somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উষ্ণ বিকেলে দিকভ্রান্ত ঘুরে বেড়ানো আর মুঠো ভরা আনন্দ.

২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেলে আসা দিন সবসময় মধুর হয়। আজ যে দিনটা সাদাসিধা মনে হচ্ছে কদিন পর হয়তো সেই দিনটাকে পেছন ফিরে দেখলে মনে হবে, বাহ সুন্দর ছিল তো সেদিনটা! এত মজা হয়েছিল! সেই পেছন যদি অনেক দিনের দূরের হয় তাহলে তো সেটা থাকে নস্টালজিকতায় মোড়ানো, স্মৃতিজড়ানো। শৈশব কৈশোরের স্মৃতিজড়ানো জায়গাগুলোতে গেলে সেরকমই একটা ঘোর লাগা নস্টালজিকতা পেয়ে বসে আমাকে। ঐ দিককার পথঘাট, গাছপালার কথা শুনলেও মন নেচে ওঠে।

সেইরকম যখন মশিউরের সাথে ধানমন্ডি, জিগাতলা এইসব এলাকা নিয়ে কথা হয় দুজনেই ফিরে যাই যার যার স্মৃতিকাতর স্থানে। যদিও দুজনের পছন্দের জায়গাগুলো আলাদা, অনুভূতিগুলো আলাদা। সে হয়তো আবেগ কাতর হয়ে ফিরিস্থি দেয় ধানমন্ডিতে, সাতমসজিদ রোডে কোন কোন রেস্ট্যুরেন্টগুলো ডেটিং প্লেস হিসেবে দূর্দান্ত ছিল, আমার দৌড় ক্লাশ পালিয়ে সিটি কলেজ থেকে হেঁটে হেঁটে নিউমার্কেট যাবার উত্তেজনা অবধি। তার স্মৃতিতে ধানমন্ডি লেকের পাশের বকুল গাছটা আর আমার মনে পড়ে বিডিআর ক্যাম্পাসে ৫ নং গেইটের কাছের পুকুর ধার জুড়ে বকুলের সারি, স্কুলের জানালা থেকে দৃশ্যমান দেবদারু গাছ, সিনেমা হলে যেয়ে সিনেমা দেখা। দু'জনে হয়তো কারো কথা কেউ মন দিয়ে শুনিনা তবে দু'জনেই আপন মনে বলে যাই ফেলে আসা সেই দিনগুলোর কথা, সেই পথ, সেই শহরের কথা।

ঢাকা শহর নিয়ে আমার প্রবল উচ্ছাস আমি সবসময় প্রকাশ করে এসেছি, এই শহরটার সাথে আমার নাড়ীর বন্ধন। তার মধ্যে জিগাতলা, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, চাদনীচক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চাঙ্খারপুল এসব এলাকার সাথে কেমন একটা আলাদা আদর মাখা অতীত জড়ানো। অনেক বদলে গেছে এই পথ ঘাট, বিচ্ছিরি ঘিঞ্জি হয়ে গেছে, তবু যখন দু'নম্বর রোড দিয়ে যাই, মনে পড়ে যায় শীতের সকালে দুয়াশা ঘেরা লেকের পাশ দিয়ে কলেজ যাবার স্মৃতি।

অনেক দিন পরপর যাওয়া হয় ওদিকটাতে। গেলে বাড়ীর সবার সাথে গল্প কোনমতে সেরে ছুট দেই ঘুরে বেড়ানোর জন্য। কখনো একা কখনো কেউ সাথে থাকে। জিগাতলা যাওয়া হয় অনেক কম আজকাল। এবার একদম হঠাতই এজতেমার কারনে তিনদিন ছুটি পড়লো, এর আগের সপ্তাহেও তিনদিন ছুটি ছিল, জাফনাকে পটালাম চল নানুর বাসায় ঘুরে আসি, পিচ্চি ঘুম থেকে উঠে বিরাট চিন্তায় পড়লো, যাবে কি যাবে না। অনেকক্ষন পর বলছে আম্মু আমি খুব কনফিউজড নানু বাসায় যাব কি যাব না। ছুটির দিন মানেই আমার গড়াগড়ি করবার দিন। আমি খুশীই হলাম জাফনা কনফিউজড হওয়াতে। খুশী মনে অনেক আরাম করে, এরপর অনেকদিন পর রান্নাঘরে সময় কাটালাম।

এ সপ্তাহে শরীরটা ভাল লাগছিল না, গলাটা খচখচ করছে, সেটার সাথে দলেবলে হালকা জ্বরজ্বরও লাগছে। তাই এবার কোথাও না যেয়ে বাসায় অনেক রেস্ট নেব ভাবছিলাম। তবু ঐ যে ছুটি দুদিনের বেশী হলে মাথায় পোকা ঢোকে একটু জিগাতলা যাই, কতদিন আব্বাকে দেখিনা! সকালে ঘুমভাঙ্গা চোখে জাফনাকে বললাম যাবে নানু বাসায়? সে বলল যাবে। তাকে আর কনফিউজড হবার চান্স না দিয়ে বললাম তাহলে শিগগীর ওঠো, নাস্তা কর, কাপড় গোছাও, শাওয়ার নাও...লেটস গো। সেও তুমুল উদ্দমে ছুটাছুটি শুরু করলো। সব কিছু সেরে তৈরী হতে হতে বেলা প্রায় বারোটা, আরেক প্রস্থ চা খেয়ে নিলাম। শুক্রবার বলে রাস্তায় জ্যাম কম, তাড়াতাড়িই পৌঁছে গেলাম। আব্বার সাথে কতক্ষন গল্প করে ওপরে উঠতে শুরু করলাম, বাকিদের সাথে দেখা করার জন্য। জাফনা ও বাড়ীতে গেলে তার খেলা সঙ্গীদের নিয়ে তুমুল ব্যস্ত থাকে। তাই সে আমার থেকে আলাদা হয়ে গেল। যখন ক্ষিধে পেল তখন আমাকে ডাকতে এল। আমি আম্মুর সাথে কুটুর কুটুর গল্পে মশগুল।

বিকেল হতেই বাইরে যেতে ইচ্ছে করছিল, মনে হল পারভীন আপাকে ফোন করি। ফোন করা মাত্র আপা তো হৈচৈ করে বলে “চলে আসো, ধানমন্ডি লেকের পাশ দিয়ে হাঁটবো আর চটপটি খাব।” আপু আবার পাঁচ মিনিটে রেডি হতে পারেন :)। তাই আমি লেপের উষ্ণতা ছেড়ে বাইরে পা রাখলাম। পারুপার বাসায় যাব, যেতে যেতে সেই পুরোনো পথ দেখতে দেখতে পারুপাকে ফোন করার কথা ভুলেই গেলাম। কাছাকাছি আসতে মনে পড়লো, ফোন করলাম আপু বাসায় যেতে বললেন। এরপর আমরা দুজন বেরুলাম। এরমাঝে অদিতেকেও ফোন দিলাম, না বলে ঘুরলে তো আবার কান্দতে বসবে ;)। দেখি না ম্যডাম দোস্ত বন্ধু নিয়ে বসুন্ধরায় মিশন ইম্পসিবল দেখে আবার নাকি ছবি দেখা শেষ করে খাবেও :P। আমরা ঘুরবো শুনে ঠিকই ঘ্যান ঘ্যান শুরু করলো :|

আপুর প্রিয় নস্টালজিক স্থান হল ঢাকা ভার্সিটি এলাকা, হবে নাইবা কেন সেখানে উনি তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অন্যতম মধুর দিনগুলো কাটিয়েছেন। আমরা নীলক্ষেত পর্যন্ত গাড়ীতে গেলাম এরপর রিকশা নেব। রিকশাওলারা উল্টাপাল্টা দাম চাওয়া শুরু করলো, দাম শুনে মেজাজ খারাপ, আমি তো আর উঠি না, শুধু সামনে চলছি। একটু এগুতেই একটা রিকশা কম দাম চাইল। উঠতে উঠতে আমি বললাম, পারুপা দুই মটকু কে দেখে ভেবেছে যা দাম বলুক না কেন উঠে পরবো :P, বোঝে নাই তো এই মটকুদের কঠিন স্ট্যামিনা আছে।

আমরা টিএসসি পর্যন্ত রিকশা করে গেলাম। টিএসসির ডাস এর পেছনে আলোচনা সভা চলছে। কবিতা আবৃত্তি হবে মনে হল। আমাদের সেরকম নির্দিষ্ট কোন গন্তব্য নেই। ইচ্ছে মতন ঘুরে বেড়ানো ই প্ল্যান। প্রথমেই আমি বললাম ভুট্টা ভাজা খেতে হবে। ভুট্টা ভাজা খেতে চাইলেই খাওয়া যায় না, ভুট্টা ভাজবে তারপর খেতে হবে। কয়লার আগুনে সেই ভুট্টা ভাজার আবার রয়েছে কিউ। তবে ভাগ্য ভাল মাত্র একজনের পরে আমাদের সিরিয়াল। এক সময অপেক্ষার শেষ হল, দুজন দুটো ভুট্টা নিয়ে কুড়মুড় করে খেতে খেতে শুরু হল এদিক ওদিক হাঁটা।




হাঁটছি আর গল্প করছি। চারপাশের উচ্ছল মানুষজন দেখতে ভাল লাগছিল। একটি মেয়ে চমতকার একটা শাড়ী পড়ে অপেক্ষা করছে। কি মিষ্টি লাগছে। আরেকজন তো অপেক্ষা করতে যেয়ে অপরজনকে দিচ্ছে মুঠোফোনে কঠিন ঝাড়ি :D। নিজেদের ইউনিভার্সিটি জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। এটা এমন একটা বয়স নিজেকে যে কোন পোশাকেই মানিয়ে যায়। এই বয়সী ছেলে মেয়েদের সব কিছু এখনো ভাল লাগে আমার। অনেকে নতুন প্রজন্মের যে কোন আচরণ দেখে ভাবেন এরা উচ্ছন্নে গেল। আমার কাছে ভাল লাগে, মনে হয় তারুন্য মানেই উচ্ছাস। এদের সব উচ্ছলতা আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে উপভোগ করি।

হাঁটার সময় যে বিষয়টা যন্ত্রনা দিল তা হল ডাস্টবিন পর্যাপ্ত না হওয়াতে এলোমেলো নোংরা স্তুপ করে রাখা, আর সারা ফুটপাত জুড়ে পয়কার্য সম্পাদন করে রাখা। হাঁটতে হাঁটতে এক সময় আমি বলেই ফেললাম এখানে একটা পাবলিক টয়লেট কেন বানায় না! X((X((X((X((

বাংলা একাডেমিতে বইমেলার জন্য স্টল বানানোর প্রস্তুতি দেখলাম। ফ্রেব্রুয়ারী জুড়ে আমার রাজ্যের কাজ সেই কথা মনে পড়াতে আবার মন খারাপ হল। কবে যে বইমেলাতে আসার সুযোগ পাব! দিশা বইমেলা চলার সময় এলে কত মজা হত বারবার ভাবছিলাম আর বলছিলাম দুজনেই সে কথা।

টিএসসির কাছে এসে পারুপার ইচ্ছে ভেতরে ঢুকবে। এই টিএসসি পারু আপার জন্য কঠিন পছন্দের। ভাইয়া উনাকে এখানে প্রথম প্রপোজ করেছিলেন:P (মাইর খাবার তুমুল সম্ভাবনা থাকা সত্বেও বলে দিলাম) । শুনে আমি তো তিরিং বিরিং, উরে কি রোমান্টিক তারা! ঢুকতে দেখি ওখানে ইতিহাস বিভাগের এলামনাইদের অনুষ্ঠান চলছে। আমরা প্রাক্তন ইতিহাসবিদ হয়ে টিএসসি ঘুরে বেড়ালাম। অডিটোরিয়ামে গান হচ্ছে মনে হল। আমরা গট গট করে ঢুকে পড়লাম। ইতিহাসের একজন পাতিহাস (আমি) আরেকজন রাজহাস (পারুপা) ঢুকে দেখে ওরে সর্বনাশ তপন চৌধুরী গলা শোনা যায়, “এই রূপালী রাতে” এরপর গাইলেন “কান্দ কেনে মন”....এমনি করে আরো অনেক গান। একসময় দুই ভুয়া ইতিহাসবিদের মনে হল ওঠা দরকার।



বাইরে বেরুতে দেখা গেল সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমেছে। পারু আপা বলে “আরে ঢুকলাম দিনে, বেরুলাম রাতে!” এরপর যাই খেতে চাই হয় আমার দোষে, না হয় পারুপার জ্বালায় আর খেতেই পারি না।

যেমন পারুপা ডিম খেতে গেলে আমি বারণ দেই। B-)B-)



আমি আইসক্রিম শেষ পর্যন্ত খেয়েই ফেলব এমন ভাব করতে করতে পারুপা আমাকে থামায় :((:((



আমি উনাকে কটন ক্যান্ডি খেতে দিই না ;);););)



আর উনি আমাকে ঝালমুড়ি। /:)/:)/:)/:) শেষমেষ আমরা ডাস এ গেলাম, সব্জিরোল, সমুচা আর কফি এতে কেউ আপত্তি করলাম না। ভাগ্যভাল!



খাবার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ফুল বালিকা এসে হাজির, নামমাত্র দামে তার ফুলগুলো আমাদের হয়ে গেল।


আমরা খাবারগুলো কিভাবে যে নেব সাথে পড়লাম বিরাট ঝামেলায়। হাত মোট চারটা, খাবারের প্লেট আর কফির কাপ মিলে হর পাঁচটা, পরে আমি সবগুলো এক প্লেট এ ঢেলে চার হাতে বহন করে একটা যায়গা খুঁজে নিয়ে আয়েশ করে খেতে বসলাম।



খেতে খেতে আফসুস করলাম প্যাং প্যাং সাথে এইসব জায়গায় এলে এই সব হাবিজাবি কিচ্ছু খেতে দিবেনা, কেবল মাত্র ইচ্ছে মতন চা খেলে কোন আপত্তি নেই।

আমরা খেলাম, ইচ্ছেমতন পরচর্চাও করলাম খানিকটা ;)। এত আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে চলছিল দিশা এলে কি করবো তার প্ল্যান। যেমন প্রথম সিদ্ধান্ত দিশা আমার এখানে থাকবে। পারুপা বলল যদি কোন কারনে তখন ভাইয়া দেশের বাইরে যায় তাহলে শুধু দিশা কেন আমি আর জাফনাও পারুপার বাসায় যেয়ে উঠবো, উহ দলবল সহ, ভাবতেই তো এখনই এক্সাইটেড লাগছে। একদিন সারাদিন আমরা টইটই করে ঘুরবো। এইরকম ছোট ছোট অনেক প্ল্যান। দিশা আবার এর দেশে আসার সাথে আমাকে আরো একটা প্রোগ্রাম মিলিয়ে রাখতে বলেছে ;)। আমি ভাবছি আরো একজনের আসার সাথে সেই প্রোগ্রামটা মিলাবো, তিনি কবে আসেন সেটাই এখন জানবার অপেক্ষা, হাজার হোক তিনি প্যাং প্যাং এর কাছের মানুষ B-)B-)

খাওয়া শেষ করে আমরা আবার শুরু করলাম হাঁটা । টিএসসি থেকে ব্রিটিশ কাউন্সিল এরপর উল্টো হাঁটা, হাঁটতে হাটতে নীলক্ষেত। ব্রিটিশ কাউন্সিল রোড দিয়ে হাঁটার সময় পারুপাকে অনেক মজার কথা শোনালাম। এখানে একদিন আমার জন্য ওয়েট করতে যেয়ে প্যাং প্যাং যে তার বিচ্ছু বাহিনী খবর দিয়ে জড়ো করে একশেষ, এরপর দেখা গেল, “কাবাব মে হাড্ডি” নিয়ে সে মহা বিপদে আছে; না পারে কইতে না পারে সইতে :P:P । দেখা গেল আমি আর বৃত্ত গল্প করি আর উনি বিচ্ছুদের সামাল দেন। আমি কত লক্ষী যে কোন ঝাড়ি দেই নাই। যতই হাড্ডি বলিনা কেন এই বিচ্ছুগুলাকে আমিও খুব পছন্দ করি, জিনিয়াস এক একটা। আর প্যাং প্যাং এর তো এদের ছাড়া চলেই না। পরুপাও বললেন এক সময় নাকি এদের সঙ্গই ভাল লাগবে।


এইরকম গল্পের ফুলঝুড়ি ফোটাতে ফোটাতে আমরা নীলক্ষেত পৌঁছলাম। রিকশায় উঠেও গল্পের কোন শুরু নেই শেষ নেই অবস্থা করতে করতে আমরা ধানমন্ডি পৌঁছে গেলাম, দুজনে এবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যার যার ঘরে ফিরে এলাম। এরপর আবার জিগাতলা গেলে আরো সময় নিয়ে হান্টু হান্টু করতে বের হব সেই কথাই রইল আমাদের।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৪
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হেঁটে আসে বৈশাখ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০০


বৈশাখ, বৈশাখের ঝড় ধূলিবালি
উঠন জুড়ে ঝলমল করছে;
মৌ মৌ ঘ্রান নাকের চারপাশ
তবু বৈশাখ কেনো জানি অহাহাকার-
কালমেঘ দেখে চমকে উঠি!
আজ বুঝি বৈশাখ আমাকে ছুঁয়ে যাবে-
অথচ বৈশাখের নিলাখেলা বুঝা বড় দায়
আজও বৈশাখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×