ্চয়ই †তলাওয়াতের উদ্দেশ্য হলো আয়াতের দিকে গভীরভাবে মনোনিবেশ
করার লক্ষ্যে আয়াতটি বারবার পড়ার প্রয়োজন হলে পড়তে হবে। †যমন, রাসূল
(সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ এরূপ করেছেন। হযরত আবু যার (রাঃ) রাসূল (সাঃ)
†থকে বর্ণনা করেন †য তিনি একরাত একটি আয়াতকে বারবার †তলাওয়াত করে
কাটিয়েছেন। (আয়াতটি হলো)
অর্থাৎ, “যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি †দন, তবে তারা আপনার বান্দা এবং
যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন তবে আপনিই পরাμান্ত, মহাবিজ্ঞ।” (সূরা
মায়েদা ৫ঃ ১১৮)
একদা তামীম আদদারীর (রাঃ) একটি আয়াত বারবার †তলাওয়াত করেন।
“যারা দুষ্কর্ম উপার্জন করেছে তারা কি মনে করে †য, আমি তাদেরকে †স
†লাকদের মত করে †দব যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং তাদের জীবন ও
মৃত্যু কি সমান হবে? তারা যা ফয়সালা করে তা কতইনা মন্দ।(সূরা জাসিয়াঃ২১)


দুই ঃ ফরয কাজগুলো আদায়ের সাথে সাথে নফল কার্যাবলীর মাধ্যমে
আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। †কননা নফল কাজগুলো বান্দাহকে আল্লাহর
মহব্বত এর স্তর †থকে আল্লাহর মাহবুব তথা প্রিয়জনের স্তরে †পঁŠছিয়ে †দয়।
রাসূল (সাঃ) মহান রব এর পক্ষ †থকে হাদীসে কুদসীতে বলেন, ‘যে আমার
ওলীর (বন্ধুর) সাথে শত্রুতা †পাষণ করে আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ †ঘাষণা দিয়ে
থাকি। আমার বান্দা তাঁর উপর ফরযকৃত কার্যাবলী ভিন ড়ব অন্য কাজ দিয়ে আমার
ভালবাসা অর্জন করতে পারে না। (অর্থাৎ আল্লাহর মহব্বত হাসিলের প্রধান
উপায়ে হল ফরয কার্যাবলী) আর আমার বান্দা নফল কার্যাবলীর মাধ্যমে আমার
নৈকট্য লাভে সচেষ্ট থাকে †শষ পর্যন্ত আমি তাকে ভালবাসি থাকি। অতঃপর
আমি যখন তাকে ভালবাসি তখন আমি তাঁর কান হয়ে যাই যা দিয়ে †স শুনে,
আমি তাঁর চক্ষু হয়ে যাই যা দিয়ে †স †দখে, আমি তাঁর হাত হয়ে যাই যা দিয়ে
†স কিছু ধরে, আমি তাঁর পা হয়ে যাই যা দিয়ে †স চলে (অর্থাৎ এসব অঙ্গগুলো
আমার আদেশের অনুগত হয়ে কাজ সম্পাদন করে)।
আর †স আমার কাছে সওয়াল করলে আমি অবশ্যই তা দিয়ে †দই। আমার
কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আমি অবশ্যই তাকে আশ্রয় প্রদান করি।’ (বুখারী)
উক্ত হাদীসে সফলকাম মুক্তিপ্রাপ্ত দু’ধরনের †লাকের কথা সবিস্তারে উল্লেখ
করা হয়েছে। এক ধরনের †লাক হলো আল্লাহকে মহব্বতকারী, আল্লাহর ফরয
কার্যাবলী যথাযথ আদায়কারী এবং আল্লাহর সীমানায় অবস্থানকারী মু’মিনের
দল। আর দ্বিতীয় ধরনের †লাক হলো আল্লাহর মাহবুব তথা প্রিয় বান্দাদের দল
যারা ফরয কার্যাবলী যথাযথভাবে আদায় করে নফল কার্যাবলী মাধ্যমে আল্লাহর
নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আর ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম স্বীয় উক্তি,
‘নিশ্চয়ই ইহা অর্থাৎ নফল কাজগুলো বান্দাহকে আল্লাহর মহব্বত এর স্তর হতে
আল্লাহর মাহবুব এর স্তরে †পঁŠছিয়ে †দয়’-এ উক্তি দিয়ে এটিই বুঝিয়েছেন।
ইবনে রজব আল হাম্বালী (রহঃ) বলেন, ‘আল্লাহর প্র ম দলের কথা উল্লেখ
করত, দ্বিতীয় দলের পরিচিতিতে বলেন তারা ফরয কাজ গুলো যথাযথ সমাধা
করে নফল কাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করেন। ফলে তারা অগ্রগামী
নৈকট্যশীল পদমর্যাদার অধিকারী হন। †কননা তারা ফরয কাজগুলো আদায় করে
নফল কার্যাবলীতে প্রানান্তকর প্রচেষ্টার মাধ্যমে আনুগত্য প্রকাশ করে আর
তাকওয়ার ফলশ্রুতিতে অপছন্দনীয় কাজ †থকে নিজদেরকে বিরত †রখে আল্লাহর
নৈকট্য হাসিল করে থাকে। আর এ ধরনের প্রচেষ্টা বান্দার জন্য আল্লাহর
মহব্বতকে অবধারিত করে †দয়। †যমন হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তা’আলা
বলেন, ‘আমার বান্দা সর্বদা নফল কাজগুলো দিয়ে আমার নৈকট্য হাসিলে সচেষ্ট
থাকে। পরিশেষে আমি তাঁকে মহব্বত করি।” ফলে যাকে আল্লাহ্ তা’আলা
ভালবাসেন তাকে তিনি তাঁর ভালবাসার ও তাঁকে আনুগত্য করার ক্ষমতা ও শক্তি
প্রদান করেন। আর আল্লাহর কাছে এ ধরনের বান্দার বিশেষ মর্যাদা লাভ হয়।
নফল কার্যাবলী †য গুলোর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হয় তা অনেক
প্রকার। আর এ গুলো ফরয †যমন নামায, যাকাত, †রাযা, হজ্জ্ব ও উমরা এর
অতিরিক্ত কার্যাবলী।

তিনঃ সর্বাবস্থায় ও সার্বক্ষণিক জিহ্বা, অন্তর, কাজ এবং অবস্থার মাধ্যমে
আল্লাহকে স্মরণ করা। তাই যিকিরের পরিমান অনুযায়ী বান্দাহ আল্লাহর
মহব্বতের অংশীদার হবে।
রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা বলেন, যতক্ষণ বান্দাহ আমার
যিকির করে এবং আমার স্মরণে তাঁর †?াটদ্বয় নড়াচড়া করে ততক্ষণ আমি বান্দার
সাথে থাকি।’ (আলবানীর সহীহ ইবনে মাজাহ) আল্লাহ বলেন, ‘আর †তামরা
আমাকে স্মরণ কর আমি †তামাদের স্মরণ করব।’ আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন,
‘নিশ্চয় “আলমুফরিদুন” তথা অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ কারা? তিনি বললেন আল্লাহর
অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও মহিলাগণ।’ (সহীহ মুসলিম) †য আল্লাহর যিকির করে
না রাসূল (সাঃ) তাঁর ধ্বংসের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, “†কান জনগোষ্?ি †কাথাও
বসে যদি আল্লাহর স্মরণ না করে আর নবীর উপর সালাত †প্ররণ না করে তাহলে
এটা তাদের জন্য কিয়ামত দিবসে আক্ষেপের কারণ হবে। যদিও তারা পুরস্কার
স্বরূপ জানাড়ব তে প্ের বশ করে।” হাদীসটিকে আহমদ শাকির সহীহ বলে আখ্যায়িত
বলেন, ‘যখন †কান স¤প্রদায় †কান মজলিস †থকে এমতাবস্থায় উ?ে †য তারা এ
মজলিসে আল্লাহর যিকির করেনি তখন তারা †যন মৃত গাধার দুর্গন্ধ †থকে উ?ে
থাকে এবং তাদের জন্য আক্ষেপ হবে।’ (আলবানীর সহীহ সুনানে আবী দাউদ।)
তাই এক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ)-এর কাছে এসে যখন বললঃ †হ আল্লাহর রাসূল!
নিশ্চয়ই ইসলামের বিধিবিধানগুলো আমাদের উপর আধিক্যতা লাভ করেছে।
তাই আমাদের এমন এক ব্যাপক বিষয় শিক্ষা দিন যা আমরা আঁকড়ে ধরব।
উত্তরে তিনি বললেন, ‘তোমার জিহ্বা †যন সর্বদা আল্লাহর স্মরণে আপুত
থাকে।’ (আলবানীর সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ)। নিশ্চয়ই সাহাবীগণ উক্ত
অছিয়তটুকু বুঝেছিলেন এবং এর মূল্যবান অর্থ অনুধাবন করতে †পরেছিলেন।
এমন কি হযরত আবুদ দারদা (রাঃ) †ক যখন বলা হল †য, এক ব্যক্তি একশত
জন †লাক আযাদ করতে একজন ব্যক্তির বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে। এর †চয়ে
অধিক উত্তম কাজ হলো দিবারাত্র ঈমানের সাথে †লগে থাকা আর সর্বদা
†তামাদের কারো জিহ্বা আল্লাহর স্মরণে আপুত
থাকে। হাদীসটি ইমাম আহমদ
‘যুহুদ’ অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন। আবুদ দারদা (রাঃ) আরো বলতেন, যাদের
জিহ্বা সর্বদা আল্লাহর যিকিরে আপুত থাকে তারা জানাড়ব তে হাসতে হাসতে প্রবেশ
করবে।

চার ঃ কুপ্রবৃত্তির অত্যাধিক তাড়নার সময় নিজের প্রবৃত্তির উপর
আল্লাহর মহব্বতকে অগ্রাধিকার †দয়া। যদিও আল্লাহ্র মহব্বত লাভ কষ্ট সাধ্য
ব্যাপার তা সত্ত্বেও তাঁর সহব্বত লাভে উদ্যোগী হওয়া। ইবনুল কাইয়্যিম উক্ত
বাক্যের ব্যাখ্যায় বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টিকে আল্লাহ ভিন ড়ব অন্যের সন্তুষ্টির উপর
অগ্রাধিকার †দয়া যদিও এ পথে চলতে বিপদাপদের সম্মুখীন হতে হয় অথবা
ভারী কষ্ট স্বীকার করতে হয় অথবা শক্তি সামর্থের অপ্রতুলতা পরিলক্ষিত হয়।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টিকে আল্লাহ ভিন ড়ব অন্যের উপর অগ্রাধিকার
†দয়া মানে বান্দাহ এমন ইচ্ছা করবে, এমন কাজ করবে যার মধ্যে আল্লাহর
সন্তুষ্টি আনয়ন করে। আর এটাই হলো আল্লাহর সন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকারের নমুনা
আর এ অগ্রাধিকারের সর্বোচ্চ স্তরে ছিলেন আল্লাহর রাসূলগণ আর বিশেষভাবে
আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর সন্তুষ্টিকে সবকিছুর উপর
অগ্রাধিকার †দয়ার ক্ষমতা শুধুমাত্র তিনটি উপায় লাভ হতে পারে (১) কু-প্রবৃত্তির
তাড়নাকে দমিয়ে রাখা; (২) কু-প্রবৃত্তির বিরোধিতা করা; (৩) শয়তান ও তার
†দাসরদের সাথে সংগ্রাম করা।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ (রহঃ) বলেন, মুসলমানের উচিত †স
আল্লাহকে ভয় করবে আর কুপ্রবৃত্তি †থকে নফসকে নিষেধ করবে। শুধুমাত্র প্রবৃত্তি
ও লালসার জন্য শাস্তি †দয়া হয় না বরং প্রবৃত্তির অনুসরণ এবং এর চাহিদার
বাস্তবায়নের †ক্ষত্রেই শাস্তি বর্তায়। তাই †কান নফস, যখন †কান খারাপ ইচ্ছা
করে আর ব্যক্তিটি নিজের নফসকে খারাপ †থকে নিষেধ করে তখন এ নিষেধটি
আল্লাহর ইবাদত ও সওয়াবের কাজে পরিনত হয়। (মাউমুউল ফাতাওয়া
৬৩৫/১০)

পাচ ঃ আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলীকে অন্তকরণ দিয়ে অনুধাবন করা,
এগুলোকে ভালভাবে অবলোকন করা এবং উত্তম ভাবে জানা। আর এ জ্ঞানের
বাগানসমূহে অন্তর দিয়ে বিচরণ করা। তাই †য আল্লাহ তা’আলাকে তাঁর
নামাবলী, গুণাবলী ও কার্যাবলী সহ জানতে পারে †স অবশ্যই আল্লাহ্
তা’আলাকে ভালবাসবে। ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ) বলেন, কাউকে জ্ঞানী বলে
আখ্যায়িত করা যাবে না যতক্ষণ না †স আল্লাহকে জানবে আর এ পথের সন্ধান
পাবে †য পথ তাকে আল্লাহ্ পর্যন্ত †পঁŠছিয়ে †দয়। আরও †স জানবে এ পথে
চলার বিপদাপদ ও বাধা সমূহ। ফলে তার মধ্যে আল্লাহর পক্ষ †থকে এমন
অবস্থার সৃষ্টি হবে যা তার এ জ্ঞানের সাক্ষ্য বহন করবে। তাই আসল জ্ঞানী †সই
†য আল্লাহ তা’আলাকে তাঁর নামাবলী, গুণাবলী ও কার্যাবলী সহ জানে অতঃপর
তার কাজকর্মে আল্লাহকে সত্য প্রমাণিত করে তার নিয়ত ও ইচ্ছাকে একমাত্র
আল্লাহর জন্য একনিষ্ট করে।
যে আল্লাহর গুণাবলী অস্বীকার করল †স নিশ্চিতভাবে ইসলাম ও ঈমানের
ভিত্তিমূল †ভঙে দিল এবং ইহ্সানের বৃক্ষটি ধ্বংস করে দিল। এ ধরনের †লাক
জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী †তা হতেই পারে না। আর †য আল্লাহ্ তা’আলার
গুণাবলীর অপব্যাখ্যা করল †স †য রাসূল (সাঃ)-এর পূর্ণাঙ্গ †রসালাতের উপর
অপূর্ণঙ্গ ও μটির অপবাদ আরোপ করল। †কন না এটা অসম্ভব †য রাসূল (সাঃ)
ঈমানের অধ্যায়সমূহের মধ্যে অত্যাধিক গুরুত্ব পূর্ণ অধ্যায় †ছড়ে †দবেন অথচ
এটার ব্যাখ্যা বিশেষø ণের প্রয়োজন অন্যটির †চয়ে অত্যাধিক। রাসূল (সাঃ) †থকে
হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম রয়েছে
†য †কউ ঐ নামগুলো মুখস্থ করল †স জানাড়ব তে প্ের বশ করল।”

ছয়ঃ আলাø হর অবদান অনুদানের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য †দয়া তাঁর অগণিত
বাহ্যিক ও গুপ্ত †নয়ামত ও করুণাকে অবলোকন করা। আর এ ধরনের গভীর
মনোনিবেশ বান্দাহকে আল্লাহকে মহব্বতের দিকে সাড়া প্রদান করে।
বান্দা অনুদানের বন্দী। তাই †নয়ামত, করুণা ও অনুদান এমন মহৎগুণ যা
মানুষের আবেগকে বন্দী করে †ফলে, মানুষের অনুভূতির উপর প্রভুত্ব বিস্তার করে
এবং বান্দাহকে ঐ সত্ত্বার ভালবাসার দিকে ধাবিত করে যিনি তার প্রতি করুণা
করেছেন এবং তাকে কল্যানের পথ প্রদর্শন করেছেন। প্রকৃত পক্ষে পুরস্কার
দানকারী এবং কল্যাণ ও ইহ্সান প্রদানকারী এক আলাø হ ছাড়া আর †কহ নন।
প্রকাশ্য বুদ্ধিমত্ত্বা আর সহীহ †রওয়ায়াতেই এর যথার্থ সাক্ষ্যবহন করে। তাই
চক্ষুষ্মানদের কাছে বাস্তব †ক্ষত্রে মাহবুব আল্লাহ ছাড়া অন্য †কহ নন। সকল
প্রকার মহব্বতের হকদার তিনি ভিনড়ব অন্য †কহ নন।
মানুষ প্রকৃতিগত ভাবে তাকে ভালবাসে †য তাঁর প্রতি ইহ্সান করে। তার
সাহায্যে এগিয়ে আসে, তার শত্রুদের প্রতিহত করে এবং তাঁর সকল উদ্দেশ্য
লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে। মানুষ যখন গভীর ভাবে চিন্তা করবে তখন †স
জানতে পারবে †য তাঁর প্রতি ইহ্সানকারী হচ্ছেন এককভাবে আল্লাহ তা’আলা।
গুনে গুনে তাঁর ইহ্সান ও দয়াগুলোর সংখ্যা নির্ধারণ করা যাবে না।
আল্লাহ বলেনঃ “যদি †তামরা আল্লাহর †নয়ামত গণনাকর তবে গুনে †শষ
করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ অত্যন্ত অন্যায়কারী ও অকৃতজ্ঞ।” (সূরা ইব্রাহীম
১৪ঃ ৩৪)

সাতঃ এটি অন্য সব উপায় সমূহের মধ্যে অত্যাধিক গুরুত্বের দাবী
রাখে। অন্তরকে পুরোপুরিভাবে আল্লাহর সামনে তুচ্ছ করে †দয়া।
তুচ্ছ করা মানে নিজকে †ছাট করে †দয়া, †হয় করে †দয়া ও অবনত করা।
আল্লাহ বলেনঃ “দয়াময় আল্লাহর ভয়ে সবশব্দ ক্ষীণ হয়ে যাবে। সুতরাং মৃদুগুঞ্জন
ব্যতীত তুমি কিছুই শুনবে না।” (সূরা ত্বাহা ২০ঃ ১০৮)
আর রাগীব ইস্পাহানী (রহঃ) বলেন, আয়াতে উল্লোখিত ‘আল খুশু’ মানে
ক্ষীণ হয়ে যাওয়া। অধিকাংশ স্তরে ‘খুশু’ শব্দটি অঙ্গপ্রতঙ্গের †ক্ষত্রে এবং
‘দ্বরাআহ’ শব্দটি অন্তকরণের †ক্ষত্রে ব্যবহৃত হয়। তাই বলা হয়, যখন অন্তর
তুচ্ছ হয়ে যায় তখন স্বভাবতই অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো ক্ষীণ হয়ে যায়। ইবনুল
কাইয়্যিম বলেন, আসলে ‘খুশু’ হচ্ছে সম্মান, মহব্বত, তুচ্ছ ও ক্ষীণ সম্বলিত
ভাবধারার সমষ্টি।
আমাদের পূর্ববর্তীদের জীবন চরিত্রে আল্লাহর সামনে খুশুর আশ্চর্য্য অবস্থা
পরিলক্ষিত হয়। যা তাদের স্বচ্ছ ও পূতঃ অন্তরের সাক্ষ্য বহন করে। হযরত
আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রাঃ) যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাঁকে খুশুর কারণে
নির্জিব কা? মনে করা হত। তিনি যখন †সজদা দিতেন তখন চড়–ই পাখি তাঁর
পি?ের উপর †দয়ালের কা? খন্ড মনে করে বসে †যত। হযরত আলী বিন হুসাইন
(রাঃ) যখন অযু করতেন তখন তাঁর রঙ হলুদ বর্ণের হয়ে †যত। তাঁকে যখন বলা
হল কি কারণে আপনাকে অযুর সময় এরূপ হতে †দখা যায়? তিনি বলেন,
†তামরা কি জান আমি কার সামনে দাঁড়াইতে ইচ্ছা করছি।

আট ঃ আল্লাহ তা’আলা যখন (দুনিয়ার আকাশে) আগমন করেন
তখন তার সাথে †মানাযাত ও তাঁর কালাম †তলাওয়াত করার নিমিত্তে তার সাথে
একাকিত্ব গ্রহণ করা। অন্তর দিয়ে আল্লাহকে বুঝা এবং তার সামনে বান্দাহ সুলভ
আদব নিয়ে আচরণ করা অতঃপর তওবা ইস্তেগফারের মাধ্যমে এর ইতিটানা।
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “তাদের পার্শ্ব-শয্যা †থকে আলাদা থাকে। তাদেরকে
পালনকর্তা †য রিযিক দিয়েছ তা †থকে তারা ব্যয় করে।” (সূরা সিজদাহ ঃ ১৬)
নিশ্চয়ই রাতে ইবাদতকারীরা নিঃসন্দেহে আল্লাহর মহব্বতের অধিকারী বরং
তারা মহব্বতের অধিকারীদের মধ্যে †সরা। †কননা রাতের †বলায় আল্লাহর
সামনে তাদের দাঁড়ানোর মাধ্যমে উপরোল্লিখিত মহব্বতের প্রধান কারণসমূহ
তাদের মাঝে সমবেত হয়ে থাকে। এজন্য এটা †কান আশ্চর্য্যরে বিষয় নয় †য
আকাশের আমীন জিব্রাইল (আঃ) যমীনের আমীন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর
কাছে নাযিল হয়ে বলেন, †জনে †রখো মুমিনের মর্যাদা তার রাতে দাড়িয়ে
ইবাদত করার মাঝে আর তার ইজ্জত ও সম্মান হচ্ছে মানুষ †থকে নিজকে
মূখাপেক্ষীহীন রাখার মধ্যে। (সিলসিলাতুছ সহীহা)
হাসান বাসরী (রহঃ) বলতেন, ‘গভীর রাতে নামায পড়ার †চয়ে অধিক
কষ্টকর †কান ইবাদত আমি পাই নি। অতঃপর তাকে বলা হল মুজতাহিদগণ
মানুষের মধ্যে সুন্দর †চহারার অধিকারী হওয়ার কারণ কি? তিনি বললেন,
‘কেননা তারা পরম করুণাময়ের সাথে একাকী মিলিত হয়। তাই তিনি তাদেরকে
তার নূরের †লবাস পরিয়ে †দন।’

নয় ঃ সত্যিকারভাবে যারা আল্লাহ্ †ক ভালবাসে তাদের
সাহচর্যতা অবলম্বন করা, তাদের ফল সংগ্রহ করা হয়। আর যখন †তামার কথা
বলার উপকারিতা প্রাধান্য পাবে, আর তুমি জানতে পারবে †য এ বলার মধ্যে
†তামার অবস্থার উনড়িব ত হাসিল হবে এবং অন্যকে ফায়দা †পঁŠছাতে পারবে।
রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ ইরশাদ করেন আমার উদ্দেশ্যে পরস্পর
মহব্বতকারীদের জন্য আমার মহব্বত অবধারিত হয়ে যায়। আমার উদ্দেশ্যে
পরস্পর বৈ?ককারীদের জন্য, আমার মহব্বত অবধারিত হয়ে যায়। আমার
উদ্দেশ্যে পরস্পর সাক্ষাৎকারীদের জন্য ও আমার মহব্বত অবধারিত হয়ে যায়।’
শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (মিশকাতুল মাছাবীহ) রাসূল (সাঃ)
বলেন, ‘ঈমানের সবচেয়ে মযবুত রশ্মি হলো তুমি ভালবাসবে আল্লাহর জন্য আর
তুমি শত্রুতা পোষণ করেন আল্লাহর জন্য।’ (সিলসিলাতুছ সহীহা ৭২৮) তাই
কোন মুসলমানের আল্লাহর উদ্দেশ্যে তার ভাইকে মহব্বত করাই হচ্ছে তার
স?িক ঈমান ও উনতড়ব চরিত্রের ফল। ইহা একটি মযবুত বন্ধন। এর মাধ্যমে
আল্লাহ তার বান্দার অন্তরকে ‡হফাযত করেন এবং তার ঈমানকে এমনভাবে
মযবুত করেন। এর মাধ্যমে আল্লাহ তার বান্দার অন্তরকে †হফাযত করেন এবং
তার ঈমানকে এমনভাবে মযবুত করেন, যাতে †স আর হারিয়ে না যায় অথবা
দুর্বল না হয়ে পড়ে।

দশ ঃ ঐ সকল কারণ †থকে দূরে থাকা †য গুলো আল্লাহ ও
তাঁর বান্দার অন্তরের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে †দয়। তাই অন্তর যখন নষ্ট
হয়ে যায় তখন ব্যক্তিটি তার দুনিয়ার কার্যাবলী †ত যা ভাল করে তাতে †কান
ফায়দা পায় না, আর পরকালে †তা †কান কল্যাণ অথবা †কান অর্জনের ভাগী হয়
না। আল্লাহ বলেনঃ ‘সে দিন সম্পদ ও সন্তানাদি †কান ফায়দা †দবে না।’ (সূরা
শুয়ারা ২৬ঃ ৮৮)

সংগৃহিত
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×