আমি অনেক সময় অনেক কথা বলি,
কেউ বুঝে, কেউ হয়ত বুঝে না।
আমি কিন্তু বার বার বলতেছি,
করোনা নামক তামাশা বন্ধ করতে হলে আপনাদের মাঠে নামতে হবে।
ইউরোপ-আমেরিকার প্রত্যেক দেশের জনগণ করোনার নাম দিয়ে লকডাউন-বিধিনিষেদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে, প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাহলে বাংলাদেশের জনগণ কেন এখনও হাত গুটিয়ে বসে আছে ?
বাংলাদেশের জনগণ যদি এর প্রতিবাদ না জানায়,
তবে করোনা ভাইরাস নয় করোনার ভুতই জনগণের গলা টিপে মারবে।
ছবিতে দেখুন, আজকে বাস নিয়ে অরাজকতা।
হাজার হাজার লোক বাস না পেয়ে দাড়িয়ে আছে।
কারণ- করোনার কারণে ৫০% সিট লোক উঠতে পারবে ।
আবার ভাড়া বাড়বে ৬০% !
২০ টাকার ভাড়া ৩২ টাকা হইছে, ৪৫ টাকার ভাড়া ৭০ টাকা হইছে।
কি আজব তামাসা !!
বাসের সিট অনুসারে লোক উঠালেই তো বহু লোক সিট পাওয়ার কথা না।
সেখানে অর্ধেক সিট ভরলে যাত্রীদের কি হবে একবার ভেবে দেখেছেন ?
তাও আবার ডবল ভাড়া !
বাস তো গরীব-মধ্যবিত্তের বাহন। গরীবদের আর কত বাশ দিবেন ?
মিথ্যা বলে এর আগে লকডাউন দিয়ে গরীব-মধ্যবিত্তদের অনেক কষ্ট দেয়া হয়েছে।
কিন্তু সমস্যা হলো, ভূক্তভোগীরা কিন্তু করোনাওয়ালাদের ধরেনি।
তারা যে নিয়ম-বিধি চালু করেছে, তার প্রত্যেকটির কার্যকরীতার জবাব চায়নি ।
বিধি-নিষেধ যারা দিলো, তাদের কাছে ক্ষতিপূরণ চায়নি।
করোনার গুজব প্রচারকারীদের ফাঁসি চায়নি।
এ কারণেই কিন্তু করোনার ভুত বার বার ফেরত আসছে।
প্রশ্নগুলো তাদের করা উচিত-
১) ভীড়ের কারণে যদি করোনা ছড়ায়, তবে গত ৯ মাসে কেন করোনা দ্রুত ছড়ালো না ? এখন কেন দ্রুত ছড়াচ্ছে?
২) যারা ঘরে এসির মধ্যে একা-একা থাকে তাদের কেন করোনা হয় ? তারা কেন করোনায় বেশি মরে??
৩) বস্তিগুলো বা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যারা গাদাগাগি করে থাকে, তারা কেন সবাই মারা যায় না ?
৪) দেশে দৈনিক ২৫০০ লোকের স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। করোনায় যে ৪৫ জন মারা যাচ্ছে তারা কি ঐ ২৫০০ ভেতরে না বাহিরে ?
৫) করোনায় যে ৪৫ জন মারা যাচ্ছে, তারা কি করোনায় মারা যাচ্ছে নাকি বার্ধক্যজনিত কারণে, হার্ট-কিডনী-লিভার-নিউমোনিয়া জনিত কারণে মারা যাচ্ছে ?
৬) “আর ১৫ দিন অপেক্ষা করুন, রাস্তায় লাশের স্তুপ দেখবেন।” এই ১৫ দিন কবে আসবে ? আর কতদিন অপেক্ষা করবো ? লাশের স্তুপ কবে পাবো আমরা ?
৭) লকডাউনের আগে বলা হইছিলো- “আমরা টীকার জন্য অপেক্ষা করতেছি।” টীকা তো আসলো, তাহলে আমরা এখন কিসের জন্য অপেক্ষা করতেছি ?
৮) মোদি থাকতে কেন করোনার বিধি-নিষেধ আসলো না ? কেন মোদি চলে যাওয়ার পর আসলো ?? করোনা কি মোদির জন্য অপেক্ষা করতেছিলো ?
৯) “হাসপাতালগুলোর আইসিইউ খালি নাই”- সরকারী হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ কেন, কোন কালে বেড খালি ছিলো ? ওয়ার্ডের ফ্লোর খালি ছিলো ? ওয়ার্ডের বাইরে বারান্দা-সিড়ি খালি ছিলো ? জবাব দিবেন?
১০) পাবলিকের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-বোনাস হয়। পাবলিককে করোনার নাম দিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত করার আগে পারলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ঈদের বোনাসটা শুধু কেটে নেন। দেখেন তারা রাজী হয় কি না ? যদি তারা রাজী থাকে, তখন পাবলিকের উপর না হয় নিয়ম-নীতি চাপাইয়েন।
.
নয়ন চ্যাটার্জি ৬
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:০৭