রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা শ্রমিকদের নতুন ন্যূনতম মজুরি ৪ অক্টোবর ঘোষিত হচ্ছে। 'জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন' শ্রমিকদের বিভিন্ন গ্রেডে মজুরি নির্ধারণ করার পরও প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ঘোষণা করানোর জন্য ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরার পর ৪ অক্টোবর ন্যূনতম মজুরি সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। তারপর জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। গত সোমবার কমিশনের সদস্য আ. মতিন মাস্টার সংবাদকে এ কথা জানান। এর আগে জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ২৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। কিন্তু কিছু 'কারিগরি সমস্যা' ও প্রধানমন্ত্রী কাছ থেকে সময় না পাওয়ার কারণে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৪ অক্টোবর। মজুরির ধরন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মাহে আলম জানান, সবপক্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে উৎপাদনশীলতার সঙ্গে যে শ্রমিকরা যুক্ত তাদের কোনভাবেই ঠকানো হবে না। পাশাপাশি স্বাধীনতার পর মজুরি কমিশনের যে ধারা পে-কমিশনের চেয়ে এক টাকা হলেও বেশি রাখা সেটাও 'মোটামুটিভাবে' রক্ষা করা হয়েছে। কমিশনের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন আট হাজার টাকা হবে। তবে কমিশনের চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
উল্লেখ, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ডিসেম্বর জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করে। বাদ পড়ে যায় রাষ্ট্রায়ত্ত জুট, চিনি, ইস্পাত ও লৌহ এবং রসায়ন শিল্পের লক্ষাধিক শ্রমিক। সে সময় বাজারদর অতিমাত্রায় বৃদ্ধি হওয়ার কারণে শ্রমিকদের জীবন নির্বাহের খরচ বেড়ে যায়। এ জন্য শ্রমিকরাও বেতন বৃদ্ধির জোর দাবি তোলে। চিনিকলসহ কয়েকটি সেক্টরের শ্রমিকরা আন্দোলনে নামে। ফলে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া তিন মাসের মধ্যে বেতন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিলে শ্রমিকরা কর্মসূচি স্থগিত করে এবং এর পরপরই চার মাস সময় দিয়ে সাবেক সচিব মাহে আলমকে প্রধান করে গঠিত হয় 'জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১০।' সময় দেয়া হয় চার মাস, কিন্তু মাহে আলম কমিশন ছয় মাসেও কমিশনের একটি বৈঠক করতেও ব্যর্থ হয়। এ সময় শ্রমিকরা আবার বেতন বৃদ্ধির দাবি জোরালো করে। কমিশনের বিরুদ্ধে সমালোচনাও উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। ফলে কমিশন গঠন হওয়ার সাড়ে আট মাস পর বসে কমিশনের প্রথম বৈঠক। আবার নতুন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৭ সেপ্টেম্বর।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




