somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রেকিং নিউজ : যোগাযোগমন্ত্রীর প্রদত্যাগের একদিনের মাথায় আরও ৫ মন্ত্রীর প্রদত্যাগ!

২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্রেকিং নিউজ : যোগাযোগমন্ত্রীর প্রদত্যাগের একদিনের মাথায় আরও ৫ মন্ত্রী প্রদত্যাগ করেছেন। কি বিশ্বাস হচ্ছে না। লেখাটি পড়ুন আর মন্ত্রীদের ভবিষ্যতবাণী মিলিয়ে দেখুন কতটা সত্য। মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীদের প্রদত্যাগের বিষয়টি মামুলি ব্যাপার। এতটুকু ব্যার্থতার জন্য পৃথিবীর বহুদেশে মন্ত্রীরা প্রদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে এই ঘটনা বিরল। মন্ত্রীরা প্রদত্যাগ করতে চান না। কিন্তু তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে উপদেষ্টারা ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে বসে ছিলেন না । তারা প্রদত্যাগ করেছেন।



যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন প্রদত্যাগ করেছেন! এমন সংবাদের অপেক্ষায় গোটা জাতি। সরকারের মন্ত্রী এবং এমপিরাও এই সংবাদ শুনতে চান। এই সংবাদের সূত্র ধরে ঘটনাকে গল্পের আকার দিয়েছি আমার লেখায়।

ধরে নিলাম......
যোগাযোগমন্ত্রীর প্রদত্যাগের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করলেই দেশবাসীকে শুনিয়ে দিতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী বললেন, আপনি (যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন) প্রদত্যাগ করুন। আমার সরকারের আর মান ইজ্জ্বত রইল না। এ পর্যন্ত আপনার কার্টুন ৫০ টার উপরে ছেপেছে পত্রিকাওয়ালারা।

অথবা যোগাযোগমন্ত্রী নিজেও সাংবাদিক ডেকে প্রদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন। উনি তো আবার সাংবাদিকদের ধার ধারেন না। যে কোন উপায়ে তিনি প্রদত্যাগ করতে পারেন।

ঘটনা -১ আম জনতা জানতে পারলেন তিনি (আবুল) প্রদত্যাগ করেছেন। টিভিতে ব্রেকিং নিউজ : স্ক্রলে লেখা উঠছে.........যোগাযোগমন্ত্রী প্রদত্যাগ করেছেন, তবে.......।

সকাল থেকে দুপুর অবদি প্রদত্যাগের খবরটি টিভিতে এবং অনলাইন পত্রিকায় বলা হলেও সেই ‌তবে'র অর্থ কেউ বলতে চাইনি। কেন ? এই প্রশ্ন পুরো দেশবাসীর।

যাই হোক বিকাল ৫টায় জানা গেলে যোগাযোগমন্ত্রী প্রদত্যাগ করেছেন এই সংবাদটি সত্য। তবে তিনি মিডিয়ার সামনে আসবেন না। এই কারণে তিনি দরজা বন্ধ করে বসে আছেন। মন্ত্রীর ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য তার বাড়ির সামনে শ'দুয়েক সাংবাদিক অপেক্ষামান। সাংবাদিকদের প্রশ্ন? কেন তিনি প্রদত্যাগ করেছেন। অথচ সাংবাদিকরা কিন্তু জানে তিনি কেন প্রদত্যাগ করেছেন। যাই হোক যা বলছিলাম...

মন্ত্রীর স্ত্রী সন্ধ্যার কিছু আগে এসে সাংবাদিকদের বললেন, তার (আবুলে'র ) গায়ে অনেক জ্বর। তিনি কারও ফোন ধরছেন না, কারও সাথে কথা বলবেন না। কেন বলবেন না এই উত্তর দিতে পারেনি মন্ত্রীর স্ত্রী। সাংবাদিকরা একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছেন? তিনি এই সুযোগটি হাত ছাড়া করলেন না। উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন.....


ঘটনা -২ : পরের দিন। সকালে কাগজে মন্ত্রীর প্রদত্যাগের খবরটি ১ কলামে ছেপেছে একটি প্রথম আলো আর আমি যে পত্রিকায় কাজ করি দৈনিক সংবাদে। তবে তারা মন্ত্রীর কার্টুন ছেপেছে ৯ কলামে। কার্টুনের বিবরণ আর বলছি না। কেননা কার্টুনিষ্টরা কেমন ছবি তৈরি করেন তা অনেকেরই জানা আছে।


ঘটনা-৩ : দুপুর সাড়ে বারোটায় মন্ত্রীসভায় বৈঠক চলছে। কেবিনেট বৈঠকে যেগাযোগমন্ত্রীর প্রদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীসভায় বেশ আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অনেক চেষ্টা করেছি আবুল ভাইকে বাঁচাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলাম না। কেন পারলাম না জানেন। এই আপনাদের জন্য। আবুল হোসেনকে নিয়ে আপনারা মন্ত্রী ও এমপিরা মিডিয়াতে উল্টা পাল্টা কথা বলার কারণে। মন্ত্রীরাও উত্তেজিত, একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও। প্রধানমন্ত্রী রাগের মাথায় ৫ (পাঁচ) মন্ত্রীকে এই প্রদত্যাগ করার দাবি জানালেন। এক মন্ত্রী তার মোবাইলে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে একটি টিভি চ্যানেলকে জানিয়ে দিলেন ৫ মন্ত্রীর প্রদত্যাগের খবর।


ঘটনা - ৪ : ব্রেকিং নিউজ চলছে। পাঁচ মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী। এই ব্রেকিং নিউজ চললো সন্ধ্যা পর্যন্ত।

ঘটনা- ৫ : সন্ধ্যায় ৫ মন্ত্রী তাদের প্রদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌছে দিলেন। সেই পত্রের একটি অংশে তারা উল্লেখ করলেন আপনি যদি বলেন, আমরা আবারও কাজে যোগদান করতে পারি। আমাদের বিষয়টি আপনার বিশেষ বিবেচনায় রাখিবেন। পাঁচ মন্ত্রীর মধ্যে আছেন, আমার এলাকার মন্ত্রী ও শেয়ারবাজার কারসাজির নায়কদের লিস্ট যাদের হাতে থেকে প্রকাশ করছেন না সেই মন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। আরও আছেন, শ্রমিকনেতা, জনগণের একশ্রেণীর দরদী নেতা, জাল লাইসেন্সে অভিজ্ঞ,যিনি পানির মধ্যে বাস চালাতে অভিজ্ঞ সেইজন নৌ পরিবহনমন্ত্রী এম শাহজাহান খান। আর আছেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে যখন আম-জনতা জর্জরিত ঠিক তখন দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আছে এই ভাষ্য যার মুখে, চিনি ও তেলের খবর প্রতিনিয়ত যিনি এতটাই জানেন সে হলেন গোপালগঞ্জের বানিজ্যমন্ত্রী ফারুখ খান। একই সঙ্গে আছেন, একটা সময় বেশি কথা বলায় যার বিরুদ্ধে খোদ কনস্টেবল পর্যন্ত অভিযোগ আছে, এই সময়ের সেরা বাক্য, আল্লার মাল আল্লায় নিছে সেই জনা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এড. সাহারা খাতুন। আরেক জন হলেন.....................কে হতে পারেন বলেন তো ? এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে রেখে গেলাম?








আজ, কাল, পরশু.....তারপর তিনি প্রদত্যাগ করলেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×