গরীব দেশ বলেই হয়তো ল্যাটিন আমেরিকা আর আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য মনের টানটা বেশি। তাই চাইছি আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিলই জিতুক শিরোপা। ব্রাজিল এখনও নামেনি, কিন্তু আর্জেন্টিনার খেলা মন ভরায়নি।
অসম্ভব শক্তিশালি আক্রমণভাগ আর্জেন্টিনার। মেসি দূর্দান্ত ফর্মে আছেন সেটাও ভালোই বোঝা যাচ্ছিল। বার্সেলোনার পারফর্মেন্সের পূনরাবৃত্তি খুবই সম্ভব ছিল যদি তেমন সাপোর্টিং খেলোয়ার থাকত। প্রথম কয়েক মিনিট প্রায় অন্য গ্রহের ফুটবল খেলা আর্জেন্টিনা খুব তাড়াতাড়িই সেই মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলেছিল।
বড় সমস্যা ছিল আর্জেন্টিনার মিডফিল্ড প্রায় খুজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। বুড়ো ভেরন কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না, কিন্তু আর্জেন্টিনা দলে তার সাবস্টিউট কেউ ছিলেন না। আর্জেন্টিনা যদি ছিটকে যায় তার সবচেয়ে বড় কারন হবে রিকুয়েলমের অনুপস্হিতি। আমি কেবলই ভাবছিলাম এই অসাধারন ফরোয়ার্ডদের বল যোগান দেয়ার জন্য যদি রিকুয়েলমে থাকতেন এই দলকে আটকানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যেত। কিন্তু এখন আমার আশঙ্কা কোন ভালো দল (নাইজেরিয়া ভালো কিন্তু খুব একটা গোছানো না) খুব সহজেই মধ্যমাঠের দখল নিয়ে ফরোয়ার্ডদের শুকিয়ে দিতে পারবে। আর্জেন্টিনার ডিফেন্স নিয়ে তো বলার কিছুই নাই। ম্যারাডোনা সম্ভবত ভাবছিলেন ফুটবলে জেতা হয় গোল করেই, দুয়েকটা গোল খেলে কিছু হবে না। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার খেলা দেখে বিশ্বকাপ জেতার মত দল মনে হয়নি।
তবে আর্জেন্টিনা যতখন বিশ্বকাপে থাকে সেটাই দর্শকদের সৌভাগ্য। মেসির গোল না পেলেও তার ক্লাস ঠিকই বোঝা যাচ্ছিল এবং তার খেলা দেখা সত্যিই আনন্দের। গুড লাক, আর্জেন্টিনা।
পুনশ্চ: এখন পর্যন্ত আমার দেখা সেরা খেলা খেলেছে দক্ষিন কোরিয়া। সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ পারফর্ম করেছে তারা। খেলা গোছানো ছিল, কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডের বেশী যাবে আশা করছি না। ইংল্যান্ড সম্ভবত এবারও হতাশ হবে। আলজেরিয়া আর স্লোভেনিয়া থাকায় হয়তো দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে সমস্যা হবে না, কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালের বেশি যাওয়ার আশা নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




